প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
নিজের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্যের আংশিক উদ্ধৃতি ও বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, তাঁদের তিনি সম্মান জানিয়ে বলেছেন—“এভাবেই সভ্য রাজনৈতিক চর্চা হওয়া উচিত।”
আজ রোববার দুপুরে রাজধানী গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, “গতকাল সকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমার বক্তব্যের একটি অংশ বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে আসল বক্তব্য স্পষ্টভাবে রয়েছে—যে কেউ যাচাই করতে পারেন।”
তিনি বলেন, গত শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “‘জুলাইয়ের যোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠন আমাদের সঙ্গে এবং কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছিল। তাদের যৌক্তিক দাবি ছিল, যা আমি নিজেও সমর্থন করেছি। কিন্তু ঘটনাস্থলে যে বিশৃঙ্খলা ঘটেছে, সেখানে কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তি ঢুকে পড়ে—যাদের আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের বাহিনী বলেছি। প্রকৃত জুলাই যোদ্ধারা তাতে যুক্ত ছিলেন না।”
তিনি বলেন, “আমার বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য ছিল যেন কেউ ভুলভাবে জুলাই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না তোলে। আমরা তাদেরকে জাতি পুনর্গঠনের শক্তি হিসেবে দেখি।”
সালাহউদ্দিন আরও জানান, জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে জাতীয় সনদের পাঁচ নম্বর দফা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, ‘গণঅভ্যুত্থান-পূর্ব ষোলো বছরে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার’ প্রসঙ্গে এমন ভাষা থাকলে, প্রতিরোধে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার কিছু সদস্য অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত হতে পারেন।
“তাদের এই উদ্বেগ আমি যৌক্তিক মনে করি,” জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমি আমার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যেখানে প্রস্তাব করেছিলাম দফাটি সংশোধন করে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, আহতদের ভাতা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করা হোক।”
এরপর ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধিত ভাষা অনুমোদন করেন। সংশোধিত দফায় বলা হয়, “গণঅভ্যুত্থান-পূর্ব বাংলাদেশে ষোলো বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ-বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের এবং আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।”
সালাহউদ্দিন বলেন, এই সংশোধনের পর জুলাই যোদ্ধারা সন্তুষ্ট হয়ে স্থান ত্যাগ করেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আমরা তাদের ন্যায্য উদ্বেগের প্রতি সম্মান দেখিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ আমাদের জাতীয় জীবনের এক লিডিং ফোর্স, একটি ড্রাইভিং ফোর্স। এই অভ্যুত্থানের ভূমিকা ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তোলা। তাই কোনোভাবেই এই আন্দোলনের ওপর কলঙ্কের দাগ দেওয়া উচিত নয়।”
বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা চাই, রাজনৈতিক বক্তব্যে সবাই সাবধানতা অবলম্বন করুক। আমরা যেন কাউকে অযথা আঘাত না করি। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যারা অংশ নিয়েছে, তারা আমাদের জাতীয় জীবনের গর্ব।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর আমিরও একটি স্ট্যাটাসে আহ্বান জানিয়েছেন—জুলাই যোদ্ধাদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলা ঠিক নয়। “আমি তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত,” বলেন সালাহউদ্দিন। “এমন মন্তব্য না করাই উচিত, কারণ জুলাই যোদ্ধারা আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক।”
বক্তব্য বিকৃত করে অপব্যাখ্যা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “যারা এই বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁদের আমি সম্মান করি। জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিকে ধারণ করে যারা নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের আমি শুভ কামনা জানাই। এই তরুণ নেতৃত্বই ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক হবে—তাদের হাতেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তারা যেন গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখে, সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি।”
শেষে তিনি বলেন, “আমার বক্তব্য ছিল একেবারেই স্পষ্ট—জুলাই যোদ্ধারা আমাদের জাতির সম্পদ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি কথা বলেছি। বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের পরিপন্থী; তাই সবাইকে অনুরোধ করবো, এমন অপপ্রচারে কান না দিতে।”
নিজের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্যের আংশিক উদ্ধৃতি ও বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, তাঁদের তিনি সম্মান জানিয়ে বলেছেন—“এভাবেই সভ্য রাজনৈতিক চর্চা হওয়া উচিত।”
আজ রোববার দুপুরে রাজধানী গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, “গতকাল সকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমার বক্তব্যের একটি অংশ বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে আসল বক্তব্য স্পষ্টভাবে রয়েছে—যে কেউ যাচাই করতে পারেন।”
তিনি বলেন, গত শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “‘জুলাইয়ের যোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠন আমাদের সঙ্গে এবং কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছিল। তাদের যৌক্তিক দাবি ছিল, যা আমি নিজেও সমর্থন করেছি। কিন্তু ঘটনাস্থলে যে বিশৃঙ্খলা ঘটেছে, সেখানে কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তি ঢুকে পড়ে—যাদের আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের বাহিনী বলেছি। প্রকৃত জুলাই যোদ্ধারা তাতে যুক্ত ছিলেন না।”
তিনি বলেন, “আমার বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য ছিল যেন কেউ ভুলভাবে জুলাই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না তোলে। আমরা তাদেরকে জাতি পুনর্গঠনের শক্তি হিসেবে দেখি।”
সালাহউদ্দিন আরও জানান, জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে জাতীয় সনদের পাঁচ নম্বর দফা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, ‘গণঅভ্যুত্থান-পূর্ব ষোলো বছরে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার’ প্রসঙ্গে এমন ভাষা থাকলে, প্রতিরোধে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার কিছু সদস্য অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত হতে পারেন।
“তাদের এই উদ্বেগ আমি যৌক্তিক মনে করি,” জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমি আমার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যেখানে প্রস্তাব করেছিলাম দফাটি সংশোধন করে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, আহতদের ভাতা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করা হোক।”
এরপর ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধিত ভাষা অনুমোদন করেন। সংশোধিত দফায় বলা হয়, “গণঅভ্যুত্থান-পূর্ব বাংলাদেশে ষোলো বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ-বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের এবং আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।”
সালাহউদ্দিন বলেন, এই সংশোধনের পর জুলাই যোদ্ধারা সন্তুষ্ট হয়ে স্থান ত্যাগ করেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আমরা তাদের ন্যায্য উদ্বেগের প্রতি সম্মান দেখিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ আমাদের জাতীয় জীবনের এক লিডিং ফোর্স, একটি ড্রাইভিং ফোর্স। এই অভ্যুত্থানের ভূমিকা ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তোলা। তাই কোনোভাবেই এই আন্দোলনের ওপর কলঙ্কের দাগ দেওয়া উচিত নয়।”
বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা চাই, রাজনৈতিক বক্তব্যে সবাই সাবধানতা অবলম্বন করুক। আমরা যেন কাউকে অযথা আঘাত না করি। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যারা অংশ নিয়েছে, তারা আমাদের জাতীয় জীবনের গর্ব।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর আমিরও একটি স্ট্যাটাসে আহ্বান জানিয়েছেন—জুলাই যোদ্ধাদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলা ঠিক নয়। “আমি তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত,” বলেন সালাহউদ্দিন। “এমন মন্তব্য না করাই উচিত, কারণ জুলাই যোদ্ধারা আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক।”
বক্তব্য বিকৃত করে অপব্যাখ্যা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “যারা এই বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁদের আমি সম্মান করি। জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিকে ধারণ করে যারা নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের আমি শুভ কামনা জানাই। এই তরুণ নেতৃত্বই ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক হবে—তাদের হাতেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তারা যেন গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখে, সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি।”
শেষে তিনি বলেন, “আমার বক্তব্য ছিল একেবারেই স্পষ্ট—জুলাই যোদ্ধারা আমাদের জাতির সম্পদ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি কথা বলেছি। বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের পরিপন্থী; তাই সবাইকে অনুরোধ করবো, এমন অপপ্রচারে কান না দিতে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন কমিশনাররা যেখান থেকে আসছে, তারা তাদের নিয়োগদাতাদের স্বার্থই রক্ষা করছে। অদৃশ্য শক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করতে হবে।’
৫ ঘণ্টা আগে‘বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজসহ সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা। এগুলো পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে, যাতে ছাত্র–জনতার আকাঙ্ক্ষার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনকে ব্যাহত করা যায়।’
২১ ঘণ্টা আগেশনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানায় আগুন লাগে। একই দিন রাতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি সূতার মিলে আগুনে কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া, গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের রূপনগরে একটি কেমিক্যা
১ দিন আগে