
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) আলাদা একটি জোট হওয়ায় এর সঙ্গে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভের (বিমসটেক) কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিমসটেক চেয়ারম্যান ইন্দ্র মনি পান্ডে। একই কারণে সার্কের ঝিমিয়ে পড়ার সঙ্গে বিমসটেকের এগিয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্কও দেখছেন না তিনি।
ইন্দ্র মনি বলেন,‘বেশ কয়েকটি দেশ সার্ক ও বিমসটেক দুটি সংস্থারই সদস্য। বরে মধ্যে কয়েকটি দেশ আবার আসিয়ানের অংশ। কোনো দেশের এ রকম একাধিক আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে সম্পৃক্ত থাকার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিরোধ নেই। বরং এ ধরনের সংস্থা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র কিন্তু পরিপূরক ভূমিকা পালন করে।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্দ্র মনি পান্ডে বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রথম যখন বিসমটেক গঠিত হয়, তখন সার্ক ছিল ‘বর্ধনশীল’ আঞ্চলিক সংস্থা। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছিল। ফলে একটি সংস্থার ক্ষেত্রে সহযোগিতা কমতির সঙ্গে বিমসটেক গঠনের কোনো সংযোগ নেই।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে ১৯৮৫ সালে এই অঞ্চলের সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত হয় সার্ক। প্রতিষ্ঠাতা ২২ বছর পর এতে যোগ দেয় আফগানিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিস্ট-টেক) নামে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। মিয়ানমার যুক্ত হলে এর নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা বিমসটেক)।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে মতবিনিময়ে ইন্দ্র মনি পান্ডে বলেন, বিমসটেক ও সার্কের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ছবি: রাজনীতি ডটকম
২০০৪ সালে নেপাল যুক্ত হয় বিমসটেকে। ওই সময় এর নাম দেওয়া হয় বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)। সার্কভুক্ত আট দেশের মধ্যে চারটি দেশ এই জোটেরও সদস্য।
দুটি আঞ্চলিক জোটের মধ্যে প্রকৃতিগত পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে বিমসটেক মহাসচিব বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সংযোগকারী বিমসটেক অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। অন্যদিকে সার্ক ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর মনোনিবেশ করেছে।
আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে হবে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে। ওই সম্মেলনে দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে আশা করছেন ইন্দ্র মনি পান্ডে।
তিনি বলেন, আশা করছি, সদস্য দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা এই শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সরকারপ্রধানদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও আয়োজন করা হবে।
বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও এই জোটকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেন মহাসচিব পান্ডে। বিমসটেকের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে সম্মান করি এবং বিমসটেকের সঙ্গে চলমান সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানাই।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) আলাদা একটি জোট হওয়ায় এর সঙ্গে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভের (বিমসটেক) কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিমসটেক চেয়ারম্যান ইন্দ্র মনি পান্ডে। একই কারণে সার্কের ঝিমিয়ে পড়ার সঙ্গে বিমসটেকের এগিয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্কও দেখছেন না তিনি।
ইন্দ্র মনি বলেন,‘বেশ কয়েকটি দেশ সার্ক ও বিমসটেক দুটি সংস্থারই সদস্য। বরে মধ্যে কয়েকটি দেশ আবার আসিয়ানের অংশ। কোনো দেশের এ রকম একাধিক আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে সম্পৃক্ত থাকার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিরোধ নেই। বরং এ ধরনের সংস্থা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র কিন্তু পরিপূরক ভূমিকা পালন করে।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্দ্র মনি পান্ডে বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রথম যখন বিসমটেক গঠিত হয়, তখন সার্ক ছিল ‘বর্ধনশীল’ আঞ্চলিক সংস্থা। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছিল। ফলে একটি সংস্থার ক্ষেত্রে সহযোগিতা কমতির সঙ্গে বিমসটেক গঠনের কোনো সংযোগ নেই।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে ১৯৮৫ সালে এই অঞ্চলের সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত হয় সার্ক। প্রতিষ্ঠাতা ২২ বছর পর এতে যোগ দেয় আফগানিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিস্ট-টেক) নামে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। মিয়ানমার যুক্ত হলে এর নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা বিমসটেক)।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে মতবিনিময়ে ইন্দ্র মনি পান্ডে বলেন, বিমসটেক ও সার্কের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ছবি: রাজনীতি ডটকম
২০০৪ সালে নেপাল যুক্ত হয় বিমসটেকে। ওই সময় এর নাম দেওয়া হয় বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)। সার্কভুক্ত আট দেশের মধ্যে চারটি দেশ এই জোটেরও সদস্য।
দুটি আঞ্চলিক জোটের মধ্যে প্রকৃতিগত পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে বিমসটেক মহাসচিব বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সংযোগকারী বিমসটেক অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। অন্যদিকে সার্ক ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর মনোনিবেশ করেছে।
আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে হবে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে। ওই সম্মেলনে দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে আশা করছেন ইন্দ্র মনি পান্ডে।
তিনি বলেন, আশা করছি, সদস্য দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা এই শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সরকারপ্রধানদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও আয়োজন করা হবে।
বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও এই জোটকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেন মহাসচিব পান্ডে। বিমসটেকের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে সম্মান করি এবং বিমসটেকের সঙ্গে চলমান সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানাই।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম অবহেলার সঙ্গে এই দায়সারা সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সমাবর্তনপ্রত্যাশীরা যে ৩ দফা দাবি জানিয়েছে তার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
২ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই বিচারক ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পাঁচ হাজার নৌ সদস্যকে প্রস্তুত করা হয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শওকত মাহমুদ বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানও।
৪ ঘণ্টা আগে