ডিসেম্বরের দিনলিপি: ২ ডিসেম্বর ১৯৭১

‘বাইপাসিং স্ট্র্যাটেজি’তে মনস্তাত্ত্বিকভাবেও অবরুদ্ধ পাকিস্তানি বাহিনী

নাজমুল ইসলাম হৃদয়

১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর তারিখটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধে’র সর্বশেষ দিন হিসেবে চিহ্নিত। কারণ ঠিক পরদিন অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয় সর্বাত্মক যুদ্ধ। তবে সমরবিদ ও ইতিহাস গবেষকদের মতে, ২ ডিসেম্বর ছিল সেই দিন যখন পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক উভয় দিক থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

২ ডিসেম্বরেই ‘মিত্রবাহিনী’ তাদের চূড়ান্ত রণকৌশল ‘বাইপাসিং স্ট্র্যাটেজি’ বা এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল প্রয়োগ শুরু করে। এ কৌশলে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি বা ‘স্ট্রং পয়েন্ট’গুলোর ওপর সরাসরি আক্রমণ না করে পাশ কাটিয়ে পেছনে চলে যায় এবং তাদের রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেয়। এ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেশের সীমান্তসংলগ্ন প্রায় প্রতিটি রণাঙ্গনে এই কৌশলের সফল প্রয়োগ দেখা যায়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে ২ ডিসেম্বরের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন, এ দিন থেকেই ঢাকার অপারেশন রুমে বসে জেনারেল নিয়াজি ও তার চিফ অব স্টাফ ব্রিগেডিয়ার বাকের বুঝতে পারছিলেন, তাদের প্রতিটি ঘাঁটি একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

সিদ্দিক সালিকের ভাষ্য, ২ ডিসেম্বর দুপুরে এক ওয়্যারলেস বার্তায় ৯৩ ব্রিগেডের কমান্ডার বিলাপ করে সদর দপ্তরে জানাচ্ছিলেন, ‘আমাদের সামনের মাইনফিল্ডগুলো কোনো কাজেই আসছে না। কারণ শত্রুরা (মুক্তিবাহিনী) মাইনফিল্ড এড়িয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে আমাদের পেছনের রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে।’

২ ডিসেম্বরের রণাঙ্গনের চিত্রে সবচাইতে ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল আখাউড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেক্টরে। এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর কে এম শফিউল্লাহ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সগত সিংয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আখাউড়া দখলের মূল লড়াইটি ২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত রূপ নেয়।

কাগজে-কলমে ৫ ডিসেম্বর আখাউড়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর পতন হলেও ২ ডিসেম্বর ছিল সেই দিন, যখন আখাউড়াকে কার্যত ‘আইসোলেটেড’ বা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসবিদ মেজর কে সি প্রভাল তার ‘ইন্ডিয়ান আর্মি আফটার ইন্ডিপেন্ডেন্স’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন, ২ ডিসেম্বর ভারতীয় ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশন ও এস ফোর্সের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যৌথভাবে আখাউড়ার উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়।

এ যুদ্ধের সময় ২ ডিসেম্বর বিকেলে আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে পাকিস্তানি ১২ ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের একটি কোম্পানির সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল হাতাহাতি যুদ্ধ বা ‘হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট’ হয়। এ যুদ্ধের ভয়াবহতা আঁচ করা যায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওয়্যারলেস ইন্টারসেপ্ট থেকে, যা মেজর শফিউল্লাহ তার বইয়ে আংশিক উল্লেখ করেছেন।

২ ডিসেম্বর গোধূলিলগ্নে আজমপুর ডিফেন্স থেকে এক পাকিস্তানি জেসিও (জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার) আর্তনাদ করে তার কোম্পানি কমান্ডারকে বলছিল, ‘স্যার, মুক্তিজ আর ইনসাইড দ্য ট্রেঞ্চেস! দে আর ইউজিং ড্যাগারস! উই কান্ট হোল্ড!’ (স্যার, মুক্তিসেনারা ট্রেঞ্চের ভেতরে ঢুকে পড়েছে! ওরা বেয়নেট আর ছোরা ব্যবহার করছে! আমরা টিকতে পারছি না!)

এ যুদ্ধের ফলে ২ ডিসেম্বর রাতেই আজমপুর স্টেশনটি যৌথ বাহিনীর দখলে চলে আসে এবং আখাউড়ায় অবরুদ্ধ পাকিস্তানি ব্যাটালিয়নের পলায়নের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসে।

উত্তরাঞ্চলীয় রণাঙ্গন বা ৬ নম্বর সেক্টরের পঞ্চগড় মুক্ত হয়েছিল ২৯ নভেম্বর। ২ ডিসেম্বর যুদ্ধটি সরে যায় পঞ্চগড় থেকে আরও দক্ষিণে— বোদা ও ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে। মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং তাঁর ‘ইন্ডিয়া’স ওয়ার সিন্স ইন্ডিপেন্ডেন্স’ বইয়ের প্রথম খণ্ডে উল্লেখ করেছেন, ২ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ভুল্লি ব্রিজের কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের ২৬ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টকে সেখানে মোতায়েন করেছিল। ২ ডিসেম্বর সারা দিন এখানে আর্টিলারি ডুয়েল বা কামানের লড়াই চলে।

এ যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল পাওয়া যায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার চিফ মার্শাল পিসি লালের ‘মাই ইয়ারস উইথ দ্য আইএএফ’ বইয়ে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ২ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঠাকুরগাঁওয়ে তাদের অবস্থান বাঁচাতে মরিয়া হয়ে বিমান সহায়তার আবেদন করে। কিন্তু ঢাকার তেজগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে কোনো সাবের জেট সেদিন উড্ডয়ন করতে পারেনি।

এর কারণ হিসেবে পিসি লাল উল্লেখ করেন, ২ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ভারতীয় ন্যাট (Gnat) বিমানগুলো সীমান্তের আকাশে এমনভাবে টহল দিচ্ছিল যে পাকিস্তানি বিমানগুলো রানওয়েতে ট্যাক্সি করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এ আকাশযুদ্ধের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ছিল প্রবল।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে (যা হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টে উদ্ধৃত হয়েছে) উল্লেখ করা হয়, ২ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও ফ্রন্টের এক পাকিস্তানি মেজর তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘আকাশ আজ আমাদের নয়। মাথার ওপর দিয়ে ভারতীয় চিল উড়ছে, আর আমরা গর্তে লুকানো ইঁদুর।’

পশ্চিমাঞ্চলীয় রণাঙ্গন বা ৮ ও ৯ নম্বর সেক্টরে (যশোর-কুষ্টিয়া-খুলনা) ২ ডিসেম্বর ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১০৭ পদাতিক ব্রিগেডের জন্য এক বিভীষিকাময় দিন। মেজর জেনারেল লক্ষ্মণ সিং লেহল, যিনি এই সেক্টরে ভারতীয় ২০ মাউন্টেন ডিভিশনের জিওসি ছিলেন, তার ‘ভিক্টরি ইন বাংলাদেশ’ বইয়ে ২ ডিসেম্বরের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

লক্ষ্মণ সিং লিখেছেন, চৌগাছা পতনের পর পাকিস্তানি বাহিনী ২ ডিসেম্বর আফরা ও ঝিকরগাছার মধ্যবর্তী এলাকায় একটি নতুন ডিফেন্সিভ লাইন বা প্রতিরক্ষা রেখা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় জনগণের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনীর এই নতুন অবস্থানের পেছনের গ্রামগুলোতে আগেই অবস্থান নিয়েছিল।

২ ডিসেম্বর দুপুরে ঝিকরগাছার কাছে কপোতাক্ষ নদের তীরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি রিইনফোর্সমেন্ট কলাম বা সাহায্যকারী দলের ওপর মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিত অ্যামবুশ করে। এ অ্যামবুশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুটি তিন টন লরি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।

এ ঘটনার পর যশোর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থানরত ১০৭ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান এতটাই বিচলিত হয়ে পড়েন যে তিনি ২ ডিসেম্বর বিকেলেই তার বাহিনীকে যশোর শহরতলী থেকে গুটিয়ে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ‘ফোর্ট্রেস ডিফেন্স’ বা দুর্গ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

এ নির্দেশের একটি কপি যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে উদ্ধার করা হয়, যেখানে লেখা ছিল— ‘কনজারভ ম্যানপাওয়ার। ডু নট এংগেজ ইন ওপেন ফিল্ড। ফল ব্যাক টু ক্যান্টনমেন্ট।’ (জনবল বাঁচাও। খোলা মাঠে যুদ্ধে জড়াবে না। ক্যান্টনমেন্টে ফিরে এসো।) এটি ছিল যশোর ফ্রন্টে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি।

রাজধানী ঢাকায় ২ ডিসেম্বর ছিল এক থমথমে ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ ছাড়াও বিদেশি সাংবাদিকদের বর্ণনায় এ দিনের ঢাকার চিত্র পাওয়া যায়।

সিডনি শ্যানবার্গের ‘দ্য ডেথ অ্যান্ড লাইফ অব ডিথ প্রান’ এবং আর্চার ব্লাডের ‘দ্য ক্রুয়েল বার্থ অব বাংলাদেশ’ বইয়ের তথ্যমতে, ২ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো শেষবারের মতো তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করে। বায়তুল মোকাররম এলাকায় জামায়াতে ইসলামী ও আলবদর বাহিনীর উদ্যোগে ‘ভারতকে রুখতে হবে’ স্লোগানে একটি ছোট মিছিল বের হয়। কিন্তু সেই মিছিলে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল শূন্যের কোঠায়।

অন্যদিকে ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলারা এ দিন তাদের কৌশল পরিবর্তন করেন। তারা বড় কোনো বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে, বিশেষ করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের আশপাশে ও কূটনৈতিক পাড়ায় হাতে লেখা হুমকি বা ‘ওয়ার্নিং নোট’ পৌঁছে দেয়। একটি নোটে লেখা ছিল, ‘বিদেশিরা সরে যান, ঢাকা এখন যুদ্ধক্ষেত্র।’

এ মনস্তাত্ত্বিক চাপে পাকিস্তান সরকার ২ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে বিদেশি নাগরিকদের ঢাকা ত্যাগের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তরে এদিন এক জরুরি বৈঠক হয়।

রাও ফরমান আলী তার ‘হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড’ বইয়ে স্বীকার করেছেন, ২ ডিসেম্বর গভর্নর ডা. মালিক তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘রাও, ইজ দেয়ার এনি হোপ?’ (রাও, আর কি কোনো আশা আছে?) উত্তরে রাও ফরমান আলী দীর্ঘক্ষণ নীরব থেকে বলেছিলেন, ‘প্রেয়ারস, এক্সিলেন্সি। অনলি প্রেয়ারস।’ (দোয়া, মহামান্য। আমরা কেবল দোয়া করতে পারি।) এই কথোপকথনই বলে দেয়, ২ ডিসেম্বরেই ঢাকার পতন পাকিস্তানি বাহিনীর মানসপটে আঁকা হয়ে গিয়েছিল।

কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ২ ডিসেম্বর ছিল অত্যন্ত নাটকীয়। গ্যারি জে ব্যাসের সাড়া জাগানো বই ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম’ ও রোয়েদাদ খানের ‘আমেরিকান পেপারস’ থেকে জানা যায়, ২ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে কথা হয়।

কিসিঞ্জার টেলিফোনে নিক্সনকে বলেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, ইয়াহিয়া ইজ প্যানিকিং। হি ওয়ান্টস টু স্ট্রাইক অন দ্য ওয়েস্ট।’ (মি. প্রেসিডেন্ট, ইয়াহিয়া আতঙ্কিত। তিনি পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণ করতে চান।) এর পরিপ্রেক্ষিতে নিক্সন জর্ডান ও তুরস্কের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান পাঠানোর গোপন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে মঈদুল হাসানের ‘মূলধারা ’৭১’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতায় এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন। তিনি সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা না দিলেও ভাষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আজ বাংলাদেশের মানুষের ওপর যে আঘাত, তা ভারতের ওপর আঘাত হিসেবেই আমরা দেখছি।’

২রা ডিসেম্বর রাতে আগরতলা বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানি গোলন্দাজ বাহিনী শেলিং বা গোলাবর্ষণ শুরু করে, যা ছিল ৩ ডিসেম্বরের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধের বা ‘ক্যাসাস বেল্লি’ (Causus Belli, যুদ্ধের কারণ) তৈরির অনুঘটক। ভারতীয় সেনাপ্রধান শ্যাম মানেকশা তার ডায়েরিতে ২ ডিসেম্বর তারিখে কেবল একটি বাক্য লিখেছিলেন— ‘দ্য ট্র্যাপ ইজ সেট, দে হ্যাভ ওয়াকড ইনটু ইট।’ (ফাঁদ পাতা হয়েছে, ওরা তাতে পা দিয়েছে।)

আজ ২০২৫ সালের ২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার। এ দিন রয়েছে ইতিহাসের সেই উত্তাল দিনটির ৫৪ বছরের স্মরণে নানা আয়োজন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এ দিনটিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে, যেখানে তুলে ধরা হবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার প্রসঙ্গ।

তথ্যসূত্র:

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র (খণ্ড ০৯, ১০ ও ১১) – হাসান হাফিজুর রহমান
  • বাংলাদেশ অ্যাট ওয়ার (Bangladesh at War) – মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ
  • উইটনেস টু সারেন্ডার (Witness to Surrender) – মেজর সিদ্দিক সালিক
  • ভিক্টরি ইন বাংলাদেশ (Victory in Bangladesh) – মেজর জেনারেল লক্ষ্মণ সিং লেহল
  • ইন্ডিয়ান আর্মি আফটার ইন্ডিপেন্ডেন্স (Indian Army After Independence) – মেজর কে সি প্রভাল
  • ইন্ডিয়া’স ওয়ার সিন্স ইন্ডিপেন্ডেন্স (India's Wars Since Independence) – মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
  • মাই ইয়ারস উইথ দি আইএএফ (My Years with the IAF) – এয়ার চিফ মার্শাল পিসি লাল
  • দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম (The Blood Telegram) – গ্যারি জে ব্যাস
  • হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড (How Pakistan Got Divided) – মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
  • একাত্তরের দিনগুলি – জাহানারা ইমাম
  • মূলধারা ’৭১ (Muldhara '71) – মঈদুল হাসান
  • আমেরিকান পেপারস (American Papers) – রোয়েদাদ খান
ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

দেশের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ কারা, তারা কী সুবিধা পান

বাংলাদেশে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিভিআইপি মর্যাদা সবসময়ই বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

৩ ঘণ্টা আগে

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এভারকেয়ারে এসএসএফ

এর আগে গতকাল সোমবার বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে তার নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

৩ ঘণ্টা আগে

বিশ্ব রেকর্ড গড়া তামিমের ব্যাটে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

ফিল্ডিংয়ে পাঁচ ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়া তামিম এদিন ব্যাট হাতেও খেলেন দুর্দান্ত ইনিংস। পূর্ণ সদস্যের দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ম্যাচে পাঁচ ক্যাচ ধরা একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। ৩৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এই টাইগার ওপেনার। ২৬ বলে ৩৩ রান করেন ইমন। লিটনের ব্যাট থেকে আসে কেবল ৭ রান। ১৯

৩ ঘণ্টা আগে

দেশে কারো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। যার যে স্ট্যাটাস অনুযায়ী নিরাপত্তা প্রয়োজন, সেই ব্যবস্থা দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার নিরাপত্তায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

৪ ঘণ্টা আগে