বেপরোয়া বিএনপির তৃণমূল

শাহরিয়ার শরীফ
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০: ১৪

আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের শাসনামলে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ফুরফুরে মেজাজে দিন কাটাচ্ছিলেন। আওয়ামী লীগ না থাকায় রাজপথে প্রভাব বিস্তার করে চলা দলটি এখন নতুন করে বিপদে পড়েছে। কেন্দ্রের কড়া হুঁশিয়ারির পরও প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়াচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এসব সংঘাতে নিজেদের হাতেই প্রাণ হারাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন অনেকেই।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে পাঁচ শতাধিক। এর মধ্যে কেবল বিএনপির অন্তর্কোন্দলের সংখ্যাই তিন শতাধিক। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব সংঘাতে প্রাণহানি ঘটেছে ৪৬ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী। সবশেষ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রামে দলের নেতাকর্মীদের গুলিতে রক্তাক্ত হয়েছেন খোদ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পাশাপাশি বিএনপির নিজস্ব তথ্যঅনুসন্ধানে উঠে এসেছে— অন্তর্কোন্দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক প্রতিশোধপরায়ণতা, কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ, চাঁদাবাজি ও দখলকেন্দ্রিক সহিংসতার সংখ্যাই বেশি। এসব ঘটনায় জড়িত চার হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে বিএনপি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে মামলাও করা হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনাতেও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরীর সব ধরনের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের নানা ধরনের অপরাধ-অনিয়ম ও অন্তর্কোন্দলে জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। দলের হাইকমান্ডও শুরু থেকেই অনিয়ম-কোন্দলে জড়িয়ে না পড়তে নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দিয়ে আসছে। তবে এসব বার্তায় যে খুব একটা কাজ হচ্ছে, তা বলা যায় না। বরং তৃণমূলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্রমেই লাগামছাড়া হয়ে পড়ছেন।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, দল হিসেবে বিএনপি বড়। এত নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা কঠিন। তারপরও সংঘাত-অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে আছে বিএনপি। সুবিধাবাদী ও আওয়ামী লীগের নীরব কর্মীরাও অনেকে দলে ঢুকে পড়ছে বলে সংঘাত বেশি হচ্ছে— এমন দাবিও রয়েছে বিএনপির কিছু নেতার। অনেকে মনে করেন, ঘটনার চেয়ে বিএনপিকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা বেশি হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে রাজনৈতিক দলগুলোর বিপৎগামী নেতাকর্মীরা অপকর্মে জড়াচ্ছেন। এর দায় দলের পাশাপাশি সরকারকেও নিতে হবে। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত হাতে দমন করতে পারছে না।

বিএনপি নেতারা আরও বলছেন, অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া কর্মীকে শুধু নয়, বরং ইউনিটের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটি করতে পারলে দলে শৃঙ্খলা ফিরে আসতে পারে। সংঘাতও কমে আসবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতা নতুন নয়। এর দায় অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। বিএনপি বলছে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। অন্যায়-অপকর্মে না জড়াতে তারেক রহমানও কড়া ভাষায় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু মূল কাজ তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।’

অধ্যাপক দিলারা আরও বলেন, ‘দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে এক শ্রেণির নেতাকর্মী এসব সংঘাতে জড়াচ্ছে। এদের সরকারকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। না হলে নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।’

CTG-Raujan-BNP-Clash-01-Photo-30-07-2025

এ ঘটনায় জড়িত থাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। রাজনীতি ডটকম ফাইল ছবি

বিএনপির বিভিন্ন সারির নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন কোণঠাসা হয়ে থাকার পর এখন অনেকটা ‘খালি মাঠ’ পেয়ে স্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে গিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন। কেউ কেউ ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও দলে টানছেন।

সহিংসতার ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও কমিটি গঠন করতে গিয়ে সংঘাত হচ্ছে। দলে ‘এক নেতার এক পদ’ অনেকটা কার্যকর হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ স্থানীয় প্রভাব ধরে রাখতে নিজের বলয়ের লোকজনকে পদ-পদবীতে রাখতে মরিয়ে হয়ে ওঠেন। এসব নিয়ে তৃণমূলে অন্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ক্রমেই সংঘাতে রূপ নিচ্ছে।

সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের পরে ফলাফল ঘোষণা শেষে ফেরার পথে খোদ নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন। এ সময় তাকে বহন করা গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় ২৯ জুলাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. টি এম মাহবুবর রহমানকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ হত্যার ঘটনা দেশ জুড়ে তোলপাড় তৈরি করে। নিহত সোহাগ যুবদলের সাবেক কর্মী বলে স্থানীয়রা জানালেও বিএনপি কিংবা যুবদলের পক্ষ থেকে সে তথ্য স্বীকার করা হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে, চাঁদা না পেয়েই সোহাগকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। তাকে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার নৃশংস ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এই বিষয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে টনক নড়ে বিএনপির। এ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত। পরে তাদের সবাইকে বহিষ্কার করা হয়। এ হত্যার ঘটনা তদন্তে বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিও করা হয়।

Attack On Mirza Foysol File Photo 30-07-2025

গত ১২ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দিন মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত

নৃশংস এ ঘটনার পর সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বিচারের দাবিতে মাঠে নামায় বিএনপিকে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। অবশ্য বিএনপিও শুরু থেকে হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সরব ছিল।

গত ১৭ জুলাই বরিশালের গৌরনদীতে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় রক্তাক্ত জখম হওয়া ছাত্রদল নেতার ভাই বাদী হয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

দলেরই আরেক পক্ষের নেতাকর্মীদের গুলিতে মঙ্গলবার রক্তাক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার। চট্টগ্রামের রাউজানে তাকে গুলি করায় দ্রুত গলা সরিয়ে নেওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান। তবে গুলি লাগায় গলায় ক্ষত হয়ে রক্ত ঝরেছে। এ জন্য তিনি দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরীকে। এ সংঘর্ষের জেরে রাতেই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর দলীয় সব পদও স্থগিত করা হয়েছে।

চাঁদাবাজি, দখলদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগও কম নয় তৃণমূলের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এমন অভিযোগে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইমাম হোসেন হাজিসহ তিনজন পদধারী নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অবশ্য খোদ নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন— এমন ঘটনাও আছে। গত ১৬ জুলাই গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদলের বহিষ্কৃত এক নেতাকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশে দেওয়া জাহাঙ্গীর আলম শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার করা হয়।

গত ৭ জুলাই মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) ষান্মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন ছয় মাসে কমপক্ষে ৫২৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত চার হাজার ১২৪ জন।

এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক সহিংসতার ৫২৯টি ঘটনার মধ্যে বিএনপির অন্তর্কোন্দলে ৩০২টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৬ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুই হাজার ৮৩৪ জন।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) মধ্যে ১০১টি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫০২ জন, নিহত হয়েছেন ১৬ জন। সংঘর্ষে পিছিয়ে নেই বিএনপি-জামায়াতও। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র দুই দলের নেতাকর্মীরা ছয়মাসে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ২৬ বার। এতে নিহত হয়েছেন দুজন। আহত হন ২১৬ জন।

এমনকি নতুন যাত্রা শুরু করা এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গেও বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে ১১ বার। এসব সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৭৯ জন। এর বাইরে আওয়ামী লীগ-এনসিপির মধ্যে ১৮টি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫৪ জন আহত হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ-জামায়াতের মধ্যে সাতটি সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।

Pabna-Sujaganar-BNP-Clash-Injured-31-07-2025

গত ৯ জুলাই পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। রাজনীতি ডটকম ফাইল ছবি

অন্যদিকে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ৬৭৭ জন আহত। এ সময় ১৯ জন গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে বিএনপির ১০৫টি ও আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) চারটি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ১৯ জন নিহত ও ৯৭৩ জন আহত হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে দুজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন।

তৃণমূলের এমন সহিংসতার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘বিএনপি বড় একটি রাজনৈতিক দল। একাধিকবার সরকার গঠন করেছে জনগণের ভোটে। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আমাদের চাপও অনেক বেশি। একেকটি আসনে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন। নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে গিয়ে কখনো কখনো এমন ঘটনা ঘটছে। তবে দল কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

বিএনপির তৃণমূলে এমন অন্তর্কোন্দল বা সংঘর্ষের ঘটনা প্রচারে যতটা বেশি দেখানো হচ্ছে, বাস্তবে এমন সংঘাত অতটা বেশি নয় বলে দাবি করেছেন এই নেতা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘সহিংসতা-কোন্দলের কথা আমরা অস্বীকার করছি না। তবে আমরা কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাকি কাজ তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করার কথা। তারা কেন শক্ত হতে পারছে না, সেটা সরকার ভালো বলতে পারবে। আমাদের সঙ্গে পুলিশের কিন্তু সংঘাত হচ্ছে না। আমরা চাই তারা কঠোর হোক। বিএনপি সহযোগিতা করবে।’

কেবল সংঘাতে যুক্তরা নয়, তারা যেসব কমিটির অধীনে রাজনীতি করেন সেসব কমিটির শীর্ষ নেতাদের বিরু্দ্ধেও সহিংসতা-সংঘাতের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে কর্মী নয়, নেতাকেও বহিষ্কার করতে হবে। তাহলেই কাজ হবে।’

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

'বিএনপির নির্বাচন দাবির যৌক্তিকতা এখন প্রমাণ হচ্ছে'

তিনি বলেন, এত সমস্যার মধ্যেও ১২টাতে ঐকমত্য হয়েছে। বাকিগুলোও আশাবাদী। মৌলিক সংস্কার করে লন্ডন বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে দ্বিধা কেটে যাবে।

১৪ ঘণ্টা আগে

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের চার নেতার এক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।

১৫ ঘণ্টা আগে

৫ আগস্টের পরে সাদিক কায়েম সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করেছে: নাহিদ

স্ট্যাটাসে নাহিদ বিএনপি মহাসচিব ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সাদিক কায়েমের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করেছে। স্ট্যাটাসটিতে জাতীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়া, ‘ছাত্রশক্তি’র জন্ম এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরেছেন নাহিদ।

১৫ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পূর্বাচলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রকল্পে নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

১৬ ঘণ্টা আগে