এস আলমের দুর্নীতির খবর সিঙ্গাপুরের আইনজীবীদের মতে ‘অপপ্রচার’

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

আলোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে অর্থপাচার এবং ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তবে এস আলমের আইনজীবীরা এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও তার বিরুদ্ধে একটি ‘পরিকল্পিত অপপ্রচার’ বলে দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকা আজ বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম ‘Bangladesh probes Singaporean tycoon for financial crimes; his lawyers call it a smear campaign.’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইফুল আলম মাসুদের স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাদের দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আহসানুল আলম অর্থপাচারসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্তের মুখোমুখি। এছাড়া, তাদের প্রতিষ্ঠিত এস. আলম গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত সহযোগীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।

বাংলাদেশের সিআইডি জানিয়েছে, সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার সহযোগীরা প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা পাচার করেছেন।

এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি, কানালি লজিস্টিক্স, এই অর্থপাচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের আইনি প্রতিষ্ঠান ওয়ংপার্টনারশিপের আইনজীবীরা বলছেন, এসব অভিযোগ মূলত বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি গণমাধ্যমের প্রচার এবং এটি মাসুদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার। তাদের মতে, এস. আলম গ্রুপের সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থা অবৈধভাবে ফ্রিজ করেছে, যা কোম্পানির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এস আলম গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় দুই লাখ কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সাইফুল আলমে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

এস আলম এবং তার পরিবার ২০১৬ সালে সাইপ্রাসের গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। এই প্রোগ্রামটি বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি উদ্যোগ।

২০০৯ সালে পরিবারটি সিঙ্গাপুরে বসবাস শুরু করে এবং ২০১১ সালে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হয়। ২০২৩ সালে তারা সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব লাভ করেন।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ নিয়ে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে। তারা জানিয়েছে, যদি কোনো বৈধ প্রমাণ পাওয়া যায় যে অপরাধের সঙ্গে সম্পদগুলোর সম্পর্ক রয়েছে, তবে বিদেশি কর্তৃপক্ষ সিঙ্গাপুরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আইনি সহায়তার জন্য অনুরোধ করতে পারে।

সিঙ্গাপুরের মিউচুয়াল অ্যাসিস্টেন্স ইন ক্রিমিনাল ম্যাটার্স অ্যাক্ট-এর আওতায় বিদেশি বিচার বিভাগের অনুরোধে সম্পদের গতিবিধি এবং জব্দকৃত সম্পদের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হতে পারে।

সাইফুল আলম মাসুদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাদের মক্কেলকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তদন্তের বিষয়ে জানানো হয়নি। তারা আরও দাবি করেছেন যে, ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে এস আলম গ্রুপসহ বড় বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।

পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান আসাদুল আলম মাহির, যিনি মাত্র ২২ বছর বয়সী, তিনিও কর ফাঁকির অভিযোগে পৃথকভাবে তদন্তের মুখোমুখি।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একটি কমিটি গঠন করেছে, যা সাইফুল আলম, তার স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা বিস্তারিত তদন্ত করবে।

শেখ হাসিনা দুইবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ শাসন করেছেন। সর্বশেষ ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এই সময়কালে, প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হয়েছে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক গঠন করা কমিশন একটি হোয়াইট পেপারে উল্লেখ করেছে।

এসব অভিযোগ ও তদন্ত বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক জগতে বিশাল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এস আলমের ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক

২০২৩ সালের অক্টোবরে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস-এ একটি প্রতিবেদনে সাইফুল আলম, তার পরিবার এবং তাদের বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোতে অধিষ্ঠিত পদ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন।

সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম ২০২৩ সালের জুনে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ইউনিয়ন ব্যাংকের একই পদে ছিলেন।

তার মেয়ে মাইমুনা খানমের স্বামী বেলাল আহমেদ ২০২৩ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন। এর আগে তিনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন এবং মাইমুনা সেই একই পদে কাজ করেছিলেন।

সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনের পর সাইফুল আলম ও তার পরিবার তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

এস আলমের পরিবারের প্রতিক্রিয়া

গভর্নর আহসান মনসুরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলমের আইনজীবীরা বলেছেন, "বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তার ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো একটি চলমান অপপ্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে তুলেছেন।"

তারা আরও উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ উচ্চ আদালতের তদন্তের আদেশ বাতিল করে। তবে একই সময়ে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে নিজস্ব উদ্যোগে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেয়।

২০২৪ সালের আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর, দুদক মাসুদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ পুনরায় তদন্ত শুরু করে। এরপরের কয়েক মাসে এস. আলম গ্রুপ এবং এর সহযোগীদের অর্থ তছরুপের অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে, ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক আইন সংস্থা কুইন ইমানুয়েল উর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান বাংলাদেশের সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে সাইফুল আলমের নাগরিকত্বের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় এবং দাবি করা হয় যে, ইউনূস প্রশাসনের কার্যক্রম আলম পরিবারের বিনিয়োগ ধ্বংস করেছে এবং ২০০৪ সালে সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

অভিযোগ অব্যাহত

এই চিঠির পরও সাইফুল আলম এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযোগগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এবং ব্যবসায়িক পরিবেশে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।

ইসলামী ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাত

২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে ১,০৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।

অক্টোবর মাসে দুদকের অনুরোধে বাংলাদেশের একটি আদালত সাইফুল আলম এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া

সিঙ্গাপুরে থাকা আলম পরিবারের আইনজীবীরা এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলেন, ‘সাইফুল আলম, তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে সিঙ্গাপুরের নাগরিক। তারা বাংলাদেশি নাগরিক নন।’

এই ঘটনা আলম পরিবারের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের একটি বড় দিক হিসেবে উঠে এসেছে।

হোটেল ক্রয় ও সম্পদ বিনিয়োগ

২০০৯ সালে, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড কর্পোরেট রেগুলেটরি অথরিটির রেকর্ড অনুযায়ী, সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন সিঙ্গাপুরে কানালি লজিস্টিক্স নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর তারা সিঙ্গাপুরে বসবাস শুরু করেন।

২০১৪ সালে, কানালি লজিস্টিক্স সিঙ্গাপুরের লিটল ইন্ডিয়ায় অবস্থিত হোটেল গ্র্যান্ড চ্যান্সেলর ২৪৮ মিলিয়ন ডলারে ক্রয় করে। পরে এই হোটেলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় হিলটন গার্ডেন ইন সিঙ্গাপুর সেরাঙ্গুন।

২০১৬ সালে, কোম্পানিটি লিটল ইন্ডিয়ার সেন্ট্রিয়াম স্কয়ার-এর সমস্ত খুচরা স্পেস ১৩৫ মিলিয়ন ডলারে ক্রয় করে।

২০১৭ সালে কানালি লজিস্টিক্সের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় উইলকিনসন ইন্টারন্যাশনাল। ২০১৮ পর্যন্ত এই কোম্পানির পরিচালক ও সচিব ছিলেন শাহেদুল হক, যিনি ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রাক্তন পরিচালক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান।

সিঙ্গাপুরে আলমের আইনজীবীরা জানান, “মি. আলম আবিষ্কার করেন যে মি. হক কোম্পানির নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তহবিল পরিচালনা করেছিলেন। মি. আলমের অনুরোধে মি. হক পদত্যাগ করেন।”

২০১৮ সালে, আলম পরিবারের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলো হলিডে ইন এক্সপ্রেস সিঙ্গাপুর সেরাঙ্গুন ক্রয় করে, তবে এর ক্রয়মূল্য প্রকাশ করা হয়নি।

২০১৯ সালে, তারা প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলারে আইবিস সিঙ্গাপুর নভেনা ক্রয় করে।

মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ

২০১৬ সালে, কানালি লজিস্টিক্স এসডিএন বিএইচডি-এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় রেনেসাঁ কুয়ালালামপুর হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার ৭৬৫ মিলিয়ন রিঙ্গিতে (২৩১.৬ মিলিয়ন ডলার) ক্রয় করা হয়।

২০২৩ সালে, একই কোম্পানিকে ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার-এর মালিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

দ্য স্ট্রেইটস টাইমস আলম এবং তার স্ত্রীর নোভেনা এলাকার তালিকাভুক্ত বাসস্থানে একাধিকবার পরিদর্শন করেছে। আগের নথিতে তাদের ঠিকানা নোভেনার একটি কনডোমিনিয়ামে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ক্রয় এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম আলম পরিবারের বৈশ্বিক সম্পদ এবং তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিককে প্রতিফলিত করে।

সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রীকে তাদের নোভেনার মাল্টি-স্টোরি বাড়িতে দেখা না গেলেও, সেখানে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে ছিল তিনটি রোলস-রয়েস এবং একটি পোর্শ।

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

সিঙ্গাপুরে আলম পরিবারের আইনজীবীরা দ্য স্ট্রেইটস টাইমস-এর পক্ষ থেকে তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবে মি. আলমের জন্য সেখানে ভ্রমণ করলে তার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে।’

এই মন্তব্য আলম পরিবারের চলমান তদন্ত এবং তাদের বাংলাদেশের বাইরে থাকার সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলো তুলে ধরে।

*সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকা অবলম্বনে শাহরিয়ার শরীফ।

ad
ad

অর্থের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ঢাকা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ

ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু নিয়ম পরিপালন করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র আমরা পেয়েছি।’

৩ দিন আগে

গণতন্ত্রের গলদ

গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য

৩ দিন আগে

শোক দিবসের অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রচার ও নাশকতা করায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কামরুল হাসান তার নিজ দোকানের সামনে ইটের রাস্তায় পুরাতন মোটরসাইকেলের টায়ার জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কামরুলকে আটক করে। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য আসামিদের নাম জানতে পারে পুলিশ।

৩ দিন আগে

গ্রিন শিপবিল্ডিং খাত দেশের শিল্পায়নে সুযোগ তৈরি করবে: শিল্প উপদেষ্টা

শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ জাহাজের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএসও) ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। যে দেশগুলো পরিবেশবান্ধব, স্বল্প-নিঃসরণ জাহাজ তৈরি ও রপ্তানি করত

৪ দিন আগে