প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
৯ বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) আট কোটি ১০ লাখ ডলার আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
৯ বছর আগে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক (ফেড) থেকে বাংলাদেশের ওই রিজার্ভ চুরি হয়।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলংকায় একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।
বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে আট কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে। পরে ফিলরেম মানি রেমিটেন্স কোম্পানির মাধ্যমে দ্রুত সেই অর্থ ব্যাংক সরিয়ে নেওয়া হয় তিনটি ক্যাসিনোতে।
এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয় ফিলিপাইন সরকার। বাকি টাকার কোনো হদিস মেলেনি।
এ ঘটনায় আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই মামলা চালিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেন নিউইয়র্কের আদালত। এ সময় ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় চার আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আরসিবিসি ও এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। অপরাধ হচ্ছে জেনেও অ্যাকাউন্ট খোলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর ও পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়গুলো তারা ঘটতে দিয়েছেন।
রিজার্ভ চুরির সে ঘটনাটি এক মাস পর ফিলিপাইনের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাতে বাংলাদেশে জানাজানি হয়। ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এই সাইবার জালিয়াতির ঘটনা চেপে রাখায় সমালোচনার মুখে গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন আতিউর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে আরও রদবদল আসে।
এ ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেট কমিটি তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে আরসিবিসি তাদের শাখা ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগিতোকে বরখাস্ত করে। মুদ্রা পাচার ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় আরসিবিকে এক কোটি ৯১ লাখ ডলার জরিমানা করে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডি গত ৯ বছরেও আদালতে অভিযোগপত্র দিতে পারেনি।
৯ বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) আট কোটি ১০ লাখ ডলার আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
৯ বছর আগে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক (ফেড) থেকে বাংলাদেশের ওই রিজার্ভ চুরি হয়।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলংকায় একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।
বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে আট কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে। পরে ফিলরেম মানি রেমিটেন্স কোম্পানির মাধ্যমে দ্রুত সেই অর্থ ব্যাংক সরিয়ে নেওয়া হয় তিনটি ক্যাসিনোতে।
এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয় ফিলিপাইন সরকার। বাকি টাকার কোনো হদিস মেলেনি।
এ ঘটনায় আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই মামলা চালিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেন নিউইয়র্কের আদালত। এ সময় ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় চার আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আরসিবিসি ও এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। অপরাধ হচ্ছে জেনেও অ্যাকাউন্ট খোলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর ও পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়গুলো তারা ঘটতে দিয়েছেন।
রিজার্ভ চুরির সে ঘটনাটি এক মাস পর ফিলিপাইনের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাতে বাংলাদেশে জানাজানি হয়। ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এই সাইবার জালিয়াতির ঘটনা চেপে রাখায় সমালোচনার মুখে গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন আতিউর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে আরও রদবদল আসে।
এ ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেট কমিটি তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে আরসিবিসি তাদের শাখা ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগিতোকে বরখাস্ত করে। মুদ্রা পাচার ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় আরসিবিকে এক কোটি ৯১ লাখ ডলার জরিমানা করে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডি গত ৯ বছরেও আদালতে অভিযোগপত্র দিতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, মার্চ প্রান্তিক শেষে কোটি টাকা আমানতের হিসাব ছিল এক লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি। জুন শেষে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এল লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি।
৫ দিন আগেমালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম এ সামিটের উদ্বোধন করেন এবং মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের র্ঊধ্বতন নির্বাহী, র্কমর্কতা এবং বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জিফা অ্যাওয়ার
৫ দিন আগেআইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, সিটি ব্রোকারেজের এমডি ও সিইও এম আফফান ইউছুফ এবং সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক-সিএফও ও সিটি ব্রোকারেজের পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান চুক্তিতে সই করেছেন।
৫ দিন আগেআওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাপের মুখে পড়েন এই সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক। গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, দুই ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও নীতি উপদেষ্টা পদত্যাগে বাধ্য হন। তারা সবাই চুক্তিভিত্তিক কর্মরত ছিলেন। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পট পর
৫ দিন আগে