সংবিধান কারও বাপের না: সারজিস আলম

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, সংবিধান কারও বাপের না বলে মন্তব্য করেছেন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘কবর দেওয়ার’ কথা গ্রহণযোগ্য নয়- ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানদের এমন বিবৃতির একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেন সারজিস আলম।

সারজিস আলম লিখেছেন, ‘সংবিধান কারো বাপের না। বংশগত আর রক্তের বড়াই দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের যে অসম সুবিধা দেওয়া হতো, আজকাল সংবিধান কমিটির সদস্যদের সন্তানদের সেরকম অসমভাবে মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই অন্যতম সমন্বয়ক আরও লিখেছেন, ‘আর, যে কমিটি এই ৭২ এর সংবিধান করেছে, সে কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ভোট পেয়েছিলেন। না মানে মনে করাই দিলাম।’

এর আগে গত ৪ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানেরা বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘ছুড়ে ফেলে দেওয়া’ বা ‘কবর দেওয়া’র মতো কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কথা মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সর্বোপরি দেশের জনসাধারণকে অবজ্ঞা করার শামিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও সংবিধানকে টার্গেট (লক্ষ্যবস্তু) করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সংবিধান ‘ছুড়ে ফেলা’ এমনকি সংবিধানের ‘কবর রচনা’ করার কথাও বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে যে সংবিধান রচিত হয়েছে, তার সঙ্গে এই দেশের প্রত্যেক মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও স্বপ্ন-সাধনা জড়িত।

তারা বলেন, আমরা এ–ও মনে করি, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে এ পর্যন্ত অনেক সংশোধনী আনা হয়েছে, যার সব কটি দেশ ও জনগণের স্বার্থে করা হয়নি। সংবিধানকে অধিকতর গণতান্ত্রিক করা এবং দেশের গণতন্ত্র সুসংহত করতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে এই সংবিধানে সংশোধন ও পরিমার্জন, পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু সংবিধান ‘পুনর্লিখন’ বা ‘ছুড়ে ফেলে দেওয়া’ কিংবা ‘কবর দেওয়া’র মতো কথা বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ছিলেন- বাহাত্তরের খসড়া সংবিধান কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলামের মেয়ে তানিয়া আমীর, তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ, অধ্যাপক হাফেজ হাবীবুর রহমানের ছেলে মইনুর রহমান, এ কে মোশাররফ হোসেন আকন্দের ছেলে মাসুদ আলম আকন্দ, অধ্যাপক খোরশেদ আলমের মেয়ে নাসরিন আলম, লুৎফর রহমানের মেয়ে জেবুন নাহার শিউলী, মুহাম্মদ আবদুর রশীদের ছেলে সাজ্জাদুর রশীদ, নাইমূর রশীদ ও সাইফুল রশিদ, মোহাম্মদ বায়তুল্লাহর মেয়ে পারভীন আক্তার, শামসুদ্দীন মোল্লার ছেলে আহমেদ জাকারিয়া, শেখ আবদুর রহমানের ছেলে শেখ আনিসুর রহমান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মইনুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর মেয়ে নাসরিন ইসলাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের ছেলে মোহাম্মদ জহির, আইনজীবী দেওয়ান আবুল আব্বাছের ছেলে দেওয়ান আফতাবুল আলম।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিএনপি সবার দল: এমরান সালেহ প্রিন্স

সবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে জনগণ একে অপরের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে অংশ নেয়- এটাই বাংলাদেশি জাতির ঐতিহ্য।’ তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এই ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন।’

১ দিন আগে

এনসিপি শাপলা ছাড়া নিবন্ধন নেবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বৈঠক শেষে পাটওয়ারী বলেন, তারা (ইসি) যেহেতু ব্যাখ্যা দিতে পারেনি, এখন আমরা প্রতীক প্রশ্নে নেই। আমরা মনে করেছি প্রতীক প্রশ্নে তাদের ওপর অন্য কিছু বিরাজ করছে। অথবা প্রতীক সামনে রেখে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা মনে করি এই মাসের মধ্যেই এটা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে।

১ দিন আগে

বেগম খালেদা জিয়া কখনোই সেফ এক্সিট চাননি : রিজভী

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যেসব কাজের সমালোচনা করার আছে, আমরা তা করব। তবে তাদের ভালো দিকও তুলে ধরব। আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হোক, বরং দায়িত্বশীলভাবে দেশ পরিচালনা করুক। কেউ যদি দুর্নীতি বা অপরাধে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

১ দিন আগে

অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান তারেক রহমানের

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়; এটি মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নাম। শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা দিতে হবে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।’

১ দিন আগে