তারেক রহমানকে মোদির চিঠি— বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে ‘নতুন পথ চলা’র প্রত্যাশা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
তারেক রহমানের হাতে ভারতের শোকবার্তা তুলে দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চিঠি লিখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শোকবার্তায় তিনি খালেদা জিয়ার আদর্শ ও উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ‘নতুন পথ চলা’র প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান খালেদা জিয়া। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শোক প্রকাশ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এরপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা পাঠান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুধবার ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো শোকবার্তাটি তারেক রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।

চিঠিতে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আপনার মা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন মহামান্য বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আপনার এই অপূরণীয় ব্যক্তিগত ক্ষতিতে আমার আন্তরিক সমবেদনা গ্রহণ করুন। তার আত্মা চিরশান্তিতে বিশ্রাম নিক— এ প্রার্থনা করি।’

প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০১৫ সালের জুন মাসে ঢাকায় ‘বেগম সাহেবা’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও আলোচনার কথা গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া ছিলেন দৃঢ়প্রত্যয়ী ও অটল বিশ্বাসের এক বিরল নেতৃত্ব, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে যেমন তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তেমনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জোরদার করতেও তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

এই শোকের মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিও সহমর্মিতা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তার প্রয়াণ এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করলেও তার আদর্শ ও উত্তরাধিকার চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আপনার যোগ্য নেতৃত্বে তার সেই আদর্শগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেন, এই আদর্শ ও উত্তরাধিকার এক নতুন পথচলা নিশ্চিত করবে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক অংশীদারিকে আরও সমৃদ্ধ করতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

জাতীয় শোকের এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিও সহমর্মিতা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে বরাবরই বাংলাদেশের জনগণ তাদের অসাধারণ শৌর্য ও মর্যাদার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন, অভিন্ন মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং জাতীয় ঐক্যের বোধ দ্বারা পরিচালিত হয়ে তারা শান্তি ও সম্প্রীতির পথে এগিয়ে যাবে।

সবশেষে তারেক রহমান ও তার পরিবারের প্রতি পুনরায় সমবেদনা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, তিনি সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করেন, যেন এই কঠিন সময়ে তাদের শক্তি ও ধৈর্য প্রদান করা হয়। তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ পথচলার জন্য শুভকামনাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

দেশের প্রয়োজনে বেগম জিয়া ছিলেন অপরিহার্য: নজরুল ইসলাম খান

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজাস্থলে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি প্রয়াত এই নেত্রীর রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।

১০ ঘণ্টা আগে

মায়ের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইলেন তারেক রহমান

একই সঙ্গে মায়ের যেকোনো আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তার জন্যও ক্ষমা চান তিনি।

১১ ঘণ্টা আগে

তারেক রহমানকে পাকিস্তানের শোকবার্তা দিলেন স্পিকার

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে শোকবার্তা হস্তান্তর করেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক।

১২ ঘণ্টা আগে

ঢাকার পথে জনস্রোত, মানিক মিয়া জনসমুদ্র

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় খালেদা জিয়ার জানাজা হবে। এ জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এরই মধ্যে পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে।

১২ ঘণ্টা আগে