নারী কমিশনের সুপারিশ সমাজ-রাষ্ট্র ও ধর্ম-নারীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে: এনসিপি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

প্রতিবেদন প্রকাশের দুই সপ্তাহ পর নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ ওই প্রতিবেদন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, এই কমিশনের কিছু কিছু সুপারিশ সমাজ ও রাষ্ট্র এবং ধর্ম ও নারীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

সোমবার (৫ মে) এনসিপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক এই অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা বিবৃতিটি এনসিপির ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।

দলটি বলছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করে। ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর গঠিত হয় ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’, যা ২০২৫ সালের ১৯ এপ্রিল প্রস্তাবনা পেশ করে। এর পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য গঠিত হয়েছে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’, যার আওতাভুক্ত ছয়টি সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ঐক্যমত্য কমিশনের আওতায় ছিল না। ফলে এই বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলগুলো পূর্ব আলোচনা বা মতামত প্রদানের সুযোগ পায়নি। আমরা লক্ষ্য করছি যে, এই কমিশনের প্রস্তাবনাকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন মাত্রার আলোচনা ও মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্যবৃন্দের মধ্যে সমাজের সকল অংশের নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়েছে বলে এনসিপি মনে করে না। সংস্কারের কিছু প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে এবং সকল নাগরিকের বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নীতি প্রণয়ন করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। নারী কমিশনের কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে রাষ্ট্রের দ্বান্দ্বিক অবস্থান তৈরি করে সমাজ বনাম রাষ্ট্র এবং ধর্ম বনাম নারী মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, যেসব বিষয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোতে সকল প্রতিনিধিত্বশীল অংশীজনদের সাথে গঠনমূলক আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।

প্রস্তাবনার সমালোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমাবেশ থেকে নারীদের প্রতি প্রকাশ্যে যে শ্লেষাত্মক ও অমর্যাদাকর বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এনসিপি। বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রামে তো বটেই বিশেষত জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সকল শ্রেণি, পেশা, ধর্ম, বর্ণের নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের ফলে পনের বছরের জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদ থেকে জাতির মুক্তি ঘটেছে। এই ইতিহাসকে আমরা ভুলবো না।

এতে আরো বলা হয়, এনসিপি নারীদের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও সামাজিক সংগ্রামকে গভীরভাবে উপলব্ধি করে এবং নারীর মর্যাদা ও অধিকার বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জাতীয় নাগরিক পার্টি নারীদের সাথে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারেননি তারেক রহমান, তার পক্ষে নেতাদের শ্রদ্ধা

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সাধারণত সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য খোলা থাকে। তারেক রহমান সময়ের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। সে কারণে সূর্যাস্তের আগে আগে বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে তার পক্ষে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।

৭ ঘণ্টা আগে

বাবার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বাবার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। পরে কিছু সময় বাবার কবরের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

৮ ঘণ্টা আগে

পূর্বাচল ৩০০ ফিটের বর্জ্য অপসারণ করল বিএনপি

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট মহাসড়ক), বিমানবন্দর সড়ক ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে জমে থাকা সব ধরনের বর্জ্য পরিষ্কার করা হচ্ছে।

৯ ঘণ্টা আগে

দেড় যুগ পর বাবার কবরে যাচ্ছেন তারেক রহমান, অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা

প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরে বাবার কবর জিয়ারতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমন ঘিরে শেরে বাংলা নগর এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এদিকে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ওই এলাকায় নেতাকর্মীরা ভিড় জমিয়েছেন।

১০ ঘণ্টা আগে