
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। ওষুধ, এলপি গ্যাস ও মোবাইলে ফোনের সিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা রয়েছে এই তালিকায়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এসংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এর পরপরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা জারি করায় শুল্ক ও করবৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যেরই খরচ বাড়বে। দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা জিনিসপত্রের দামে সাধারণ মানুষকে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, এই অধ্যাদেশের ফলে তা আরও বাড়বে।
যে দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক ও করহার বাড়ানো হয়েছে সেগুলো হলো— মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
এই অধ্যাদেশে যেসব পণ্যের ওপর কর ও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— বিস্কুট, ওষুধ, মিষ্টি, কয়েক ধরনের টিস্যু, মোটর গাড়ির গ্যারেজ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, চশমার ফ্রেম। বাড়ানো হয়েছে সিগারেটের দাম ও এর ওপর আরোপিত কর। পোশাক কেনাকাটায় কর বাড়ানোয় বাড়তে পারে পোশাক কেনার খরচ। রেস্তোরাঁর খাবারের খরচও বাড়বে।
শুল্ক-কর বাড়ানোর তালিকায় আরও আছে বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রঙ, ডিটারজেন্ট, পটেটো ফ্ল্যাকস, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে ভ্রমণ কর।
এদিকে মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের ওপর এতদিন ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা ছিল। এটি বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা বা আইএসপির ওপর প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়েছে। ফলে ফোনে কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলেও খরচ বাড়বে।
এর আগে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় কর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব সরকারের কাছে দেয় এনবিআর। গত ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সে প্রস্তাব পাস হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তাতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হলো।
আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশকে, তার শর্ত হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে বলেছে। সেই বাড়তি রাজস্ব আদায়ে শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোর সুপারিশ ছিল, যা বাস্তবায়ন হলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে।
১ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন করে শতাধিক পণ্য-সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়ার পরই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। শুল্ক-কর বাড়ানো হলে এসব পণ্য-সেবায় মানুষের খরচ বাড়বে এবং তা উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বড় ধরনের চাপ হয়ে দাঁড়াবে— এমনটিই আশঙ্কা সাধারণ মানুষসহ বিশেষজ্ঞদের।
সরকারের তরফ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়, এর ফলে জিনিসপত্রের দাম খুব একটা বাড়বে না। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, এতে নিত্যপণ্যের বাজারে ‘প্রভাব পড়বে না’। অন্যদিকে কর আদায়কারী সংস্থা এনবিআর বলেছিল, এর ফলে মূল্যস্ফীতিতে ‘প্রভাব পড়বে না’।

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। ওষুধ, এলপি গ্যাস ও মোবাইলে ফোনের সিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা রয়েছে এই তালিকায়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এসংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এর পরপরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা জারি করায় শুল্ক ও করবৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যেরই খরচ বাড়বে। দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা জিনিসপত্রের দামে সাধারণ মানুষকে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, এই অধ্যাদেশের ফলে তা আরও বাড়বে।
যে দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক ও করহার বাড়ানো হয়েছে সেগুলো হলো— মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
এই অধ্যাদেশে যেসব পণ্যের ওপর কর ও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— বিস্কুট, ওষুধ, মিষ্টি, কয়েক ধরনের টিস্যু, মোটর গাড়ির গ্যারেজ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, চশমার ফ্রেম। বাড়ানো হয়েছে সিগারেটের দাম ও এর ওপর আরোপিত কর। পোশাক কেনাকাটায় কর বাড়ানোয় বাড়তে পারে পোশাক কেনার খরচ। রেস্তোরাঁর খাবারের খরচও বাড়বে।
শুল্ক-কর বাড়ানোর তালিকায় আরও আছে বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রঙ, ডিটারজেন্ট, পটেটো ফ্ল্যাকস, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে ভ্রমণ কর।
এদিকে মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের ওপর এতদিন ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা ছিল। এটি বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা বা আইএসপির ওপর প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়েছে। ফলে ফোনে কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলেও খরচ বাড়বে।
এর আগে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় কর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব সরকারের কাছে দেয় এনবিআর। গত ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সে প্রস্তাব পাস হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তাতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হলো।
আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশকে, তার শর্ত হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে বলেছে। সেই বাড়তি রাজস্ব আদায়ে শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোর সুপারিশ ছিল, যা বাস্তবায়ন হলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে।
১ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন করে শতাধিক পণ্য-সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়ার পরই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। শুল্ক-কর বাড়ানো হলে এসব পণ্য-সেবায় মানুষের খরচ বাড়বে এবং তা উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বড় ধরনের চাপ হয়ে দাঁড়াবে— এমনটিই আশঙ্কা সাধারণ মানুষসহ বিশেষজ্ঞদের।
সরকারের তরফ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়, এর ফলে জিনিসপত্রের দাম খুব একটা বাড়বে না। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, এতে নিত্যপণ্যের বাজারে ‘প্রভাব পড়বে না’। অন্যদিকে কর আদায়কারী সংস্থা এনবিআর বলেছিল, এর ফলে মূল্যস্ফীতিতে ‘প্রভাব পড়বে না’।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই শুল্ক ছাড় ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
৫ দিন আগে
বিএফআইইউয়ের সেই প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল, ব্যাংকের এমডি পদে থাকা অবস্থায় মোসলেহ উদ্দিন নিজের ও স্ত্রীর নামে পাঁচটি ব্যাংক ও চারটি ব্রোকারেজ হাউজে অস্বাভাবিক পরিমাণ অর্থ জমা করেছিলেন। এমনকি তার নিজের ব্যাংক এনসিসির ঋণগ্রহীতা ও বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকেও তার ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা জমা হওয়ার চাঞ্চল্
৬ দিন আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আতপ চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরও আতপ চাল আনা হবে।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১৭তম আসরে জরিপের ভিত্তিতে টিস্যু ক্যাটাগরিতে এবারও বেস্ট ব্র্যান্ড হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বসুন্ধরা টিস্যু।
৭ দিন আগে