
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ/ দুপুর বেলার অক্ত/ বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়?/ বরকতেরই রক্ত।’
শুধু বরকত নয়, সালাম-জব্বার-রফিক-শফিউরের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হওয়ার বিনিময়ে ভাষার অধিকার ফিরে পাওয়ার দিন আজ। মায়ের ভাষা, মুখের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি হিসেবে অর্জনের দিন। শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন আর শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে অধিকার আদায়ের দিন। যে স্বাধীন বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, সেই স্বাধীনতার বীজ বপনেরও দিন।
আজ সেই একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। তাদের স্মরণে আজ জাতি শোকের আবহে পালন করবে মহান শহিদ দিবস।
ভাষার জন্য লড়াইয়ের এই ইতিহাসের রয়েছে বিশ্বস্বীকৃতিও। ১৯৯৭ সাল থেকে দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য— ‘মেক ল্যাংগুয়েজেস কাউন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’।

একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শ্রদ্ধা। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। এরপর ঢাকায় দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, হাইকমিশনাররা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
শ্রদ্ধা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। আরও শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা। সহকর্মীদের নিয়ে এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান।
রাত পৌনে ১টার দিকে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, প্রতিষ্ঠান-সংস্থাসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত হয় শহিদ মিনার। এ সময় প্রথম প্রহরেই শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, জাতীয় নাগরিক কমিটি, ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ভোর থেকেও প্রভাতফেরীতে ছুটে আসছেন রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার সর্বসাধারণ। সবার হাতে ফুল। জনতার নিয়ে আসা ফুলে ফুলে ভরে উঠছে শহিদ বেদী। ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাদের অনেকেই ছুটে যান অমর একুশে বইমেলায়। এ দিন যে সকাল ৭টা থেকেই খোলা বইমেলার দ্বার।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশ তথা তখনকার পূর্ব-পাকিস্তানের প্রাপ্তি ছিল কেবল শোষণ, বঞ্চনা আর বৈষম্য। এর মধ্যেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। অথচ পাকিস্তান রাষ্ট্রের ১১ কোটি মানুষের মধ্যে সাত কোটি মানুষই বাংলা ভাষাভাষী।
স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর এমন অবস্থান নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ দানা বাঁধতে থাকে। দাবি ওঠে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতেই হবে। ছাত্ররা ভাষার এই অধিকার আদায়ের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে নেমে আসে জনতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হন। সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। সেদিন ও পরদিন পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন সালাম, বরকত, রফিকসহ অন্তত আটজন।

ছবিতে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। ছবি: সংগৃহীত
এই আত্মদানের বিনিময়েই অর্জিত হয় ভাষার অধিকার, বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি। কেবল ভাষার অধিকার অর্জনই নয়, ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, ১৯৭১ সালে যে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, সেই মুক্তির চেতনার উন্মেষও সেই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই। তার পথ বেয়েই পরবর্তী দুই দশক ধরে নানা আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি, ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা।
জাতির জীবনের তাৎপর্যময় এই দিনটি নিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে তিনি বলেন, শত বছরের শোষণে ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়াও ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে আলপনায় সাজিয়ে তোলা হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। ছবি: রাজনীতি ডটকম
কেবল রাজধানী ঢাকা নয়, সারা দেশেই একুশের প্রথম প্রহর থেকেই শহিদ মিনারগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। সারা দেশেই বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করেছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিঠি লেখাসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতা।
সব আয়োজনের মধ্যেও একুশে ফেব্রুয়ারির প্রধান আকর্ষণ হাতে ফুল নিয়ে শহিদ মিনারের পথে যাত্রা— প্রভাতফেরী। শোক আর সংগ্রামের এই পদযাত্রায় সঙ্গী একুশে ফেব্রুয়ারি অমর গান— ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি...’।

‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ/ দুপুর বেলার অক্ত/ বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়?/ বরকতেরই রক্ত।’
শুধু বরকত নয়, সালাম-জব্বার-রফিক-শফিউরের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হওয়ার বিনিময়ে ভাষার অধিকার ফিরে পাওয়ার দিন আজ। মায়ের ভাষা, মুখের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি হিসেবে অর্জনের দিন। শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন আর শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে অধিকার আদায়ের দিন। যে স্বাধীন বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, সেই স্বাধীনতার বীজ বপনেরও দিন।
আজ সেই একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। তাদের স্মরণে আজ জাতি শোকের আবহে পালন করবে মহান শহিদ দিবস।
ভাষার জন্য লড়াইয়ের এই ইতিহাসের রয়েছে বিশ্বস্বীকৃতিও। ১৯৯৭ সাল থেকে দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য— ‘মেক ল্যাংগুয়েজেস কাউন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’।

একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শ্রদ্ধা। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। এরপর ঢাকায় দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, হাইকমিশনাররা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
শ্রদ্ধা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। আরও শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা। সহকর্মীদের নিয়ে এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান।
রাত পৌনে ১টার দিকে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, প্রতিষ্ঠান-সংস্থাসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত হয় শহিদ মিনার। এ সময় প্রথম প্রহরেই শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, জাতীয় নাগরিক কমিটি, ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ভোর থেকেও প্রভাতফেরীতে ছুটে আসছেন রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার সর্বসাধারণ। সবার হাতে ফুল। জনতার নিয়ে আসা ফুলে ফুলে ভরে উঠছে শহিদ বেদী। ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাদের অনেকেই ছুটে যান অমর একুশে বইমেলায়। এ দিন যে সকাল ৭টা থেকেই খোলা বইমেলার দ্বার।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশ তথা তখনকার পূর্ব-পাকিস্তানের প্রাপ্তি ছিল কেবল শোষণ, বঞ্চনা আর বৈষম্য। এর মধ্যেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। অথচ পাকিস্তান রাষ্ট্রের ১১ কোটি মানুষের মধ্যে সাত কোটি মানুষই বাংলা ভাষাভাষী।
স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর এমন অবস্থান নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ দানা বাঁধতে থাকে। দাবি ওঠে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতেই হবে। ছাত্ররা ভাষার এই অধিকার আদায়ের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে নেমে আসে জনতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হন। সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। সেদিন ও পরদিন পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন সালাম, বরকত, রফিকসহ অন্তত আটজন।

ছবিতে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। ছবি: সংগৃহীত
এই আত্মদানের বিনিময়েই অর্জিত হয় ভাষার অধিকার, বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি। কেবল ভাষার অধিকার অর্জনই নয়, ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, ১৯৭১ সালে যে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, সেই মুক্তির চেতনার উন্মেষও সেই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই। তার পথ বেয়েই পরবর্তী দুই দশক ধরে নানা আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি, ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা।
জাতির জীবনের তাৎপর্যময় এই দিনটি নিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে তিনি বলেন, শত বছরের শোষণে ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়াও ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে আলপনায় সাজিয়ে তোলা হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। ছবি: রাজনীতি ডটকম
কেবল রাজধানী ঢাকা নয়, সারা দেশেই একুশের প্রথম প্রহর থেকেই শহিদ মিনারগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। সারা দেশেই বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করেছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিঠি লেখাসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতা।
সব আয়োজনের মধ্যেও একুশে ফেব্রুয়ারির প্রধান আকর্ষণ হাতে ফুল নিয়ে শহিদ মিনারের পথে যাত্রা— প্রভাতফেরী। শোক আর সংগ্রামের এই পদযাত্রায় সঙ্গী একুশে ফেব্রুয়ারি অমর গান— ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি...’।

প্রশ্নটি হবে এ রকম— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের আদেশে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ আদেশের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব সংস্কার প্রস্তাব জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলোর বিষয়ে জনগণের রায় নেওয়া হবে গণভোটে।
৪ ঘণ্টা আগে
সোহেল তাজ লেখেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আর সত্যি কথা বললে যদি গালি খেতে হয় তাহলে কি আর করা।’
৪ ঘণ্টা আগে