৩ ভিপি প্রার্থীর প্রশ্ন— ডাকসুর ব্যালট গাউসুল আজম মার্কেটে অরক্ষিত ছিল কেন

ঢাবি প্রতিনিধি
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে অভিযোগ নিয়ে কথা হওয়ার পর রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন (বাঁ থেকে) উমামা ফাতেমা, আবিদুল ইসলাম খান ও আব্দুল কাদের। ছবি: রাজনীতি ডটকম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দুদিন আগে গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পেপারের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থী। নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতির তালিকা প্রকাশের দাবিও জানান তারা।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব প্রার্থী ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তাদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। পরে রেজিষ্ট্রার ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান প্রার্থীরা।

এ সময় প্রার্থীরা প্রশ্ন তুলে বলেন, গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় থাকার অভিযোগ নিয়ে কেন এখনো নির্বাচন কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পরিষ্কার করা হচ্ছে না? নির্বাচনের এতদিন পরও তাদের অভিযোগগুলোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদেরসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, আমরা সবাই রাষ্ট্রের স্বার্থে বেড়ে উঠেছি। আমাদের কাছে জয়-পরাজয় বলতে কিছু নেই। আমরা লড়াই করেছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। আমরা সুস্থ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চর্চা করতে চেয়েছি। তাই নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে অনিয়ম অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমরা কোনো আন্দোলন, অবরোধ বা মিছিলে যাইনি। বরং নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই অভিযোগগুলোর বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাইনি।

আবিদ আরও বলেন, আমাদের কনসার্ন হলো— গাউসুল আজমের নিচতলায় ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে নির্বাচনে দুদিন আগে। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে আমরা আরও অনেকগুলো অভিযোগ দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এগুলোর জবাব দেওয়া।

বৈষম্যবিরোধী প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ডাকসু নির্বাচনের আগে ও পরে আমরা নানা সংশয়ের কথা জানিয়েছি। প্রার্থী, বিভিন্ন প্যানেলের সদস্য, সাধারণ শিক্ষার্থী— সবাই তাদের সংশয় প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নির্বাচনের পরও আমরা কনসার্ন জানিয়েছি। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি— আমাদের নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, আমাদের কনসার্ন নির্বাচন কমিশন ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে।

কাদের আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চেয়েছে। যেমন— ব্যালট পেপারের মতো সংবেদনশীল বিষয় আমরা দেখেছি গাউসুল আজম মার্কেটে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে ছিল। এটি ভয়াবহ উদ্বেগজনক। ভোটার উপস্থিতির তালিকা আমরা দেখতে চেয়েছি। কিন্তু এসব বিষয়ে প্রশাসনের অনীহা শিক্ষার্থীদের সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হোক। তবে বারবার গড়িমসি করলে শিক্ষার্থীদের মনে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তা ভবিষ্যতে আরও সমস্যা তৈরি করবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না হলে এই নির্বাচন ইতিহাসে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ইতিহাসে যখন বিচার-বিশ্লেষণ হবে, তখন এই ৯ সেপ্টেম্বরের ডাকসু নির্বাচন নিয়েও নানা বিশ্লেষণ হবে। এই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রায় ৪০০-৫০০ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। তারাসহ হলগুলোর প্রার্থীরাও তাদের পক্ষ থেকে নানা কনসার্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে। বিভিন্ন প্যানেল থেকেও আবেদন করা হয়েছে, লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে পরিষ্কার করতে প্রশাসনের গড়িমসি আমরা লক্ষ্য করছি।

উমামা বলেন, প্রথমত, ব্যালট পেপার গাউসুল আজম মার্কেটে পাওয়া গেছে। দ্বিতীয়ত, ভোটার উপস্থিতির তালিকার বিষয়ে একাধিকবার লিখিতভাবে বলা হলেও তা দেওয়া হয়নি। আমরা উপাচার্য স্যার ও প্রক্টর স্যারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। নির্বাচন হয়ে গেছে ১৫ দিন, তবু প্রশাসন আন্তরিকভাবে এসব বিষয়ে সমাধান না করে বরং গড়িমসি করছে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন সেলে যুক্ত হলেন যারা

সেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইটি সেল, প্রচার ও প্রকাশনা সেল, দপ্তর সেল, মিডিয়া সেল, অর্থ সেল এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।

১ ঘণ্টা আগে

কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয় : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ফ্যাসিবাদের রোষানল থেকে বাঁচতে ফ্যাসিবাদবিরোধীদের কেউ কেউ ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করেছিল।’ একইভাবে পতিত-পরাজিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তিও বর্তমানে ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করে দেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করে কি না, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার

২ ঘণ্টা আগে

জামায়াতসহ ৮ দলের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

এদিনের বৈঠকে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকার সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান আট দলের নেতারা। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।

২ ঘণ্টা আগে

'জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি'

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। আমরা যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি আছি। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করব।

২ ঘণ্টা আগে