
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একটি বড় বেসরকারি হাসপাতালের সেবাও। মঙ্গলবার সেখানে পালিত হয়েছে, ‘বাংলাদেশ চলো’ কর্মসূচি। ওই কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
এ অবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে ১০৫ মেট্রিক টন মাছ। প্রতি কেজি মাছের দাম আড়াই ডলার অর্থাৎ ৩০০ টাকা। যা ৩ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া রপ্তানি হয়েছে শুঁটকি। তবে কোনো ধরনের পণ্য আমদানি হয়নি।
এদিকে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের সামনের সড়কে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়। এতে যাত্রী চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। মঙ্গলবার সকালে ভারত থেকে আসা একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।‘বাংলাদেশ চলো’ কর্মসূচি আটকে দিতে এ বেড়া দেওয়া হয় বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। যদিও বন্দর এলাকার আশপাশে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।
অপরদিকে সার্বিক পরিস্থিতিতে অনেক বাংলাদেশি ওপার থেকে চলে আসছেন। সেখানে হয়রানি হওয়ারও অভিযোগ করেছেন অনেকে। নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে তারা সেখান থেকে চলে আসছেন বলে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. আল আমীন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। ২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হয় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের অফিস। এঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
একটি সূত্র জানায়, ওপারে বন্দর ও এর আশপাশে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন করা হয়। এ অবস্থায় সকাল ১১টা থেকে এপারে বিজিবিকেও সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যায়। এসবের মধ্যেই যাত্রীরা যাওয়া-আসা করেছেন। প্রায় তিনশ’ যাত্রী মঙ্গলবার যাওয়া-আসা করেন, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি।
এদিকে মাছ আমদানিতে আগ্রহ থাকলেও ওপারে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ত্রিপুরার হোটেল মালিকদের এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্তের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। হোটেলে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরকেও চলে যেতে বলা হয়। এর আগে আগরতলায় অবস্থিত আইএলএস নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশিদেরকে চিকিৎসা সেবা দিবে না বলে ঘোষণা দেয়।
চিন্ময় দাস গ্রেপ্তার ইস্যুসহ বিভিন্ন কারণে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের ত্রিপুরাসহ বিভিন্নস্থানে নিয়মিত বিক্ষোভ হচ্ছে। সেদেশে বাংলাদেশি পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ সোমবার ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের আগরতলার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভারত থেকে আসা কুমিল্লার কম্পানিগঞ্জের উজ্জল দেবনাথ মঙ্গলবার সকালে জানান, বন্দরে ঢোকার পথেই সড়কে বাঁশের বেড়া দেওয়া দেখে এসেছেন। এটি পার হয়ে আসতে খুব কষ্ট হয়। তবে আসতে কেউ বাধা দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানান, তার স্ত্রীও বেড়া দেওয়ার খবর পেয়ে যান। এ কারণে বারবার তাগাদা দেওয়ায় তিনি চলে এসেছেন। সেখানে বাংলাদেশিদের জন্য একটা ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে ফিরে আসা কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা মো. ফরিদ মিয়া জানান, কলকাতা যাওয়ার জন্য তিনি সোমবার আগরতলায় যান। রাতে থাকার জন্য একটি হোটেলে উঠেন তিনি। ঘণ্টাখানেক পর হোটেলের লোকজন এসে তাকে চলে যেতে বলে। পরে ৮০ কিলোমিটার দূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটিয়ে চলে এসেছেন।
রাস্তায় অনেক জায়গায় বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা বলাবলি করছিলো ইউনূসের (প্রধান উপদেষ্টা) পেলে পেটানো হবে।’
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান জানান, শিলচরে চলতে থাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানির স্টল দিয়েছিলেন। সোমবার একদল যুবক এসে জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিয়ে স্টলে ভাঙচুর চালায়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ যাওয়া শুরু হয়। নিজেদের মধ্যে আলোচনা আছে জানিয়ে তার আগেভাগে মাছ দিতে বলেন। সে অনুযায়ী অন্যদিনের তুলনায় আগেভাগেই মাছ যায়।
আরেক ব্যবসায়ী মো. হাসিবুল হাসান জানান, ওপারে বিভিন্ন কর্মসূচির কথা শুনা গেলেও রপ্তানিতে কোনো সমস্যা হয়নি। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি পণ্য পাঠানো হয় তাহলে তারা সেটি গ্রহণ করবেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের বেশিরভাগই ভারতীয়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা ওপারে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একটি বড় বেসরকারি হাসপাতালের সেবাও। মঙ্গলবার সেখানে পালিত হয়েছে, ‘বাংলাদেশ চলো’ কর্মসূচি। ওই কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
এ অবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে ১০৫ মেট্রিক টন মাছ। প্রতি কেজি মাছের দাম আড়াই ডলার অর্থাৎ ৩০০ টাকা। যা ৩ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া রপ্তানি হয়েছে শুঁটকি। তবে কোনো ধরনের পণ্য আমদানি হয়নি।
এদিকে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের সামনের সড়কে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়। এতে যাত্রী চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। মঙ্গলবার সকালে ভারত থেকে আসা একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।‘বাংলাদেশ চলো’ কর্মসূচি আটকে দিতে এ বেড়া দেওয়া হয় বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। যদিও বন্দর এলাকার আশপাশে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।
অপরদিকে সার্বিক পরিস্থিতিতে অনেক বাংলাদেশি ওপার থেকে চলে আসছেন। সেখানে হয়রানি হওয়ারও অভিযোগ করেছেন অনেকে। নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে তারা সেখান থেকে চলে আসছেন বলে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. আল আমীন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। ২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হয় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের অফিস। এঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
একটি সূত্র জানায়, ওপারে বন্দর ও এর আশপাশে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন করা হয়। এ অবস্থায় সকাল ১১টা থেকে এপারে বিজিবিকেও সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যায়। এসবের মধ্যেই যাত্রীরা যাওয়া-আসা করেছেন। প্রায় তিনশ’ যাত্রী মঙ্গলবার যাওয়া-আসা করেন, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি।
এদিকে মাছ আমদানিতে আগ্রহ থাকলেও ওপারে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ত্রিপুরার হোটেল মালিকদের এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্তের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। হোটেলে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরকেও চলে যেতে বলা হয়। এর আগে আগরতলায় অবস্থিত আইএলএস নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশিদেরকে চিকিৎসা সেবা দিবে না বলে ঘোষণা দেয়।
চিন্ময় দাস গ্রেপ্তার ইস্যুসহ বিভিন্ন কারণে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের ত্রিপুরাসহ বিভিন্নস্থানে নিয়মিত বিক্ষোভ হচ্ছে। সেদেশে বাংলাদেশি পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ সোমবার ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের আগরতলার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভারত থেকে আসা কুমিল্লার কম্পানিগঞ্জের উজ্জল দেবনাথ মঙ্গলবার সকালে জানান, বন্দরে ঢোকার পথেই সড়কে বাঁশের বেড়া দেওয়া দেখে এসেছেন। এটি পার হয়ে আসতে খুব কষ্ট হয়। তবে আসতে কেউ বাধা দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানান, তার স্ত্রীও বেড়া দেওয়ার খবর পেয়ে যান। এ কারণে বারবার তাগাদা দেওয়ায় তিনি চলে এসেছেন। সেখানে বাংলাদেশিদের জন্য একটা ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে ফিরে আসা কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা মো. ফরিদ মিয়া জানান, কলকাতা যাওয়ার জন্য তিনি সোমবার আগরতলায় যান। রাতে থাকার জন্য একটি হোটেলে উঠেন তিনি। ঘণ্টাখানেক পর হোটেলের লোকজন এসে তাকে চলে যেতে বলে। পরে ৮০ কিলোমিটার দূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটিয়ে চলে এসেছেন।
রাস্তায় অনেক জায়গায় বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা বলাবলি করছিলো ইউনূসের (প্রধান উপদেষ্টা) পেলে পেটানো হবে।’
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান জানান, শিলচরে চলতে থাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানির স্টল দিয়েছিলেন। সোমবার একদল যুবক এসে জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিয়ে স্টলে ভাঙচুর চালায়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ যাওয়া শুরু হয়। নিজেদের মধ্যে আলোচনা আছে জানিয়ে তার আগেভাগে মাছ দিতে বলেন। সে অনুযায়ী অন্যদিনের তুলনায় আগেভাগেই মাছ যায়।
আরেক ব্যবসায়ী মো. হাসিবুল হাসান জানান, ওপারে বিভিন্ন কর্মসূচির কথা শুনা গেলেও রপ্তানিতে কোনো সমস্যা হয়নি। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি পণ্য পাঠানো হয় তাহলে তারা সেটি গ্রহণ করবেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের বেশিরভাগই ভারতীয়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা ওপারে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হেরিটেজ সুইটসের তৃতীয় শাখা যাত্রা শুরু করল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। বসুন্ধরার ‘ই’ ব্লকের ঢালী কাঁচাবাজার ও আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য এ শাখা হবে ঐতিহ্য, স্বাদ ও আনন্দের মিলনস্থল।
২ দিন আগে
রবিবার (৯ নভেম্বর) বিইআরসি সচিব মো. নজরুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দর নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যা কার্যকর হবে আগামীকাল ৯ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
৩ দিন আগে
উপদেষ্টা বলেন, পে কমিশনের ব্যাপারটা আছে। এটা নিয়ে আমরা এখন কিছু বলতে পারি না। ওটা দেখা যাক কতদূর যায়। আমরা ইনিশিয়েট করে ফেলেছি। কিন্তু সেটা আগামী সরকার হয়তো করতে পারে।
৩ দিন আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন চেয়ে অনেকেই আবেদন দিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এমন আবেদন রয়েছে দুই হাজার ৮০০টি।
৩ দিন আগে