
বিজ্ঞপ্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খন্দকার মাহমুদুল হাসান কর্তৃক নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে 'মুরতাদ কাফির' আখ্যা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে নারী জাগরণ ও নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে ওই শিক্ষক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, "আজ মুরতাদ কাফির বেগম রোকেয়ার জন্মদিন।"
শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতিবাদে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। রোকেয়া ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, শিক্ষাব্রতী, সমাজ-সংস্কারক এবং নারী জাগরণ ও নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
বেগম রোকেয়া যে সামাজিক পরিমণ্ডলে তিনি বেড়ে ওঠেন, সেখানে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ ছিল প্রায় অসম্ভব। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তিনি শিক্ষালাভ করেন এবং পরবর্তীতে সমাজ সংস্কার ও নারী শিক্ষার বিস্তারে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ২০ শতকের প্রথমদিকে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণে তিনিই প্রধানত নেতৃত্ব দেন।
ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান, কল্পকাহিনী ও শ্লেষাত্মক রচনায় রোকেয়ার স্টাইল ছিল স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
তিনি নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছিলেন। তার মতে, শিক্ষার অভাবই ছিল নারীর পশ্চাৎপদতার মূল কারণ।
নারী শিক্ষার বিস্তারে ১৯০৯ সালে তিনি ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ স্থাপন করেন। পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে এটির যাত্রা শুরু হলেও দ্রুতই এর ছাত্রী সংখ্যা একশত পেরিয়ে যায়। এছাড়া ১৯১৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম’ বা মুসলিম মহিলা সমিতি। ফলে সাহিত্য চর্চা, সংগঠন পরিচালনা ও শিক্ষাবিস্তার এই ত্রিমাত্রিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন এবং স্থাপন করেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাংলা তথা তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের নারীশিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
তিনি লড়েছেন অন্ধ কুসংস্কার, বৈষম্য ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে। তিনি ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না, বরং সমাজে ও দেশে এবং বিশেষত নারী সমাজের প্রতি ধর্মের সংকীর্ণ ব্যাখ্যার সমালোচনা করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খন্দকার মাহমুদুল যেভাবে তাকে ‘কাফির মুরতাদ’ আখ্যা দিয়েছেন, তা ঘোরতর অন্যায় ও অসম্মানজনক। একইসঙ্গে সমগ্র শিক্ষক সমাজের জন্য তা গ্লানিকর। এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য বর্তমানে বাঙালি মুসলমান নারীসহ সকল নারীর পথচলাকে ঝঁকিপূর্ণ করে তোলে।
রোকেয়ার জন্মদিবসে তাকে হেয় করার চেষ্টা তার বিশাল অবদানকে ছোট করতে পারে না, তিনি দিনে দিনে আরও উজ্জ্বল হবেন। উল্টো এ ধরনের ব্যক্তি চরম সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচায়ক হিসেবে ধিকৃত হবেন।
এটা পরিহাসের বিষয় যে, একদিকে রোকেয়ার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হচ্ছে, অন্যদিকে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। এই ব্যক্তির এরকম বক্তব্য সমাজে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়াতে এবং নারীর প্রতি অনলাইনে ও বাস্তবে চলমান সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তুলতে মদদ যোগায়, যাকে-তাকে যখন-তখন ‘নাস্তিক’ বা ‘মুরতাদ’ বলে ‘হত্যাযোগ্য’ করে তোলার পথ প্রশস্ত করে। ফলে এ বক্তব্যকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ বলা যায় না, বরং ‘হেইটস্পিস’ হিসেবেই গণ্য করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্ক এহেন প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে এরকম ঘৃণা ও উস্কানিমূলক বাক্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খন্দকার মাহমুদুল হাসান কর্তৃক নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে 'মুরতাদ কাফির' আখ্যা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে নারী জাগরণ ও নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে ওই শিক্ষক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, "আজ মুরতাদ কাফির বেগম রোকেয়ার জন্মদিন।"
শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতিবাদে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। রোকেয়া ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, শিক্ষাব্রতী, সমাজ-সংস্কারক এবং নারী জাগরণ ও নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
বেগম রোকেয়া যে সামাজিক পরিমণ্ডলে তিনি বেড়ে ওঠেন, সেখানে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ ছিল প্রায় অসম্ভব। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তিনি শিক্ষালাভ করেন এবং পরবর্তীতে সমাজ সংস্কার ও নারী শিক্ষার বিস্তারে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ২০ শতকের প্রথমদিকে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণে তিনিই প্রধানত নেতৃত্ব দেন।
ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান, কল্পকাহিনী ও শ্লেষাত্মক রচনায় রোকেয়ার স্টাইল ছিল স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
তিনি নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছিলেন। তার মতে, শিক্ষার অভাবই ছিল নারীর পশ্চাৎপদতার মূল কারণ।
নারী শিক্ষার বিস্তারে ১৯০৯ সালে তিনি ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ স্থাপন করেন। পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে এটির যাত্রা শুরু হলেও দ্রুতই এর ছাত্রী সংখ্যা একশত পেরিয়ে যায়। এছাড়া ১৯১৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম’ বা মুসলিম মহিলা সমিতি। ফলে সাহিত্য চর্চা, সংগঠন পরিচালনা ও শিক্ষাবিস্তার এই ত্রিমাত্রিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন এবং স্থাপন করেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাংলা তথা তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের নারীশিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
তিনি লড়েছেন অন্ধ কুসংস্কার, বৈষম্য ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে। তিনি ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না, বরং সমাজে ও দেশে এবং বিশেষত নারী সমাজের প্রতি ধর্মের সংকীর্ণ ব্যাখ্যার সমালোচনা করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খন্দকার মাহমুদুল যেভাবে তাকে ‘কাফির মুরতাদ’ আখ্যা দিয়েছেন, তা ঘোরতর অন্যায় ও অসম্মানজনক। একইসঙ্গে সমগ্র শিক্ষক সমাজের জন্য তা গ্লানিকর। এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য বর্তমানে বাঙালি মুসলমান নারীসহ সকল নারীর পথচলাকে ঝঁকিপূর্ণ করে তোলে।
রোকেয়ার জন্মদিবসে তাকে হেয় করার চেষ্টা তার বিশাল অবদানকে ছোট করতে পারে না, তিনি দিনে দিনে আরও উজ্জ্বল হবেন। উল্টো এ ধরনের ব্যক্তি চরম সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচায়ক হিসেবে ধিকৃত হবেন।
এটা পরিহাসের বিষয় যে, একদিকে রোকেয়ার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হচ্ছে, অন্যদিকে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। এই ব্যক্তির এরকম বক্তব্য সমাজে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়াতে এবং নারীর প্রতি অনলাইনে ও বাস্তবে চলমান সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তুলতে মদদ যোগায়, যাকে-তাকে যখন-তখন ‘নাস্তিক’ বা ‘মুরতাদ’ বলে ‘হত্যাযোগ্য’ করে তোলার পথ প্রশস্ত করে। ফলে এ বক্তব্যকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ বলা যায় না, বরং ‘হেইটস্পিস’ হিসেবেই গণ্য করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্ক এহেন প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে এরকম ঘৃণা ও উস্কানিমূলক বাক্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অঞ্চলে। এই ভূকম্পনের গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।
৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের এ মামলায় আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন— ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক মনোয়ারা শিকদার, পারভীন হক শিকদার, মোয়াজ্জেম হোসেন, রিক হক শিকদার, রন হক শিকদার, আনোয়ার হোসেন ও এ কে এম এনামুল হক শামীম।
১৪ ঘণ্টা আগে
ডিএমপির জানায়, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান। তপশিল ঘোষণার পর অনুমোদনহীন যে কোনো সমাবেশ বা কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডিএমপি নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল বলেছেন, ‘সে (আয়েশা) মনে করছে কিছু জিনিস চুরি করে আইনা আমারে দিব, কিছু টাকা-পয়সা পাইব। ল্যাপটপ, মোবাইল চুরি কইরা সে আহনের সময় তার ম্যাডাম দেইখা ফেলায়। পেছন থিকা ম্যাডাম ধইরা ফেলায়। তখন সে চাকু দিয়া মারছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ধইরা ছিল, ততক্ষণ পর্যন্তই চাকু দিয়া মারছ
১৭ ঘণ্টা আগে