সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এ দুই আসনের প্রার্থিতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর একজন ভিন্ন দল ও আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দুই আসনে ভোটের হিসাব-নিকাশও নতুন করে করতে শুরু করে দিয়েছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
জকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৬৪৫ জন। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি পদে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। এসব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৫৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ১৩৮ জন, নারী প্রার্থী ১৯ জন। নির্বাচনে প্যানেলে রয়েছে মোট চারটি।
নিজেই ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন তাসনিম জারা। ভোটারদের সইয়ের নথিপত্রসহ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ের একটি ছবি সোমবার রাতে পোস্ট করেছেন তিনি। বিস্তারিত কিছু না লিখে চার শব্দের একটি স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার লড়াই উৎরে যাওয়ার কথা। লিখেছেন, ‘উই হ্যাভ মেড ইট!!!’
প্রার্থীর ভিড় সবচেয়ে বেশি ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চলে। উভয় অঞ্চলেই প্রতি আসনের বিপরীতে ১০ জনের বেশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রার্থীর ভিড় সবচেয়ে কম রাজশাহী অঞ্চলে, কেবল এ অঞ্চলেই প্রতি আসনের বিপরীতে ৭ জনেরও কম প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অনেক আসনে প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ধানের শীষের প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপি বিকল্প প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সংযুক্তি-১ উল্লেখ থাকলে তিনি প্রাথমিক চূড়ান্ত প্রার্থী ও সংযুক্তি-২ উল্লেখ থাকলে তিনি বিকল্প প্রার্থী হিসেবে বিবে
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এবার সময় আসছে পরিবর্তনের। এই ভোট হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এই ভোট হবে জুলুমের বিপক্ষে। এই ভোট হবে ১৭ বছর যেই মহিলা মাঠে ছিল, তার পক্ষে। এই ভোট হবে যখন আপনারা মামলা–হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন যে মানুষ আপনাদের পক্ষে সংসদে এবং সংসদের বাইরে কথা বলেছে, এই ভোট
উল্লেখ্য, পঞ্চগড়-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ছিলেন মো. ইকবাল হোসাইন। তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহসহ দীর্ঘদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তবে জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে আসন সমঝোতা হওয়ায় জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আসনে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। পরে ইকবাল হোসাইন
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তারের কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। পিরোজপুর-২ আসনের (ভান্ডারিয়া–কাউখালী–নেছারাবাদ) জন্য ওই মনোনয়নপত্র নেওয়া হয়েছিল।
জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লা অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে আমাদের অফিস বন্ধ ছিল। বিকেলে বিএনপির মিছিল চলাকালে একদল সন্ত্রাসী অফিসে হামলা চালিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ও টিভি ভাঙচুর করে। এমনকি অফিসে থাকা নির্বাচনি লিফলেট রাস্তায় ছুড়ে ফেলে ময়লা নিক্ষেপ করা হয়।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আমজনতা পার্টি থেকে নির্বাচন করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়ন তুলেন। তবে বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি।