প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই সনদ কার্যকর এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন দেখতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর রূপায়ণ টাওয়ারে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই কথা জানান।
তিনি বলেন, রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘এ বছর নির্বাচন করা সম্ভব না’ - কথাটি আমি ঠিক এভাবে বলিনি। আমি বলেছি, দেশের যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি, পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, এমন অবস্থায় নির্বাচন করা কঠিন হবে। এই পুলিশ প্রশাসনের দীর্ঘদিনের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতা দীর্ঘদিন পরীক্ষা হয়নি। নির্বাচনের আগে পুলিশিং ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনের জন্য নাগরিক পার্টির মানসিকতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন দেখতে চাই বলে আমরা জানিয়েছি। তবে নির্বাচন এনসিপির একমাত্র দাবি নয়। আমরা দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই। সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ হওয়ার কথা, তা নির্বাচনের আগে কার্যকর চাই।
তিনি বলেন, জুলাই সনদে সবার স্বাক্ষর হওয়ার কথা। জনগণ দেখতে পারবে, কোন রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে আছে। একইসঙ্গে ছাত্রদের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্রের যে দাবি উঠেছে, তা বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
দেশব্যাপী নারী নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর ধর্ষণ, নিপীড়ন ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আমরা তার নিন্দা এবং বিদ্যমান পরিস্থিতির উদ্বেগ প্রকাশ করছি। জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নারী নিপীড়নকারী দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ সময় তিনি সাইবার স্পেসে নারী রাজনীতিকদের নিয়ে বুলিংয়ের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, নারী রাজনীতিকদের চিহ্নিত করে সাইবার জগতে বুলিং করা হচ্ছে। বিগড ফ্যাসিবাদী সরকার এবং তাদের কর্মী এই কার্যক্রমে বেশি জড়িত হচ্ছেন। নারীদের লক্ষ্য করা হচ্ছে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করার জন্য। যেন তারা দেশ গঠনে যুক্ত হতে না পারে। তাদেরকে মেন্টাল ট্রমার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে ছিল, তাদের পক্ষে আমাদের জোরালো কণ্ঠস্বর রাখা উচিত। সরকারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন সংস্কারের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটা চার্টার হবে। যে বাংলাদেশের রূপরেখা কেমন হবে, আমরা কী কী সংস্কার এখন করব। কী কী সংস্কার ভবিষ্যতে করব, কী কী সংস্কারের ধারাবাহিকতা থাকবে। রাজনৈতিক সরকারকে জনগণের কাছে এই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মানুষ যে পরিবর্তনের ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা থেকে যুক্ত হয়েছিল, সেটি দুটি আকাঙ্ক্ষা তো পূরণ করতে হবে। তার আগে আমরা কীভাবে নির্বাচনের দিকে যাব। এক থা যেন আমরা ভুলে না যাই। বিচার, সংস্কার ও পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। আমরা এটি স্পষ্টভাবেই বলেছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী প্রমুখ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই সনদ কার্যকর এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন দেখতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর রূপায়ণ টাওয়ারে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই কথা জানান।
তিনি বলেন, রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘এ বছর নির্বাচন করা সম্ভব না’ - কথাটি আমি ঠিক এভাবে বলিনি। আমি বলেছি, দেশের যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি, পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, এমন অবস্থায় নির্বাচন করা কঠিন হবে। এই পুলিশ প্রশাসনের দীর্ঘদিনের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতা দীর্ঘদিন পরীক্ষা হয়নি। নির্বাচনের আগে পুলিশিং ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনের জন্য নাগরিক পার্টির মানসিকতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন দেখতে চাই বলে আমরা জানিয়েছি। তবে নির্বাচন এনসিপির একমাত্র দাবি নয়। আমরা দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই। সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ হওয়ার কথা, তা নির্বাচনের আগে কার্যকর চাই।
তিনি বলেন, জুলাই সনদে সবার স্বাক্ষর হওয়ার কথা। জনগণ দেখতে পারবে, কোন রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে আছে। একইসঙ্গে ছাত্রদের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্রের যে দাবি উঠেছে, তা বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
দেশব্যাপী নারী নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর ধর্ষণ, নিপীড়ন ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আমরা তার নিন্দা এবং বিদ্যমান পরিস্থিতির উদ্বেগ প্রকাশ করছি। জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নারী নিপীড়নকারী দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ সময় তিনি সাইবার স্পেসে নারী রাজনীতিকদের নিয়ে বুলিংয়ের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, নারী রাজনীতিকদের চিহ্নিত করে সাইবার জগতে বুলিং করা হচ্ছে। বিগড ফ্যাসিবাদী সরকার এবং তাদের কর্মী এই কার্যক্রমে বেশি জড়িত হচ্ছেন। নারীদের লক্ষ্য করা হচ্ছে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করার জন্য। যেন তারা দেশ গঠনে যুক্ত হতে না পারে। তাদেরকে মেন্টাল ট্রমার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে ছিল, তাদের পক্ষে আমাদের জোরালো কণ্ঠস্বর রাখা উচিত। সরকারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন সংস্কারের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটা চার্টার হবে। যে বাংলাদেশের রূপরেখা কেমন হবে, আমরা কী কী সংস্কার এখন করব। কী কী সংস্কার ভবিষ্যতে করব, কী কী সংস্কারের ধারাবাহিকতা থাকবে। রাজনৈতিক সরকারকে জনগণের কাছে এই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মানুষ যে পরিবর্তনের ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা থেকে যুক্ত হয়েছিল, সেটি দুটি আকাঙ্ক্ষা তো পূরণ করতে হবে। তার আগে আমরা কীভাবে নির্বাচনের দিকে যাব। এক থা যেন আমরা ভুলে না যাই। বিচার, সংস্কার ও পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। আমরা এটি স্পষ্টভাবেই বলেছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী প্রমুখ।
আমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।
১৯ ঘণ্টা আগেএকজন কন্যাসন্তানের বাবা হিসেবে আমি জানি মেয়েদের ক্ষমতায়ন কোনো নীতি নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও অঙ্গীকার। বাংলাদেশের জন্য আমাদের স্বপ্ন হলো যেখানে প্রতিটি মেয়ের জন্য একই স্বাধীনতা, সুযোগ এবং নিরাপত্তা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করেন।
১ দিন আগেবিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে চলে এসেছে বিএনপিরই একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটি নির্বাচনের প্রার্থী নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি শুরু করেছে আরও প্রায় বছরখানেক আগে।
১ দিন আগেজামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচনের আগে কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হচ্ছে না। পুলিশ থেকে শুরু করে আমলা পর্যন্ত অনেককেই দেখা যাচ্ছে, বিশেষ দলের প্রতি দুর্বল হয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এগুলো পরিহার করে নির্বাচনের মাঠকে সমান ও সমতল করতে হবে।
২ দিন আগে