
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

'নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম' প্রত্যাশিত 'জুলাই জাতীয় সনদ' স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সংগঠনটির অভিযোগ, এই সনদে নারীর জন্য অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা এই সনদে নিদারুণভাবে অনুপস্থিত। তাই তারা শুধু এই সনদ প্রত্যাখ্যানই করছে না, একইসঙ্গে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর এই 'ন্যক্কারজনক' আচরণের তীব্র প্রতিবাদও জানাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি এই দাবি জানিয়েছে।
তারা জুলাই সনদটি অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করার এবং তাতে নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের রূপরেখা ও রাজনৈতিক দলে নারীর অন্তর্ভুক্তির বাধ্যতামূলক কাঠামো সংযোজন করার দাবি জানিয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি আরও বলেছে যে, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তারা লক্ষ্য করছে তাদের কোনো দাবিই গৃহীত হয়নি।
তাদের ভাষ্য, জাতীয় জুলাই সনদ নারীর নেতৃত্বের সম্ভাবনাকে আরও সংকুচিত করেছে এবং রাজনৈতিক দলে নারীর প্রতিনিধিত্বের লক্ষ্যমাত্রাকে ২০৩০ সালের পেছনে ঠেলে দিয়ে একটি পশ্চাৎপদ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই অবস্থায় তারা চূড়ান্ত সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফোরাম স্পষ্ট করেছে, এই সিদ্ধান্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি তাদের নীতিগত অবস্থান, নারীর রাজনৈতিক সমানাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো জিইয়ে রাখার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।
প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি বলেছে, নাগরিক পরিসর থেকে নানাভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে অনেকগুলো যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলতি মাসে প্রত্যাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে এবং ভবিষ্যতের জন্য কোনো অঙ্গীকার রাখেনি। মাত্র ৫ শতাংশ দলীয় মনোনয়ন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে তারা ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নিয়েছে।
ফোরামের মতে, "এটি কেবল হতাশাজনক নয়, এটি নারীর নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সমতার দাবির প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা।" রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চাওয়া হয় যে বাংলাদেশের নারী ভোটাররা এই বৈষম্যের জবাব দেবেন।
জুলাই সনদ সবার হয়নি
প্রতিবাদলিপির শুরুতে বলা হয়, জাতীয় জুলাই সনদটি হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সব গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদের প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে দেশের জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং একই সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তা-ই হয়েছে।
তাদের মতে, "জুলাই সনদ সবার হয়নি।" এমনকি ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়েও নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে 'নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম' উল্লেখ করেছে যে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ শ্রম ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যদের বা সুপারিশমালা এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
ফোরাম বলেছে, এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যা সরকারি নির্দেশমালার দোহাই দিয়ে হেলায় হারানো হলো। আলোচনা প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করা হলো এবং সেখানেও নারীর অংশগ্রহণকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি—তাদের মতে, সত্যিকার সদিচ্ছা থাকলে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে এক-তৃতীয়াংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত।
প্রতিবাদলিপির শেষাংশে 'নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম' উল্লেখ করেছে যে তাদের দাবি আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের নারীরা তাদের ন্যায্য রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে সামনের দিনে জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও দর-কষাকষি চালিয়ে যাবেন।
ফোরামের প্রত্যাশা, সত্যিকার ন্যায্যতা ও বৈষম্যহীন প্রতিনিধিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বাংলাদেশের নারীরাই।

'নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম' প্রত্যাশিত 'জুলাই জাতীয় সনদ' স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সংগঠনটির অভিযোগ, এই সনদে নারীর জন্য অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা এই সনদে নিদারুণভাবে অনুপস্থিত। তাই তারা শুধু এই সনদ প্রত্যাখ্যানই করছে না, একইসঙ্গে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর এই 'ন্যক্কারজনক' আচরণের তীব্র প্রতিবাদও জানাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি এই দাবি জানিয়েছে।
তারা জুলাই সনদটি অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করার এবং তাতে নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের রূপরেখা ও রাজনৈতিক দলে নারীর অন্তর্ভুক্তির বাধ্যতামূলক কাঠামো সংযোজন করার দাবি জানিয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি আরও বলেছে যে, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তারা লক্ষ্য করছে তাদের কোনো দাবিই গৃহীত হয়নি।
তাদের ভাষ্য, জাতীয় জুলাই সনদ নারীর নেতৃত্বের সম্ভাবনাকে আরও সংকুচিত করেছে এবং রাজনৈতিক দলে নারীর প্রতিনিধিত্বের লক্ষ্যমাত্রাকে ২০৩০ সালের পেছনে ঠেলে দিয়ে একটি পশ্চাৎপদ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই অবস্থায় তারা চূড়ান্ত সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফোরাম স্পষ্ট করেছে, এই সিদ্ধান্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি তাদের নীতিগত অবস্থান, নারীর রাজনৈতিক সমানাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো জিইয়ে রাখার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।
প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি বলেছে, নাগরিক পরিসর থেকে নানাভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে অনেকগুলো যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলতি মাসে প্রত্যাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে এবং ভবিষ্যতের জন্য কোনো অঙ্গীকার রাখেনি। মাত্র ৫ শতাংশ দলীয় মনোনয়ন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে তারা ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নিয়েছে।
ফোরামের মতে, "এটি কেবল হতাশাজনক নয়, এটি নারীর নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সমতার দাবির প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা।" রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চাওয়া হয় যে বাংলাদেশের নারী ভোটাররা এই বৈষম্যের জবাব দেবেন।
জুলাই সনদ সবার হয়নি
প্রতিবাদলিপির শুরুতে বলা হয়, জাতীয় জুলাই সনদটি হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সব গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদের প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে দেশের জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং একই সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তা-ই হয়েছে।
তাদের মতে, "জুলাই সনদ সবার হয়নি।" এমনকি ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়েও নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে 'নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম' উল্লেখ করেছে যে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ শ্রম ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যদের বা সুপারিশমালা এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
ফোরাম বলেছে, এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যা সরকারি নির্দেশমালার দোহাই দিয়ে হেলায় হারানো হলো। আলোচনা প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করা হলো এবং সেখানেও নারীর অংশগ্রহণকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি—তাদের মতে, সত্যিকার সদিচ্ছা থাকলে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে এক-তৃতীয়াংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত।
প্রতিবাদলিপির শেষাংশে 'নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম' উল্লেখ করেছে যে তাদের দাবি আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের নারীরা তাদের ন্যায্য রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে সামনের দিনে জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও দর-কষাকষি চালিয়ে যাবেন।
ফোরামের প্রত্যাশা, সত্যিকার ন্যায্যতা ও বৈষম্যহীন প্রতিনিধিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বাংলাদেশের নারীরাই।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর পুরনো থানার কাছে সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি ঢুকে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করে চলে যায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সাথে আজ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি এখনো পাঠানো হয়নি। তবে চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে। আজকেই পাঠানো হতে পারে। রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠাবে না। শুধু নোট ভারবালের মাধ্যমে রায়ের বিষয়টি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হবে।’
১৬ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। তাকে স্বাগত জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
১৬ ঘণ্টা আগে