প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি জেনারেল এস এম ফরহাদ। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটির এই নেতা বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নামে রগ কাটার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নথি (তথ্য–প্রমাণ) নেই। বরং গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এস এম ফরহাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করা ফরহাদ সম্প্রতি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম ফরহাদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় কিছু প্রধান বাধা মনে করে। তারা সবচেয়ে শক্তিশালী বাধা মনে করে ছাত্রশিবিরকে। এমনও হয়েছে যে কেউ নামাজ পড়ছে, এমন অবস্থায় তুলে নিয়েও বলেছে ‘অস্ত্রসহ আটক’।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের বিষয়ে একটা ভীতি তৈরি করেছিল। তবে আমাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের (তিনি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম) আত্মপ্রকাশের পর তা একেবারেই ভেঙে গেছে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই ছিলাম।’
কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতনের সাম্প্রতিক আন্দোলনটি সব মানুষের আন্দোলন ছিল বলে উল্লেখ করেন এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা নিজেদের দলের পরিচয় ভুলে গিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী এখানে শামিল হয়েছেন। শিবিরও তার রিসোর্স (নেতা–কর্মী) নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। কোনটা কার পরিকল্পনা, কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে—এসব কৃতিত্ব নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের (চেতনা) সঙ্গে যায় না। এখানে ছাত্রদল, বাম ছাত্রসংগঠনের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে ১৯৯০ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাসে রাজনীতি না করতে দেওয়ার বিষয়ে সব ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মতৈক্য হয়েছিল। এ বিষয়ে শিবির নেতা ফরহাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলার অধিকার কেবল সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের রয়েছে। সেখানে পরিবেশ পরিষদ কারও বিষয়ে একমত হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
এস এম ফরহাদ আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে রাজনীতি নিয়ে এখন যে চিন্তা আছে, এটা গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী বয়ানেরই ফলাফল। তারা দেখেছে, ছাত্ররাজনীতি মানে নেতাকে প্রটোকল দেওয়া, হলে আসন বণ্টন করা, ভিন্নমতকে নির্যাতন করা এবং কারও কথা বলতে না পারা। কিন্তু আমূল সংস্কারের পর এসব পরিবেশ পরিবর্তন হলে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতিকে গ্রহণ করবেন।
রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি জেনারেল এস এম ফরহাদ। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটির এই নেতা বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নামে রগ কাটার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নথি (তথ্য–প্রমাণ) নেই। বরং গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এস এম ফরহাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করা ফরহাদ সম্প্রতি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম ফরহাদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় কিছু প্রধান বাধা মনে করে। তারা সবচেয়ে শক্তিশালী বাধা মনে করে ছাত্রশিবিরকে। এমনও হয়েছে যে কেউ নামাজ পড়ছে, এমন অবস্থায় তুলে নিয়েও বলেছে ‘অস্ত্রসহ আটক’।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের বিষয়ে একটা ভীতি তৈরি করেছিল। তবে আমাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের (তিনি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম) আত্মপ্রকাশের পর তা একেবারেই ভেঙে গেছে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই ছিলাম।’
কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতনের সাম্প্রতিক আন্দোলনটি সব মানুষের আন্দোলন ছিল বলে উল্লেখ করেন এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা নিজেদের দলের পরিচয় ভুলে গিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী এখানে শামিল হয়েছেন। শিবিরও তার রিসোর্স (নেতা–কর্মী) নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। কোনটা কার পরিকল্পনা, কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে—এসব কৃতিত্ব নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের (চেতনা) সঙ্গে যায় না। এখানে ছাত্রদল, বাম ছাত্রসংগঠনের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে ১৯৯০ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাসে রাজনীতি না করতে দেওয়ার বিষয়ে সব ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মতৈক্য হয়েছিল। এ বিষয়ে শিবির নেতা ফরহাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলার অধিকার কেবল সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের রয়েছে। সেখানে পরিবেশ পরিষদ কারও বিষয়ে একমত হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
এস এম ফরহাদ আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে রাজনীতি নিয়ে এখন যে চিন্তা আছে, এটা গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী বয়ানেরই ফলাফল। তারা দেখেছে, ছাত্ররাজনীতি মানে নেতাকে প্রটোকল দেওয়া, হলে আসন বণ্টন করা, ভিন্নমতকে নির্যাতন করা এবং কারও কথা বলতে না পারা। কিন্তু আমূল সংস্কারের পর এসব পরিবেশ পরিবর্তন হলে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতিকে গ্রহণ করবেন।
ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে। এ দেশের মানুষকে তারা শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। তারা বিশ্বজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্প
১৬ ঘণ্টা আগেবিএনপি আগামী ১৫ অক্টোবর জুলাই সনদ সইয়ের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
২১ ঘণ্টা আগেসবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে জনগণ একে অপরের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে অংশ নেয়- এটাই বাংলাদেশি জাতির ঐতিহ্য।’ তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এই ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন।’
২ দিন আগেবৈঠক শেষে পাটওয়ারী বলেন, তারা (ইসি) যেহেতু ব্যাখ্যা দিতে পারেনি, এখন আমরা প্রতীক প্রশ্নে নেই। আমরা মনে করেছি প্রতীক প্রশ্নে তাদের ওপর অন্য কিছু বিরাজ করছে। অথবা প্রতীক সামনে রেখে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা মনে করি এই মাসের মধ্যেই এটা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে।
২ দিন আগে