
টিম রাজনীতি ডটকম

সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি, ওঠেন তার জন্য নির্ধারিত বিশেষ বাসে। তবে জনস্রোত ঠেলে মঞ্চ থেকে বাস পর্যন্ত শ দুয়েক গজ রাস্তা পেরোতেই তার সময় লেগে যায় প্রায় ৩ মিনিট। আরও প্রায় ১০ মিনিট পরে ছাড়ে বাসটি। সেই বাসে করেই এখন তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে।
এর আগে সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে পৌঁছালেও মানুষের ভিড়ের কারণে বাস থেকে নামতে পারছিলেন না তারেক রহমান। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিকেল সাড়ে ৩টার কিছু সময় পরে বাস থেকে নামেন তিনি, ওঠেন সংবর্ধনা মঞ্চে। ডায়াসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে স্বাগত জানান।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ডায়াসে দাঁড়ান তারেক রহমান। ১৭ বছর ভার্চুয়ালি নানা জনসভায় বক্তব্য রাখতেন তিনি। এবার ১৭ বছর পর সশরীরে হাজির হয়ে জনসভায় ভাষণ রাখেন তিনি।

বিখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী ‘মার্টিন লুথার কিং’কে স্মরণ করেছেন তারেক রহমান। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যকে স্মরণ করে নিজে বলেছেন, ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি’।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কে বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তিনি দেশের জন্য এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান। এর জন্য সবার সহায়তা কামনা করেন তিনি। বিশেষ করে তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তাদেরই দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিতে হবে।

বিকেল পৌঁনে ৪টা। জনস্রোত ঠেলে বের হলেন, ধীর পায়ে উঠলেন মঞ্চে। তখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাগত জানালেন তাকে ডায়াসে দাঁড়িয়ে। আর কোনো কথা বলেননি তিনি।
এরপর যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন এ্যানি ডেকে নিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে। তিনিও বক্তব্য রাখলেন না। শুধু আহ্বান জানালেন এ আয়োজনের মধ্যমণি তারেক রহমানকে।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ডায়াসে দাঁড়ালেন তারেক রহমান। ১৭ বছর ভার্চুয়ালি নানা জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন। ১৭ বছর পর সশরীরে হাজির হয়ে জনসভায় ভাষণ রাখতে শুরু করেছেন তিনি।

জনস্রোত ঠেলে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরই মধ্যে সংবর্ধনা মঞ্চে উঠেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সংবর্ধনা মঞ্চে ওঠেন তারেক রহমান। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে স্বাগত জানান।


বিমানবন্দর থেকে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত সড়কে যেন জনস্রোত। সেই জনস্রোত ঠেলে এগিয়ে চলেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গাড়িবহর। গাড়িতে বসে হাত নেড়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। জনস্রোতের কারণে সে গাড়ি যেন হাঁটা গতিতে এগিয়ে চলেছে। তাতে এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মিত সংবর্ধনা মঞ্চের আশপাশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের তারেক রহমানকে দেখার অপেক্ষা প্রলম্বিত হচ্ছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট সড়ক পর্যন্ত এলাকায় তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীয় নয়, এই জনস্রোতের মধ্যে সাধারণ মানুষের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয় বলে দাবি করেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপাসন তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর— এ খবর বিএনপি মহাসচিব নিশ্চিত করার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলটির নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিতে থাকেন ঢাকায় আসার। লক্ষ্য— তারেক রহমানের ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া।

‘খালেদা জিয়া ২০০১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন বয়স ১৮ বছর। ছোটবেলা থেকেই বিএনপি সাপোর্ট করি। তাই তার প্রধানমন্ত্রী হওয়া ছিল আমাদের জন্য বিশাল ঘটনা। খালেদা জিয়া আমাদের ওখানে গেছেনও জনসভা করতে। সেই জনসভায় অংশ নেওয়া ছিল স্মরণীয় ঘটনা। কিন্তু আজকের এই দিন বাংলাদেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। শুধু বিএনপি না, সারা দেশ এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে আছে। সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে ঢাকা এসেছি।’
আবেগঘন কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে পাবনার বেড়া থেকে ঢাকায় আসা আলমগীর কবির। বেড়া পৌর যুবদলের একটি ওয়ার্ডের সভাপতি তিনি। তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন সামনে রেখে অন্য অনেকের মতো বুধবার তিনিও ঢাকা পৌঁছান। বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থান নিয়েছেন ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায়।
রাজনীতি ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমরা সবাই নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সারা বাংলাদেশ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের পর দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হলেও অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আমরা মনে করি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিই এখন গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারেন। তাই তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের জন্য অবিস্মরণীয় একটি ঘটনা, আজ অবিস্মরণীয় একটি দিন।’
কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকা থেকে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় আসা মিসবাহ বকশও জানালেন একই ধরনের অনুভূতির কথা। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা কেবল নয়, সারা দেশের মানুষই জানে— এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব হিসেবে তারেক রহমানের কোনো বিকল্প নেই। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তিনি দেশে ফিরছেন। আজকের দিন বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক বদলের দিন।’
আলমগীর ও মিসবাহ বকশের মতো বিমানবন্দর সড়ক থেকে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিএনপির অগণিত নেতাকর্মীদের সবার অনুভূতিই একরকম। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারা তারেক রহমানকেই ‘উদ্ধারকর্তা’ বলে মনে করেন।
শুধু তাই নয়, ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের সঙ্গে মিলিয়ে কেউ কেউ মজা করে বলছিলেন, তারেক রহমান বড়দিনে বাংলাদেশের জন্য ‘সান্তা ক্লজ’ হয়েই উপস্থিত হয়েছেন।

তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলের ছোট-বড় নানা অনুষ্ঠানেই অংশ নেন। তবে ১৭ বছর ধরে তিনি দেশের বাইরে। তার উপস্থিতি কেবলই ভার্চুয়াল।
এভাবেই চলছিল বিএনপির কার্যক্রম। শেষ পর্যন্ত দলের কার্যত প্রধানকে ভার্চুয়াল গণ্ডি ভেঙে বাস্তবে কাছে পেতে বিএনপির নেতাকর্মীদর আকাঙ্ক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। তারেক রহমান পৌঁছেছেন বাংলাদেশে।
বিমানবন্দর থেকে এরই মধ্যে তিনি রওয়ানা হয়েছেন ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের দিকে, যেখানে তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সংবর্ধনা মঞ্চ। ভালোবাসায় তাকে বরণ করে নিতে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার নেতাকর্মী, যাদের কেউ কেউ গতকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছেন সেখানে।
এর আগে বিমানবন্দর সড়কের পুরোটাই এখন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দখলে চলে যায়। সড়কের পাশে তারা অবস্থান নিয়েছেন, প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য। নেতা যাবেন রাজপথ দিয়ে, হাত নেড়ে ভালোবাসা জানাবেন— এটুকুই প্রত্যাশা তাদের।
কর্মী-সমর্থক-অনুসারীদের সে প্রত্যাশা পূরণ করে এগিয়ে চলেছেন তারেক রহমান। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাসে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কে। বাসের সামনে বসেছেন তিনি। সেখান থেকে হাত নাড়ছেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে। অভিবাদন-ভালোবাসা নিচ্ছেন সবার কাছ থেকে, জানাচ্ছেন অভিবাদন-ভালোবাসা।
অত্যন্ত ধীরগতিতে এগিয়ে চলেছে তারেক রহমানের গাড়িবহর। বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটারের মতো সড়ক অতিক্রম করতেই সময় লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি। এই সড়ক পেরিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারেক রহমান, যেখানে বিএনপির সব শীর্ষ নেতা উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেবেন কেবল তারেক রহমানই।
৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এর আগে বুধবার মধ্যরাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরও আরও নেতাকর্মী দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, সেখানে কয়েক লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন তারেক রহমানকে দেশে বরণ করে নিতে।
দুপুর ঠিক ২টা নাগাদ তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার মুহূর্তে রয়েছে।
এক লাইনের সংক্ষিপ্ত বার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’

১৭ বছর পর দেশের মাটিতে অবতরণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরই মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রওয়ানা দিয়েছেন বিশেষ বাসে করে। তার জন্য ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের সংবর্ধনাস্থলে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থক।
তারেক রহমানের গাড়ি বহরটি বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে এখন ৩০০ ফিট সড়কের দিকে যাচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট সড়ক পর্যন্ত পুরো সড়কে দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। একনজর তারেক রহমানকে বহন করে নিয়ে যাওয়া বাসটিকে দেখার জন্য অপেক্ষমাণ তারা।
তারেক রহমানও রয়েছেন বাসের একদম সামনে। সেখান থেকে সবার উদ্দেশে হাত নাড়াচ্ছেন তিনি। তার সঙ্গে বাসে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শীর্ষ নেতারা।
১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের, লন্ডন থেকে ফিরেছেন দেশে। তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে তাকে দেশে স্বাগত জানিয়ে ফেসুবকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি তারেক রহমানকে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে’ স্বাগত জানান। একইসঙ্গে আগামীর রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় এবং আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর সপরিবারে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে নেমেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, এ সময় প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার জন্য তারেক রহমানকে স্বাগত জানান, শুভেচ্ছা জানান। প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং রাজনৈতিক ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তারেক রহমানও প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নিতে তার দল সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
ফোনালাপে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিমান থেকে নেমে তারেক রহমান ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করলে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। সেখানে তাকে গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু।
দীর্ঘ সময় পর পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে উপস্থিত সবার চোখে আনন্দের অশ্রু দেখা যায়। এ সময় তারেক রহমানের পাশে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানসহ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইট ‘বিজি-২০২’ রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান রয়েছেন তার সঙ্গে। কেবল পরিবারের সদস্যরাই নয়, তার সঙ্গে দেশে ফিরেছে ‘জেবু’ও, যেটি মূলত তার পরিবারের পোষা বেড়াল।
বিভিন্ন সময় তারেক রহমান লাইভে থাকার সময় এ বিড়ালটিকে দেখা গেছে, যা রীতিমতো ‘সেলিব্রেটি বিড়ালে’র তকমা পেয়েছে অনলাইনে। তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবর চূড়ান্ত হলে তার সঙ্গে ‘জেবু’ও ফিরবে কি না, তা নিয়ে অনলাইনে বেশ আলোচনাও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তারেক রহমান দেশে ফেরার পর বিএনপির ফেসবুক পেজ থেকে ‘জেবু’র একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘দেশে ফিরেছে জেবু’।
ছবিতে দেখা যায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুজন ব্যক্তি একটি খাঁচায় করে জেবুকে নিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানটি শাহজালালে অবতরণ করে। মিনিট দশেকের মধ্যেই বিমান থেকে সপরিবারে বেরিয়ে আসেন তারেক রহমান। অবস্থান করেন শাহজালালের ভিআইপি লাউঞ্জে।
দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান তাদের জন্য রাখা বিশেষ গাড়িতে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বের হন তারেক রহমান। ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিশেষ বাসে করে তিনিও বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েছেন তারেক রহমান। বিশেষ বুলেট প্রুফ বাসে করে তিনি রওয়ানা দিয়েছেন তার জন্য আয়োজন করা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিকে। এর মধ্য দিয়ে ১৭ বছর পর ঢাকায় পা রাখলেন বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এর কিছু সময় আগে তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান ভিন্ন একটি গাড়িতে করে রওয়ানা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান তাদের জন্য নির্ধারিত গাড়িতে ওঠেন। ১২টা ২৭ মিনিটে তাদের গাড়িটি বিমানবন্দর প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।
এর কিছুক্ষণ পর দুপুর ঠিক ১২টা ৩০ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে গেট দিয়ে বেরিয়ে আসেন তারেক রহমান। বের হয়েই বিমানবন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে খুলে ফেলেন জুতা-মোজা। খালি পায়ে তিনি স্পর্শ নেন দেশের মাটির। হাতে তুলে নেন দেশের মাটি।
দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে তাকে বহনকারী বাসটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এ সময় বাসের একদম সামনেই অবস্থান করছিলেন তারেক রহমান। সবার প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন তিনি।

সিলেট বিমানবন্দরে নেমেছেন ঘণ্টা দুয়েকেরও বেশি সময় আগে। নিরাপত্তা ও প্রটোকলসহ নানা কারণে বিমান থেকে নামতে পারেননি।
ঘণ্টা দুয়েক পরে অবশেষে তার ফ্লাইট অবতরণ করল ঢাকায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানেও নানা প্রটোকল, নানা আনুষ্ঠানিকতা। স্বজনরা এসেছেন স্বাগত জানাতে, এসেছেন বিএনপি নেতারাও।
সবকিছু পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত যখন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন দরজা দিয়ে বের হলেন মুক্ত বাতাসে, ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট। সামনে থাকা সবার প্রতি হাত নাড়লেন, অনেকের সঙ্গে কর্মরদন করলেন।
সামনে তখন অপেক্ষমাণ বিশেষ বাস, যেটাতে চড়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে বিমানবন্দর থেকে। কিন্তু সে বাসের দিকে গেলেন না তারেক রহমান। পাশেই ছোট্ট একটু ঘাসের লন। সোজা চলে গেলেন সেখানে। একটু সামনের দিকে ঝুঁকে হাত দিয়ে স্পর্শ করলেন দেশের মাটি।
সবার নজর তখন তার দিকে। কিন্তু তার মনোযোগ যেন কোথাও নেই। খুলে ফেললেন জুতা-মোজা। খালি পায়ে স্পর্শ করলেন দেশের মাটি। অনেকক্ষণই থাকলেন সেখানে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে। এরপর হাতে তুলে নিলেন এক মুঠো মাটি। হাতে ধরেই রাখলেন সেই মাটি।
১৭ বছর পর দেশের মাটি স্পর্শ করার সুযোগ পেয়ে যেন কিছুটা বিহ্বলই হয়ে পড়লেন তারেক রহমান। তার সে বিহ্বল মুহূর্তটিতে আবেগঘন হয়ে ওঠেন আশপাশের সবাইও।

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা পৌঁঁছেছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তারেক রহমান বিমানবন্দরের যে লাউঞ্জে অপেক্ষা করছেন, সেখানে দুপুর ১২টা নাগাদ পৌঁছেছেন তারা।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন শাহজালালে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ। রয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীও।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইট। এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানটি শাহজালালে অবতরণ করে। মিনিট দশেকের মধ্যেই বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন তারেক রহমান। পা রাখেন বাংলাদেশের মাটিতে।
তারেক রহমানের সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

সিলেট থেকে ঢাকায় অবতরণ করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট। বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করে রানওয়েতে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানের ফ্লাইটটি স্পর্শ করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন। তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে বিএনপির সারা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন ঢাকায়।

সিলেটে ফ্লাইট অবতরণের মাধ্যমে ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন তারেক রহমান। এবার সিলেট থেকে রওয়ানা দিলেন ঢাকার পথে। ২০০৮ সালে ছেড়ে যাওয়ার পর এই প্রথম তিনি ফিরবেন আবার ঢাকায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার পথে রওয়ানা দেয়।
ঢাকায় এ ফ্লাইট অবতরণের কথা রয়েছে দুপুর পৌনে ১২টায়। বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন।
তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে বিএনপির সারা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন ঢাকায়। গতকাল বুধবার মধ্যরাতেই ৩০০ ফুট সড়কে সংবর্ধনা মঞ্চের স্থান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এখনো বিমানবন্দর থেকে থেকে শুরু করে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত সড়কে রয়েছে নেতাকর্মীদের ঢল।