
রাজশাহী ব্যুরো

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলামের দ্রুত অপসারণ দাবি করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত না নিলে তারা নিজেরাই পদত্যাগ করবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সিএন্ডবি মোড়ের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপির রাজশাহী জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম সাজু।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাইফুল ইসলামকে নেতা না বানানোর অনুরোধে আমরা কেন্দ্রকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারপরও তাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তিনি স্বৈরাচারের দোসর, আর জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো যুবলীগ ক্যাডার রুবেল তার অন্যতম সহযোগী। এমন কালো শক্তির নেতৃত্বে রাজশাহীর এনসিপি চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী এনসিপিকে ঘিরে ব্যক্তিস্বার্থে যে নোংরামি চলছে, তা আর বরদাশত করা হবে না। রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজারো কর্মীর শ্রম, ঘাম ও ত্যাগে সংগঠনটি দাঁড়িয়েছে। সুতরাং দলকে সামনে রেখে নোংরামি বন্ধ না করলে কালো শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে এখনো পরিশ্রমীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। সঠিক মূল্যায়ন হলে সংগঠনটি আরও সুসংগঠিত হতে পারত।
নিজের ১১ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও রাজপথের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও রাজনীতির কারণে পড়তে পারিনি। ক্রসফায়ারের আসামির মতো পরিস্থিতিও মোকাবিলা করেছি। তবুও শুধু বয়সের কারণে আমাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের স্বার্থে সব মেনেছি।
যোগ্যতার মূল্যায়ন বয়সনির্ভর হওয়া উচিত কি না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি বয়সই সব হতো, তাহলে নাহিদ ইসলাম ভাইয়ের নেতৃত্বে তো বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা পেত না। তার দাবি, রাজশাহীতে মাঠের কর্মীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন, অথচ ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করা ব্যক্তিরা যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
তারা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আহ্বান জানান— যোগ্যতার ভিত্তিতে রাজশাহী জেলা কমিটিকে পুনর্মূল্যায়ন এবং বিদ্যমান সংকট দ্রুত সমাধানের জন্য।
নেতারা আরও বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে দলটিকে ধ্বংস হতে দেব না। প্রয়োজনে আমাদের ছুটি দিন, কিন্তু কোনো কালো শক্তি, লোভ বা ক্ষমতার কারণে আমরা আমাদের আদর্শ বিসর্জন দেব না।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর ১০৫ সদস্যের রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে সম্প্রতি বিলুপ্ত হওয়া সমন্বয় কমিটির যুগ্ম–সমন্বয়ক সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে— জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং অস্ত্রধারী যুবলীগ ক্যাডার রুবেলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এ কারণে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এনসিপির একটি অংশ তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলামের দ্রুত অপসারণ দাবি করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত না নিলে তারা নিজেরাই পদত্যাগ করবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সিএন্ডবি মোড়ের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপির রাজশাহী জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম সাজু।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাইফুল ইসলামকে নেতা না বানানোর অনুরোধে আমরা কেন্দ্রকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারপরও তাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তিনি স্বৈরাচারের দোসর, আর জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো যুবলীগ ক্যাডার রুবেল তার অন্যতম সহযোগী। এমন কালো শক্তির নেতৃত্বে রাজশাহীর এনসিপি চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী এনসিপিকে ঘিরে ব্যক্তিস্বার্থে যে নোংরামি চলছে, তা আর বরদাশত করা হবে না। রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজারো কর্মীর শ্রম, ঘাম ও ত্যাগে সংগঠনটি দাঁড়িয়েছে। সুতরাং দলকে সামনে রেখে নোংরামি বন্ধ না করলে কালো শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে এখনো পরিশ্রমীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। সঠিক মূল্যায়ন হলে সংগঠনটি আরও সুসংগঠিত হতে পারত।
নিজের ১১ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও রাজপথের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও রাজনীতির কারণে পড়তে পারিনি। ক্রসফায়ারের আসামির মতো পরিস্থিতিও মোকাবিলা করেছি। তবুও শুধু বয়সের কারণে আমাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের স্বার্থে সব মেনেছি।
যোগ্যতার মূল্যায়ন বয়সনির্ভর হওয়া উচিত কি না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি বয়সই সব হতো, তাহলে নাহিদ ইসলাম ভাইয়ের নেতৃত্বে তো বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা পেত না। তার দাবি, রাজশাহীতে মাঠের কর্মীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন, অথচ ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করা ব্যক্তিরা যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
তারা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আহ্বান জানান— যোগ্যতার ভিত্তিতে রাজশাহী জেলা কমিটিকে পুনর্মূল্যায়ন এবং বিদ্যমান সংকট দ্রুত সমাধানের জন্য।
নেতারা আরও বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে দলটিকে ধ্বংস হতে দেব না। প্রয়োজনে আমাদের ছুটি দিন, কিন্তু কোনো কালো শক্তি, লোভ বা ক্ষমতার কারণে আমরা আমাদের আদর্শ বিসর্জন দেব না।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর ১০৫ সদস্যের রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে সম্প্রতি বিলুপ্ত হওয়া সমন্বয় কমিটির যুগ্ম–সমন্বয়ক সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে— জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং অস্ত্রধারী যুবলীগ ক্যাডার রুবেলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এ কারণে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এনসিপির একটি অংশ তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কমিটিকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলার দায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতাকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকায় এবং অধ্যাদেশ জারিতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষাভবন মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১টার দিকে তারা শিক্ষাভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
১ দিন আগে
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রক্রিয়ার সংস্কার, বাজারে একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং সবার জন্য মোবাইল ফোন আমদানির উন্মুক্ত সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা।
১ দিন আগে
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায় এবং মৃত ব্যক্তির পকেট তল্লাশি করে ৬১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
১ দিন আগে