রাজশাহী ব্যুরো
টাকার বিনিময়ে মামলার অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, আসামির সঙ্গে এমন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর মো. সাইমন রেজা নামে রাজশাহীর এক ছাত্রদল নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অব্যাহতি পাওয়া মো. সাইমন রেজা নগরের বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ কয়েকটি অডিও ফাঁস করেন ফেসবুকে। যেখানে সাইমন রেজার মতো হুবহু কণ্ঠের একজনকে আসামির কাছ থেকে টাকা চাইতে শোনা যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সাইমন রেজা গত ২৭ অক্টোবর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পায়েল নামের আরেক আসামি আছেন, যিনি আওয়ামী লীগ কর্মী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। দাবি করা হচ্ছে, এই পায়েলের কাছেই টাকা চেয়েছেন সাইমন।
মহানগর ছাত্রদল সম্পাদক সৌরভের ফাঁস করা অডিও'র কথোপকথনে শোনা যায়, এক ব্যক্তি বলছেন- ‘কাল তো মঙ্গলবার। কাল আমি লোন লেখাব। ইনশাল্লাহ আগামী মঙ্গলবার দিয়ে দিব।’ অপরজন বলছেন, ‘সবার কথা হলো, ৫০-এর নিচে আসবে না। আমি কথা বললাম। ওদের সবারই একটা মতামত, আমরা কিছু নামলাম, ওকেও কিছু উঠতে বলো। আর পাঁচটা হাজার টাকা দিয়ে ২৫ করতে বলো। যদি হয় তো বলো, যা করার করে দিচ্ছি। ওর কোন সমস্যা হবে না।’
আরেকটি অডিওতে একজন বলছেন, ‘আমি ১০ হাজার টাকার মতো রেডি করে ফেলেছি। আর ১৫ হাজার টাকা, আর তো আর দুইদিন টাইম নেওয়া আছে। আমি যেদিন টাকা দিব, সেদিনই কোর্ট থেকে নামটা তুলে দিবেন না ভাইয়া?’ অপরজন তখন বলেন, ‘আপনার কোন সমস্যা হবে না। আপনি দোকানে বসবেন। আপনার কোন সমস্যা হলে আমি আছি।’
আরেক অডিওতে একজন বলছেন, ‘আপনাকে একটা নাম্বার দিচ্ছি, ওখানে আপনি ১০ মেরে দিয়েন। আপনি দোকান করবেন। যদি কোন সমস্যা হয়, আমার নাম্বার তো থাকলই। সমস্যা হলে আমাকে কল দিবেন। আপনার নাম অটোমেটিক কাটা হয়ে যাবে। আপনি দেখবেন। কাটা হয়ে গেলে আপনাকে ছবি তুলে দিয়ে দিব।’ অপরপ্রান্তের ব্যক্তি বলছেন, ‘তাহলে আমি পোরশুদিন ফুল পেমেন্ট দিয়ে দিব।’ তখন অপরজন বলছেন, ‘আজ ১০ হলে ভাল হয়, আমার একটু লাগত।’
আরেকটি অডিওতে জেলে না যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘আপনার যদি দুদিনের লাইগাও ভিতরে থাকতে হয়, আপনার স্যান্ডেল খুইলে আমার গালে মাইরেন, যান।’ অপর অডিওতে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি একা না। আরও দুই-তিনজনকে বের করা লাগবে। তোমাকে যেটুকু হেল্প করছি, সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবেই রিস্কের মধ্যেই করছি।’
তবে যোগাযোগ করা হলে সাইমন রেজা পায়েলের সঙ্গে কথোপথনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে অসংখ্যবার পায়েল কল করেছিল এটি সত্য। আমি তাকে বার বার বলেছি যে, আপনি যদি নিরপরাধ হয়ে থাকেন অবশ্যই মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন। কিন্তু আমার কথোপকথনের মধ্যে টাকা চাওয়ার বিষয়গুলো সুপার এডিট করে ঢুকানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছবি ব্যবহার করে অন্য একটি হোয়াটঅ্যাপ নম্বরেও বিভিন্নজনের সঙ্গে আমার নাম করে কথা বলা হয়েছে। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সমাজে কিংবা দলের মধ্যে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্যই এসব কথা হচ্ছে। আমি কারো কাছে কোন টাকা-পয়সা চাইনি। আমি আমার ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজনীতি করি না। আমাকে পদ থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়েছে। অবশ্য কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আমি এটাকে সম্মান-শ্রদ্ধা জানাই। তবে আমার পদ থাকুক আর না থাকুক- আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। আমি আমার আদর্শ সবসময় ধরে রাখবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুই দিন আগে হোক, পরে হোক- আমি যে এর সাথে জড়িত নই, সেটি আমি কেন্দ্রে প্রমাণ করবো।’
জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ বলেন, ‘পায়েল পুলিশের সোর্স ছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতেই পারে। কিন্তু আমরা তার বিনিময়ে টাকা আদায় করতে পারি না। দলের মধ্যে সাইমন কয়েকজনকে নিয়ে একটা সিন্ডিকেট করে এভাবে টাকা আদায় করছেন। এতদিন প্রমাণ ছিল না বলে চুপ ছিলাম। প্রমাণ পাওয়ায় এগুলো প্রকাশ করেছি। এব্যাপারে কেন্দ্র থেকে তাকে অব্যাহতিও দিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে দেয়ার উদ্দেশ্য হলো, এটি ক্লিয়ার ম্যাসেজ। যাতে করে এটি দেখে অন্যরাও সতর্ক হয়।’
টাকার বিনিময়ে মামলার অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, আসামির সঙ্গে এমন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর মো. সাইমন রেজা নামে রাজশাহীর এক ছাত্রদল নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অব্যাহতি পাওয়া মো. সাইমন রেজা নগরের বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ কয়েকটি অডিও ফাঁস করেন ফেসবুকে। যেখানে সাইমন রেজার মতো হুবহু কণ্ঠের একজনকে আসামির কাছ থেকে টাকা চাইতে শোনা যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সাইমন রেজা গত ২৭ অক্টোবর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পায়েল নামের আরেক আসামি আছেন, যিনি আওয়ামী লীগ কর্মী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। দাবি করা হচ্ছে, এই পায়েলের কাছেই টাকা চেয়েছেন সাইমন।
মহানগর ছাত্রদল সম্পাদক সৌরভের ফাঁস করা অডিও'র কথোপকথনে শোনা যায়, এক ব্যক্তি বলছেন- ‘কাল তো মঙ্গলবার। কাল আমি লোন লেখাব। ইনশাল্লাহ আগামী মঙ্গলবার দিয়ে দিব।’ অপরজন বলছেন, ‘সবার কথা হলো, ৫০-এর নিচে আসবে না। আমি কথা বললাম। ওদের সবারই একটা মতামত, আমরা কিছু নামলাম, ওকেও কিছু উঠতে বলো। আর পাঁচটা হাজার টাকা দিয়ে ২৫ করতে বলো। যদি হয় তো বলো, যা করার করে দিচ্ছি। ওর কোন সমস্যা হবে না।’
আরেকটি অডিওতে একজন বলছেন, ‘আমি ১০ হাজার টাকার মতো রেডি করে ফেলেছি। আর ১৫ হাজার টাকা, আর তো আর দুইদিন টাইম নেওয়া আছে। আমি যেদিন টাকা দিব, সেদিনই কোর্ট থেকে নামটা তুলে দিবেন না ভাইয়া?’ অপরজন তখন বলেন, ‘আপনার কোন সমস্যা হবে না। আপনি দোকানে বসবেন। আপনার কোন সমস্যা হলে আমি আছি।’
আরেক অডিওতে একজন বলছেন, ‘আপনাকে একটা নাম্বার দিচ্ছি, ওখানে আপনি ১০ মেরে দিয়েন। আপনি দোকান করবেন। যদি কোন সমস্যা হয়, আমার নাম্বার তো থাকলই। সমস্যা হলে আমাকে কল দিবেন। আপনার নাম অটোমেটিক কাটা হয়ে যাবে। আপনি দেখবেন। কাটা হয়ে গেলে আপনাকে ছবি তুলে দিয়ে দিব।’ অপরপ্রান্তের ব্যক্তি বলছেন, ‘তাহলে আমি পোরশুদিন ফুল পেমেন্ট দিয়ে দিব।’ তখন অপরজন বলছেন, ‘আজ ১০ হলে ভাল হয়, আমার একটু লাগত।’
আরেকটি অডিওতে জেলে না যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘আপনার যদি দুদিনের লাইগাও ভিতরে থাকতে হয়, আপনার স্যান্ডেল খুইলে আমার গালে মাইরেন, যান।’ অপর অডিওতে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি একা না। আরও দুই-তিনজনকে বের করা লাগবে। তোমাকে যেটুকু হেল্প করছি, সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবেই রিস্কের মধ্যেই করছি।’
তবে যোগাযোগ করা হলে সাইমন রেজা পায়েলের সঙ্গে কথোপথনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে অসংখ্যবার পায়েল কল করেছিল এটি সত্য। আমি তাকে বার বার বলেছি যে, আপনি যদি নিরপরাধ হয়ে থাকেন অবশ্যই মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন। কিন্তু আমার কথোপকথনের মধ্যে টাকা চাওয়ার বিষয়গুলো সুপার এডিট করে ঢুকানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছবি ব্যবহার করে অন্য একটি হোয়াটঅ্যাপ নম্বরেও বিভিন্নজনের সঙ্গে আমার নাম করে কথা বলা হয়েছে। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সমাজে কিংবা দলের মধ্যে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্যই এসব কথা হচ্ছে। আমি কারো কাছে কোন টাকা-পয়সা চাইনি। আমি আমার ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজনীতি করি না। আমাকে পদ থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়েছে। অবশ্য কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আমি এটাকে সম্মান-শ্রদ্ধা জানাই। তবে আমার পদ থাকুক আর না থাকুক- আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। আমি আমার আদর্শ সবসময় ধরে রাখবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুই দিন আগে হোক, পরে হোক- আমি যে এর সাথে জড়িত নই, সেটি আমি কেন্দ্রে প্রমাণ করবো।’
জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ বলেন, ‘পায়েল পুলিশের সোর্স ছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতেই পারে। কিন্তু আমরা তার বিনিময়ে টাকা আদায় করতে পারি না। দলের মধ্যে সাইমন কয়েকজনকে নিয়ে একটা সিন্ডিকেট করে এভাবে টাকা আদায় করছেন। এতদিন প্রমাণ ছিল না বলে চুপ ছিলাম। প্রমাণ পাওয়ায় এগুলো প্রকাশ করেছি। এব্যাপারে কেন্দ্র থেকে তাকে অব্যাহতিও দিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে দেয়ার উদ্দেশ্য হলো, এটি ক্লিয়ার ম্যাসেজ। যাতে করে এটি দেখে অন্যরাও সতর্ক হয়।’
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু।
১১ ঘণ্টা আগেএ বছর নান্দাইলে আউশ ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। এবার ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে মাত্র ৮৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ফলন ভালো হয়েছে, প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ২.৮২ মেট্রিক টন।
১৩ ঘণ্টা আগে