জোটের প্রার্থী হলেও প্রতীক হবে দলীয়— আরপিওতে যত পরিবর্তন

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের অন্য দলের প্রার্থীরাও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট করেছিলেন। আরপিও সংশোধনীর পর এখন সব প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। ছবি কোলাজ: রাজনীতি ডটকম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা, ভোট গ্রহণ পদ্ধতিসহ নানা পরিবর্তন এনে নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপলস অর্ডার’ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী এনেছে সরকার।

সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো প্রার্থীর নিজের রাজনৈতিক দল নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক জোটের অংশ হলেও ওই প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংশোধনীতে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা জানান, জাতীয় নির্বাচনে জোটের হয়ে নির্বাচনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে একাধিক দল জোট গঠন করে নির্বাচন করলে ওই জোটের যেকোনো প্রার্থী জোটের নেতৃত্বাধীন দলের নির্বাচনি প্রতীকে ভোট করতে পারত। এখন আর সেই সুযোগ থাকছে না।

আরপিও সংশোধনীর পর থেকে কোনো দল অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীরা জোটের অন্য কোনো দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না। প্রতিটি প্রার্থীকে নিজ দলের নির্বাচনি প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করতে হবে।

এদিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণের যে বিধান ছিল আরপিওতে, সেটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে আর ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেওয়া যাবে না।

এতদিন পর্যন্ত আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে মূলত পুলিশ বাহিনীকেই বোঝানো হতো, যার সঙ্গে যুক্ত ছিল আনসার, বিজিবি, র‌্যাবের মতো বাহিনীগুলো। সংশোধনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সংজ্ঞাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরপিও সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো মামলার পলাতক কোনো আসামি নির্বাচন করতে পারবেন না। এ ছাড়া নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন, তাদের দেশি-বিদেশি সব ধরনের আয়ের সব হিসাব দিতে হবে। এসব হিসাব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে ‘না’ ভোট চালু করা হলেও পরে তা বাতিল করেছিল সরকার। এবার আরপিও সংশোধনীতে আবার ‘না’ ভোট ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে সব আসনে এই ‘না’ ভোট প্রযোজ্য হবে না। কোনো আসনে যদি কেবল একজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন, সেই আসনে ভোটাররা ওই প্রার্থীকে ছাড়াও ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। অর্থাৎ ওই প্রার্থীকে ‘না’ ভোটের বিপক্ষে জয়ী হয়ে আসতে হবে ভোটে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পোস্টাল ব্যালট, অর্থাৎ ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিয়ে কাজ করে আসছে। আরপিও সশোধন করে যুক্ত করা হয়েছে পোস্টাল ব্যালটের বিধান। এর ফলে প্রবাসী ও নির্বাচনি কাজে নিয়োজিতরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

এ ছাড়া ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। আগে নির্বাচন কমিশন কেবল নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে পারত, যা পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনকে পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোটই বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আরপিওর সংশোধনীতে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

সরকার হলো জগদ্দল পাথরের মতো, সরানো বড় দুরূহ : বদিউল আলম মজুমদার

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক অর্থনীতিবিদ ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘হ্যাঁ ভোট’ মানে আপনি সংস্কারের পক্ষে। আর ‘না’ ভোট মানে যেভাবে চলছে সেভাবে চলবে। মানে স্বৈরাচারী কাঠামো অব্যাহত থাকবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার যে প্রচার-প্রচারণা চালানোর কথা সেটি তারা করেনি। সরকার হলো একটি জগদ্দল পাথরের

৬ ঘণ্টা আগে

‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলায় সরকারের কোনো অংশের মদত রয়েছে’

সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়

৭ ঘণ্টা আগে

তারেক-জাইমার ভোটার হওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত রোববার: ইসি সচিব

ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রবিবার বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

৮ ঘণ্টা আগে

দেশকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন শেষে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব ছেড়ে দেবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, এমন নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে যেখানে মানুষ তার ইচ্ছামতো ভোট দ

৮ ঘণ্টা আগে