
রাজশাহী ব্যুরো

উত্তরের জনপদ রাজশাহীতে শীত যেন সবকিছু থমকে দিয়েছে। টানা ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর সূর্যহীন থাকায় জেলায় জেঁকে বসেছে শীতের প্রকোপ। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ।
গত চার দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই পদ্মা পাড়ের এই জেলায়। কুয়াশার চাদরে ঢাকা নগর ও গ্রামাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ক্রমাগত কমে আসায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনে।
শীতের সবচেয়ে বড় আঘাত এসে পড়েছে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের ওপর। কাজের খোঁজে ভোরে নগরীতে ছুটে এলেও ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়ে। চারঘাট উপজেলা থেকে তালাইমারী এলাকায় আসা দিনমজুর সাজদুর রহমান বলেন, এত ঠান্ডায় মানুষ ঘর থেকেই বের হচ্ছে না। কাজও নেই। আগে সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ পেতাম, এখন দুই দিনও মেলে না।
রিকশাচালক সাহেব আলীর কণ্ঠেও একই হতাশা। তিনি বলেন, হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। শরীর কাঁপে। রাস্তায় যাত্রী কম, আয় নেই। খুব কষ্টে আছি।
নগরীর ভদ্রা বস্তিতে গিয়ে দেখা যায় আরও করুণ চিত্র। সত্তর বছরের মর্জিনা বেগম কাঁপতে কাঁপতে বলেন, গায়ে দেওয়ার মতো ভালো কাপড় নাই। আগে কেউ কেউ কম্বল দিত, এবার কেউ আসে নাই। এই শীতে বাঁচাই মুশকিল।
শীতের দাপটে বদলে গেছে নগরীর চিরচেনা চিত্রও। সন্ধ্যা নামতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সড়ক। বিকেলের পর থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ দোকানপাট। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও কঠিন বলে জানান বানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, খোলা মাঠ আর ঘন কুয়াশার কারণে গ্রামে শীত অনেক বেশি লাগে।
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগও। বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তুলনামূলক বেশি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মেঘ ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত সোয়া তিনটার পর থেকে শীত বাড়তে শুরু করে। ভোরের দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি ছিল। কুয়াশার কারণে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

উত্তরের জনপদ রাজশাহীতে শীত যেন সবকিছু থমকে দিয়েছে। টানা ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর সূর্যহীন থাকায় জেলায় জেঁকে বসেছে শীতের প্রকোপ। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ।
গত চার দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই পদ্মা পাড়ের এই জেলায়। কুয়াশার চাদরে ঢাকা নগর ও গ্রামাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ক্রমাগত কমে আসায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনে।
শীতের সবচেয়ে বড় আঘাত এসে পড়েছে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের ওপর। কাজের খোঁজে ভোরে নগরীতে ছুটে এলেও ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়ে। চারঘাট উপজেলা থেকে তালাইমারী এলাকায় আসা দিনমজুর সাজদুর রহমান বলেন, এত ঠান্ডায় মানুষ ঘর থেকেই বের হচ্ছে না। কাজও নেই। আগে সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ পেতাম, এখন দুই দিনও মেলে না।
রিকশাচালক সাহেব আলীর কণ্ঠেও একই হতাশা। তিনি বলেন, হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। শরীর কাঁপে। রাস্তায় যাত্রী কম, আয় নেই। খুব কষ্টে আছি।
নগরীর ভদ্রা বস্তিতে গিয়ে দেখা যায় আরও করুণ চিত্র। সত্তর বছরের মর্জিনা বেগম কাঁপতে কাঁপতে বলেন, গায়ে দেওয়ার মতো ভালো কাপড় নাই। আগে কেউ কেউ কম্বল দিত, এবার কেউ আসে নাই। এই শীতে বাঁচাই মুশকিল।
শীতের দাপটে বদলে গেছে নগরীর চিরচেনা চিত্রও। সন্ধ্যা নামতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সড়ক। বিকেলের পর থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ দোকানপাট। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও কঠিন বলে জানান বানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, খোলা মাঠ আর ঘন কুয়াশার কারণে গ্রামে শীত অনেক বেশি লাগে।
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগও। বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তুলনামূলক বেশি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মেঘ ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত সোয়া তিনটার পর থেকে শীত বাড়তে শুরু করে। ভোরের দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি ছিল। কুয়াশার কারণে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এ দুই আসনের প্রার্থিতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর একজন ভিন্ন দল ও আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দুই আসনে ভোটের হিসাব-নিকাশও নতুন করে করতে শুরু করে দিয়েছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
২ দিন আগে
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এবার সময় আসছে পরিবর্তনের। এই ভোট হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এই ভোট হবে জুলুমের বিপক্ষে। এই ভোট হবে ১৭ বছর যেই মহিলা মাঠে ছিল, তার পক্ষে। এই ভোট হবে যখন আপনারা মামলা–হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন যে মানুষ আপনাদের পক্ষে সংসদে এবং সংসদের বাইরে কথা বলেছে, এই ভোট
২ দিন আগে
উল্লেখ্য, পঞ্চগড়-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ছিলেন মো. ইকবাল হোসাইন। তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহসহ দীর্ঘদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তবে জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে আসন সমঝোতা হওয়ায় জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আসনে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। পরে ইকবাল হোসাইন
২ দিন আগে
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তারের কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। পিরোজপুর-২ আসনের (ভান্ডারিয়া–কাউখালী–নেছারাবাদ) জন্য ওই মনোনয়নপত্র নেওয়া হয়েছিল।
২ দিন আগে