প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থাতেই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি ইসলামি দল। দিনভর মিছিল-সমাবেশে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে নিষ্ক্রিয় অভিহিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন এসব দলের নেতারা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মাঠে নেমেছিল সাতটি ইসলামী দল। সমাবেশ ও মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে দলগুলো। একই দিনে এবং প্রায় কাছাকাছি দাবি নিয়ে মাঠে নামলেও অবশ্য দলগুলো একে যুগপৎ আন্দোলন বলছে না।
এসব দলের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির প্রয়োগ, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করা।
পাঁচ দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচি ছিল বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। তাদের দাবিগুলো হলো— জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে দলটির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিছিল-পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম। ছবি: ফোকাস বাংলা
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, আমি মনে করি, ভারত জুলাই চায় না। জুলাইয়ের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। আপনারা কি ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচনের আগে তিনটি কাজ করতে হবে— সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন।
সৈয়দ ফয়জুল করীম, নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে। ৮০ শতাংশ জনগণ পিআরের পক্ষে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নতুন করে কেউ স্বৈরাচার হতে পারবে না। পিআরে তো বিএনপিরও আপত্তি থাকার কথা না। কারণ তাদের উচ্চ পর্যায়ের এক নেতা দাবি করেছেন, নির্বাচনে তারা ৯০ শতাংশ ভোট পাবেন। আর তারা যেহেতু সবার সম্পৃক্ততায় নির্বাচন চান, সেহেতু পিআর তো তাদেরই চাওয়ার কথা।
বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে নেতাকর্মীরা জড়ো হলে সেখানে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী। পরে সমাবেশ শেষে গুলিস্তান, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন তারা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে দেশ। একটি পক্ষের কারণে সরকার নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির জন্য প্রয়োজনে গণভোট করা যেতে পারে।
পরওয়ার আরও বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে। না হলে দেশে আরেকটি ফ্যাসিবাদ ও শেখ হাসিনার জন্ম হবে, যা জনগণ মেনে নেবে না। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা বাস্তবায়নে চতুর্মুখী চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে একটি দল প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে, তাতে সরকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করে খেলাফত মজলিস। ছবি: ফোকাস বাংলা
এ দিন বিকেলেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করে খেলাফত মজলিস। দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ হুঁশিয়ারি দেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না তারা।
মাওলানা জালালুদ্দীন বলেন, কিছু কিছু দলের প্রশ্ন— আমরা কেন হঠাৎ রাজপথে! মানুষ কখনো শখে রাজপথে নামে না। বাংলাদেশের ৩৩টি দলের নেতাদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গত কয়েক মাস ধরে জুলাই সনদ তৈরি করেছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সেটা নিয়ে কিছুই পরিষ্কার করা হয়নি।
খেলাফত মজলিসের এই নেতা আরও বলেন, কিছু দল বলেছে, ক্ষমতায় গেলে সংসদে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, ক্ষমতায় গেলে সবাই ওয়াদা ভুলে যায়। অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি সরকারকেই তৈরি করে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে। এই সনদ বাস্তবায়ন না হলে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসবে। তাই জুলাই বাস্তবায়ন না হলে আমরা ঘরে যাব না।
এসব দাবিতেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং বিজয়নগরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল। তাদেরও বক্তব্য, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেই নির্বাচন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থাতেই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি ইসলামি দল। দিনভর মিছিল-সমাবেশে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে নিষ্ক্রিয় অভিহিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন এসব দলের নেতারা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মাঠে নেমেছিল সাতটি ইসলামী দল। সমাবেশ ও মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে দলগুলো। একই দিনে এবং প্রায় কাছাকাছি দাবি নিয়ে মাঠে নামলেও অবশ্য দলগুলো একে যুগপৎ আন্দোলন বলছে না।
এসব দলের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির প্রয়োগ, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করা।
পাঁচ দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচি ছিল বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। তাদের দাবিগুলো হলো— জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে দলটির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিছিল-পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম। ছবি: ফোকাস বাংলা
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, আমি মনে করি, ভারত জুলাই চায় না। জুলাইয়ের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। আপনারা কি ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচনের আগে তিনটি কাজ করতে হবে— সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন।
সৈয়দ ফয়জুল করীম, নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে। ৮০ শতাংশ জনগণ পিআরের পক্ষে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নতুন করে কেউ স্বৈরাচার হতে পারবে না। পিআরে তো বিএনপিরও আপত্তি থাকার কথা না। কারণ তাদের উচ্চ পর্যায়ের এক নেতা দাবি করেছেন, নির্বাচনে তারা ৯০ শতাংশ ভোট পাবেন। আর তারা যেহেতু সবার সম্পৃক্ততায় নির্বাচন চান, সেহেতু পিআর তো তাদেরই চাওয়ার কথা।
বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে নেতাকর্মীরা জড়ো হলে সেখানে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী। পরে সমাবেশ শেষে গুলিস্তান, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন তারা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে দেশ। একটি পক্ষের কারণে সরকার নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির জন্য প্রয়োজনে গণভোট করা যেতে পারে।
পরওয়ার আরও বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে। না হলে দেশে আরেকটি ফ্যাসিবাদ ও শেখ হাসিনার জন্ম হবে, যা জনগণ মেনে নেবে না। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা বাস্তবায়নে চতুর্মুখী চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে একটি দল প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে, তাতে সরকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করে খেলাফত মজলিস। ছবি: ফোকাস বাংলা
এ দিন বিকেলেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করে খেলাফত মজলিস। দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ হুঁশিয়ারি দেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না তারা।
মাওলানা জালালুদ্দীন বলেন, কিছু কিছু দলের প্রশ্ন— আমরা কেন হঠাৎ রাজপথে! মানুষ কখনো শখে রাজপথে নামে না। বাংলাদেশের ৩৩টি দলের নেতাদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গত কয়েক মাস ধরে জুলাই সনদ তৈরি করেছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সেটা নিয়ে কিছুই পরিষ্কার করা হয়নি।
খেলাফত মজলিসের এই নেতা আরও বলেন, কিছু দল বলেছে, ক্ষমতায় গেলে সংসদে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, ক্ষমতায় গেলে সবাই ওয়াদা ভুলে যায়। অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি সরকারকেই তৈরি করে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে। এই সনদ বাস্তবায়ন না হলে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসবে। তাই জুলাই বাস্তবায়ন না হলে আমরা ঘরে যাব না।
এসব দাবিতেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং বিজয়নগরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল। তাদেরও বক্তব্য, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেই নির্বাচন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে।
আমীর খসরু বলেন, অনেকে অনেক কিছু চাইবে, সব জায়গায় ঐকমত্য হবে না। তবে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের অবশ্যই জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের প্রতি আস্থা না থাকলে পরাজিত শক্তির উত্থানের সুযোগ থাকবে।
৮ ঘণ্টা আগেতারেক রহমান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে, আজকের ও আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু
১১ ঘণ্টা আগে