প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়— প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য সাড়ে ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় এই বরাদ্দ ৯৩৪ কোটি টাকা বেশি।
চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। নতুন বাজেটের প্রস্তাবিত বরাদ্দ মোট বাজেটের ১২ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিকভাবে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের জন্য চলতি অর্থবছরের তুলনায় বাড়তি বরাদ্দ। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় কম।
সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। সংসদ না থাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে তার বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রস্তাবিত এই বাজেটে চলতি অর্থবছরের তুলনায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও তাকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা দীর্ঘ দিন ধরেই শিক্ষা খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ২০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি করে আসছেন। সে হিসাবে শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণের তুলনায় প্রায় আট শতাংশ কম বরাদ্দ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
অর্থ উপদেষ্টার প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থ উপদেষ্টা মোট জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেছেন প্রায় সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটের ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। মোট বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১১ শতাংশ ৮৮ শতাংশ। সে হিসাবে এ খাতে শতাংশের হিসাবে বরাদ্দ বেড়েছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের জন্য বরাদ্দ অনেকটা কমেছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। এবার বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায়। সে হিসাবে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ কমেছে তিন হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।
বিপরীত চিত্র অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য এবার ৪৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিল ৪৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এই বিভাগের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে তিন হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের জন্যও বরাদ্দ বেড়েছে। এই বিভাগের জন্য এবার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সে হিসাবে এই বিভাগের জন্য ৮৯৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে সার্বিকভাবে বরাদ্দ বাড়লেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে। এতে উদ্বেগ জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অঙ্কে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়। কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সবসময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি।
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়— প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য সাড়ে ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় এই বরাদ্দ ৯৩৪ কোটি টাকা বেশি।
চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। নতুন বাজেটের প্রস্তাবিত বরাদ্দ মোট বাজেটের ১২ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিকভাবে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের জন্য চলতি অর্থবছরের তুলনায় বাড়তি বরাদ্দ। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় কম।
সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। সংসদ না থাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে তার বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রস্তাবিত এই বাজেটে চলতি অর্থবছরের তুলনায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও তাকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা দীর্ঘ দিন ধরেই শিক্ষা খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ২০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি করে আসছেন। সে হিসাবে শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণের তুলনায় প্রায় আট শতাংশ কম বরাদ্দ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
অর্থ উপদেষ্টার প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থ উপদেষ্টা মোট জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেছেন প্রায় সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটের ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। মোট বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১১ শতাংশ ৮৮ শতাংশ। সে হিসাবে এ খাতে শতাংশের হিসাবে বরাদ্দ বেড়েছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের জন্য বরাদ্দ অনেকটা কমেছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। এবার বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায়। সে হিসাবে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ কমেছে তিন হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।
বিপরীত চিত্র অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য এবার ৪৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিল ৪৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এই বিভাগের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে তিন হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের জন্যও বরাদ্দ বেড়েছে। এই বিভাগের জন্য এবার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সে হিসাবে এই বিভাগের জন্য ৮৯৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে সার্বিকভাবে বরাদ্দ বাড়লেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে। এতে উদ্বেগ জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অঙ্কে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়। কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সবসময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, আর্থিক খাতের অনিয়মের মামলা করতে অনেক ডকুমেন্ট দরকার হয়। হুট করে করা যায় না। তাই টাকা পাচার বা টাকা লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের এখন অন্য মামলায় আটক করা হলেও অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে যাচাই করা তথ্যের ভিত্তিতে টাকা আত্মসাতের মামলা করা হবে।
৬ দিন আগেকেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো প্রবাসী আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণেই রেমিট্যান্সে এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে।
৬ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিন পদের নিয়োগ পরীক্ষা এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। উচ্চমান সহকারী, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের এ পরীক্ষা ৩ অক্টোবর নেওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে ১১ অক্টোবর পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৬ দিন আগেবিনিয়োগকারীদের এ বিপুল বিনিয়োগ ফেরত পাওয়ার রাস্তা কী? জবাব কে দেবে? জবাব হলো— সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিবিএর দায়িত্ব হবে বিএসইসিকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার কাজ সম্পন্ন
৭ দিন আগে