
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

প্রত্যাশিতভাবে জাপান সংসদের নিম্নকক্ষে ভোটে জয় পেয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সানায়ে তাকাইচি। নির্বাচনে নিম্নকক্ষের ভোটই অগ্রাধিকার পাওয়া তিনিই জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন। তার নেতৃত্বে প্রধান বিরোধী দল জাপান ইনোভেশন পার্টির (জেআইপি) সঙ্গে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল এলডিপি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জাপানের সংসদে এই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আগে থেকে এলডিপি ও জেআইপির জোট সরকার গঠনের ঘোষণা থাকায় তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া ছিল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায়। এরই মধ্যে নিম্নকক্ষে ২৩৭ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, ১৯৬১ সালে নারা প্রিফেকচারে জন্মগ্রহণকারী তাকাইচির বাবা ছিলেন একজন অফিস কর্মী, মা পুলিশ কর্মকর্তা। রাজনীতি তার থেকে ছিল অনেক দূরে। একসময় তাকাইচি ছিলেন একজন দক্ষ হেভি মেটাল ড্রামার।
১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য বিরোধের সময় রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তাকাইচি। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর তিনি মোট ১০ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, পরাজিত হয়েছেন মাত্র একবার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অন্যতম সহযোগী হয়ে উঠেছিলেন তাকাইচি। ধীরে ধীরে এলডিপির অন্যতম স্পষ্টভাষী রক্ষণশীল নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
দুইবার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে তিনি এলডিপির নেতৃত্বে নির্বাচিত হন, যা তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম করে দেয়।
৬৪ বছর বয়সী রক্ষণশীল এই নেত্রী সবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের ভক্ত এবং জাপানের ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী হলে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মন্দা অর্থনীতির সাথে লড়াই করা, মার্কিন-জাপানের কঠিন সম্পর্ককে অতিক্রম করা এবং কেলেঙ্কারি ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত শাসক দলকে ঐক্যবদ্ধ করা।
জাপানের রাজনীতিতে নারীর অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকাইচির এই ইতিহাস রচনা জাপানের কাঁচের সিলিং ভেঙে ফেলার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে এখনো পুরুষরা বেশির ভাগ ক্ষমতার অধিকারী।
এদিকে শিনজো আবের আরেক অনুসারী সাতসুকি কাটায়ামাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে কাটায়ামাও দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হবেন। তার এই নিয়োগ একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশটির রাজনীতিতে।
কাটায়ামা ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কিত গবেষণা কমিশনের সভাপতিত্ব করে থাকেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার একটি শক্তিশালী পটভূমি রয়েছে। তিনি আবের অধীনে স্থানীয় অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করেছেন।
জাপানের সংসদে প্রতি পাঁচ আসনের বিপরীতে নারীদের জন্য একটিরও কম আসন রয়েছে এবং প্রায় সব বড় করপোরেশন পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী পদে জয় পাওয়া ও কাটায়ামাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া দেশটির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

প্রত্যাশিতভাবে জাপান সংসদের নিম্নকক্ষে ভোটে জয় পেয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সানায়ে তাকাইচি। নির্বাচনে নিম্নকক্ষের ভোটই অগ্রাধিকার পাওয়া তিনিই জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন। তার নেতৃত্বে প্রধান বিরোধী দল জাপান ইনোভেশন পার্টির (জেআইপি) সঙ্গে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল এলডিপি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জাপানের সংসদে এই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আগে থেকে এলডিপি ও জেআইপির জোট সরকার গঠনের ঘোষণা থাকায় তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া ছিল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায়। এরই মধ্যে নিম্নকক্ষে ২৩৭ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, ১৯৬১ সালে নারা প্রিফেকচারে জন্মগ্রহণকারী তাকাইচির বাবা ছিলেন একজন অফিস কর্মী, মা পুলিশ কর্মকর্তা। রাজনীতি তার থেকে ছিল অনেক দূরে। একসময় তাকাইচি ছিলেন একজন দক্ষ হেভি মেটাল ড্রামার।
১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য বিরোধের সময় রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তাকাইচি। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর তিনি মোট ১০ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, পরাজিত হয়েছেন মাত্র একবার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অন্যতম সহযোগী হয়ে উঠেছিলেন তাকাইচি। ধীরে ধীরে এলডিপির অন্যতম স্পষ্টভাষী রক্ষণশীল নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
দুইবার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে তিনি এলডিপির নেতৃত্বে নির্বাচিত হন, যা তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম করে দেয়।
৬৪ বছর বয়সী রক্ষণশীল এই নেত্রী সবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের ভক্ত এবং জাপানের ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী হলে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মন্দা অর্থনীতির সাথে লড়াই করা, মার্কিন-জাপানের কঠিন সম্পর্ককে অতিক্রম করা এবং কেলেঙ্কারি ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত শাসক দলকে ঐক্যবদ্ধ করা।
জাপানের রাজনীতিতে নারীর অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকাইচির এই ইতিহাস রচনা জাপানের কাঁচের সিলিং ভেঙে ফেলার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে এখনো পুরুষরা বেশির ভাগ ক্ষমতার অধিকারী।
এদিকে শিনজো আবের আরেক অনুসারী সাতসুকি কাটায়ামাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে কাটায়ামাও দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হবেন। তার এই নিয়োগ একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশটির রাজনীতিতে।
কাটায়ামা ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কিত গবেষণা কমিশনের সভাপতিত্ব করে থাকেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার একটি শক্তিশালী পটভূমি রয়েছে। তিনি আবের অধীনে স্থানীয় অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করেছেন।
জাপানের সংসদে প্রতি পাঁচ আসনের বিপরীতে নারীদের জন্য একটিরও কম আসন রয়েছে এবং প্রায় সব বড় করপোরেশন পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী পদে জয় পাওয়া ও কাটায়ামাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া দেশটির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, চলচ্চিত্র পর্যালোচনাবিষয়ক সাইট লেটারবক্সডসহ অসংখ্য ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করলে ব্যবহারকারীরা একটি ত্রুটি বার্তা দেখতে পান, যেখানে বলা হয়, ‘ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে পেজটি লোড করা সম্ভব হয়নি’।
১৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের গোষ্ঠী হামাস। গাজায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
১ দিন আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থায়নের চেষ্টা করবে ফ্রান্স। এ ছাড়া জব্দ করা রাশিয়ান সম্পদও ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটি এমন একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ যা ২৭ সদস্যের ব্লককে বিভক্ত করছে।
১ দিন আগে