তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর ফলে পুনরায় আপিল শুনবে আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে শুনানি আগামী ২১ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।

আজকের রিভিউ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার জন্য কার্যকর সমাধান চায়, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে রিভিউ শুনানি এদিন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। ওইদিন শুনানির শুরুতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে যেসব বিচারপতি রায় দেন, তারা পরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। পরে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পরে বিশেষ বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় ঘোষণা করা হয়। সেই রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের এই সংশোধনী সংবিধানসম্মত। পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করার অনুমতিও দেওয়া হয়।

২০০৮ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা: প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ

৪ ঘণ্টা আগে

সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন ইসির

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৭ আগস্ট) এর অনুমোদন দেয়া হয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে এই রোডম্যাপ আজই প্রকাশ করবে সংস্থাটি।

৪ ঘণ্টা আগে

‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আজও শাহবাগ অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

যে তিন দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন সেগুলো হলো— ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া।

৬ ঘণ্টা আগে

রাজধানীর সব বাস চলবে একক ব্যবস্থাপনায় : প্রেস উইং

৯ ঘণ্টা আগে