
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল (পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ) শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন আর ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরকারি সহায়তার তথ্য জানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেই চলছে তুমুল আলোচনা। ইউএসএইডের তহবিলের বিভিন্ন রেকর্ড পর্যালোচনা করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতের জন্য নয়, বরং ২০২২ সালে বাংলাদেশের জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার তহবিল অনুমোদন দিয়েছিল ইউএসএইড। এর মধ্যে অন্তত ১৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার বিতরণও করা হয়েছিল।
তথ্য বলছে, ইউএসএইডের অনুমোদিত অনুদান কনসোর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিকাল প্রসেস স্ট্রেন্থেনিংয়ের (সিইপিপিএস) মাধ্যমে বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছিল। এর ফেডারেল অ্যাওয়ার্ড নম্বর ৭২০৩৮৮২২এলএ০০০০১। ‘আমার ভোট আমার’ নামে একটি প্রকল্পের জন্য ২০২২ সালের জুলাইয়ে এই তহবিল অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, পরে নভেম্বরে এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘নাগরিক (সিটিজেন) প্রোগ্রাম’। সিইপিপিএসের অধীনে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস), ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ছয় কিস্তিতে পেয়েছিল এ অনুদান।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইউএসএইডের ঢাকার উপদেষ্টা লুবাইন মাসুম যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে নাগরিক প্রকল্পের জন্য ২১ মিলিয়ন বা দুই কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদান পাওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি এক পোস্টে আইএফইএস, আইআরআই ও এনডিআই— এই তিন সংস্থার মধ্যে অন্তত ১৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন বা এক কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান বিতরণের তথ্যও জানিয়েছিলেন।
এই তিন সংস্থার মধ্যে আইএফইএসের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে, আইআরআই ও এনডিআইয়ের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এ অনুদানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান আইএফইএসের একজন মুখপাত্র। আইআরআই ও এনডিআইও সাড়া দেয়নি।
তবে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে এনডিআই সদর দপ্তর পরিদর্শনের পর ইউএসএইড ঢাকার পলিটিক্যাল প্রোসেসেস উপদেষ্টা লুবাইন চৌধুরী মাসুম লিংকডইনের একটি পোস্টে ইউএসএইডের দুই কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিলের প্রতিশ্রুতির তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এনডিআইয়ের উপস্থিতি না থাকলেও সংস্থাটি ইউএসএইডের দুই কোটি ১০ লাখ ডলারের সিইপিপিএসের মাধ্যমে নাগরিক প্রকল্পের অধীনে আইআরআই ও আইএফইএসসহ তিনটি প্রধান অংশীদারদের একটি।
লুবাইন চৌধুরী মাসুম বলেন, সিইপিপিএস/ নাগরিক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশন (পিইএএম) ও টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশনে (টিএএম) অংশ নিয়েছে এনডিআই, যা আমি পরিচালনা করি।
এদিকে মাইক্রো গভর্ন্যান্স রিসার্চ (এমজিআর) নামের একটি গবেষণা সংস্থার পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আইএফইএস ও ইউএসএইড বাংলাদেশের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলেন অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাব (এডিএল)। ল্যাবটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তিনি। আইনুল ইসলাম ইসলাম আইএফইএসের সিনিয়র কনসালটেন্টের দায়িত্বেও রয়েছেন।
অধ্যাপক আইনুল গত ১১ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নাগরিক কর্মসূচির আওতায় আইএফইএস ও ইউএসএইড বাংলাদেশের উদার সমর্থন ও অংশীদারির কথা উল্লেখ করেন। তিনি ওই পোস্টে জানান, তার প্রকল্পের আওতায় গত দুই বছরে এমজিআর, সেইভ ইয়ুথ ও ডিএফটিপি দেশ জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণদের জন্য ৫৪৪টি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। কর্মশালার আকারে, প্রশিক্ষণ, কথোপকথন, সামিট, অ্যাকশন প্রকল্পসহ তরুণ গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এবং নাগরিক সংশ্লিষ্টতার জন্য সরাসরি ২২১টি অ্যাকশন প্রকল্প, ১৭০টি গণতন্ত্র সেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ২৬৪ তরুণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছিল।
সিইপিপিএসের মাধ্যমে নাগরিক প্রোগ্রামে ইউএসএইডের অর্থায়নের তথ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক আইনুল। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি ইউএসএইডের তহবিল বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি ধাক্কা। তবে ল্যাবটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং আমরা আশাবাদী এটি চালু থাকবে।
এদিকে ‘স্ট্রেন্থেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল)’ শীর্ষক যে প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের অর্থায়নের কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেই নামে বাংলাদেশে একটি প্রকল্প পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই)। তাদের ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পে ইউএসএইডের অর্থায়নের তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে ডিআইয়ের এই প্রকল্প।
রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে শক্তিশালী করতে মার্কিন সরকারের সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় আসে ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের জন্য মার্কিন সহায়তা কমিয়ে দেওয়া বা বাতিল করার ঘোষণা দিলে। এর মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে ইউএসএইডের এই সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তাও বাতিলের ঘোষণা আসে একই সঙ্গে। স্থগিত করা হয় আরও ১১ দেশের সহায়তা।
বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের কর্মঅধিবেশনে ট্রাম্পের ভাষণ দেওয়ার সময়। ট্রাম্প বলেন, ২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে দেওয়া হয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে, যার নাম কেউই শোনেনি। এই তহবিল বাংলাদেশের এমন একটি সংস্থা পেয়েছে, যেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করেন। তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন?
ভাষণে ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি। তার এই ভাষণের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মার্কিন অনুদানের ভূমিকা ছিল কি না, সে আলোচনাও ওঠে। এর আগেই অবশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকার পতনে মার্কিন 'ডিপ স্টেটে'র কোনো ধরনের ভূমিকা অস্বীকার করেন ট্রাম্প।
ভারতে ইউএসএইডের সহায়তা নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসের মধ্যেও চলছে বাগযুদ্ধ। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলো মার্কিন সহায়তা পেয়েছে। এখন বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক অস্থিরতা, তার দ্বারা ভারতও প্রভাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতারা বলছেন, জনসকর্থন না থাকায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিদেশিদের সহায়তায় মোদি সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছিলেন।
শুধু বাংলাদেশ বা ভারত নয়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মলদোভাতেও রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করা ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সিইপিপিএসকে অর্থ সরবরাহ করা হয়। দেশটির জন্য বরাদ্দ হওয়া দুই কোটি ২০ লাখ ডলার তহবিলের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩২ লাখ ডলার সরবরাহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল (পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ) শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন আর ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরকারি সহায়তার তথ্য জানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেই চলছে তুমুল আলোচনা। ইউএসএইডের তহবিলের বিভিন্ন রেকর্ড পর্যালোচনা করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতের জন্য নয়, বরং ২০২২ সালে বাংলাদেশের জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার তহবিল অনুমোদন দিয়েছিল ইউএসএইড। এর মধ্যে অন্তত ১৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার বিতরণও করা হয়েছিল।
তথ্য বলছে, ইউএসএইডের অনুমোদিত অনুদান কনসোর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিকাল প্রসেস স্ট্রেন্থেনিংয়ের (সিইপিপিএস) মাধ্যমে বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছিল। এর ফেডারেল অ্যাওয়ার্ড নম্বর ৭২০৩৮৮২২এলএ০০০০১। ‘আমার ভোট আমার’ নামে একটি প্রকল্পের জন্য ২০২২ সালের জুলাইয়ে এই তহবিল অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, পরে নভেম্বরে এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘নাগরিক (সিটিজেন) প্রোগ্রাম’। সিইপিপিএসের অধীনে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস), ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ছয় কিস্তিতে পেয়েছিল এ অনুদান।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইউএসএইডের ঢাকার উপদেষ্টা লুবাইন মাসুম যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে নাগরিক প্রকল্পের জন্য ২১ মিলিয়ন বা দুই কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদান পাওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি এক পোস্টে আইএফইএস, আইআরআই ও এনডিআই— এই তিন সংস্থার মধ্যে অন্তত ১৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন বা এক কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান বিতরণের তথ্যও জানিয়েছিলেন।
এই তিন সংস্থার মধ্যে আইএফইএসের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে, আইআরআই ও এনডিআইয়ের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এ অনুদানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান আইএফইএসের একজন মুখপাত্র। আইআরআই ও এনডিআইও সাড়া দেয়নি।
তবে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে এনডিআই সদর দপ্তর পরিদর্শনের পর ইউএসএইড ঢাকার পলিটিক্যাল প্রোসেসেস উপদেষ্টা লুবাইন চৌধুরী মাসুম লিংকডইনের একটি পোস্টে ইউএসএইডের দুই কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিলের প্রতিশ্রুতির তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এনডিআইয়ের উপস্থিতি না থাকলেও সংস্থাটি ইউএসএইডের দুই কোটি ১০ লাখ ডলারের সিইপিপিএসের মাধ্যমে নাগরিক প্রকল্পের অধীনে আইআরআই ও আইএফইএসসহ তিনটি প্রধান অংশীদারদের একটি।
লুবাইন চৌধুরী মাসুম বলেন, সিইপিপিএস/ নাগরিক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশন (পিইএএম) ও টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশনে (টিএএম) অংশ নিয়েছে এনডিআই, যা আমি পরিচালনা করি।
এদিকে মাইক্রো গভর্ন্যান্স রিসার্চ (এমজিআর) নামের একটি গবেষণা সংস্থার পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আইএফইএস ও ইউএসএইড বাংলাদেশের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলেন অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাব (এডিএল)। ল্যাবটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তিনি। আইনুল ইসলাম ইসলাম আইএফইএসের সিনিয়র কনসালটেন্টের দায়িত্বেও রয়েছেন।
অধ্যাপক আইনুল গত ১১ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নাগরিক কর্মসূচির আওতায় আইএফইএস ও ইউএসএইড বাংলাদেশের উদার সমর্থন ও অংশীদারির কথা উল্লেখ করেন। তিনি ওই পোস্টে জানান, তার প্রকল্পের আওতায় গত দুই বছরে এমজিআর, সেইভ ইয়ুথ ও ডিএফটিপি দেশ জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণদের জন্য ৫৪৪টি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। কর্মশালার আকারে, প্রশিক্ষণ, কথোপকথন, সামিট, অ্যাকশন প্রকল্পসহ তরুণ গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এবং নাগরিক সংশ্লিষ্টতার জন্য সরাসরি ২২১টি অ্যাকশন প্রকল্প, ১৭০টি গণতন্ত্র সেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ২৬৪ তরুণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছিল।
সিইপিপিএসের মাধ্যমে নাগরিক প্রোগ্রামে ইউএসএইডের অর্থায়নের তথ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক আইনুল। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি ইউএসএইডের তহবিল বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি ধাক্কা। তবে ল্যাবটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং আমরা আশাবাদী এটি চালু থাকবে।
এদিকে ‘স্ট্রেন্থেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল)’ শীর্ষক যে প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের অর্থায়নের কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেই নামে বাংলাদেশে একটি প্রকল্প পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই)। তাদের ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পে ইউএসএইডের অর্থায়নের তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে ডিআইয়ের এই প্রকল্প।
রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে শক্তিশালী করতে মার্কিন সরকারের সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় আসে ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের জন্য মার্কিন সহায়তা কমিয়ে দেওয়া বা বাতিল করার ঘোষণা দিলে। এর মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে ইউএসএইডের এই সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তাও বাতিলের ঘোষণা আসে একই সঙ্গে। স্থগিত করা হয় আরও ১১ দেশের সহায়তা।
বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের কর্মঅধিবেশনে ট্রাম্পের ভাষণ দেওয়ার সময়। ট্রাম্প বলেন, ২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে দেওয়া হয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে, যার নাম কেউই শোনেনি। এই তহবিল বাংলাদেশের এমন একটি সংস্থা পেয়েছে, যেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করেন। তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন?
ভাষণে ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি। তার এই ভাষণের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মার্কিন অনুদানের ভূমিকা ছিল কি না, সে আলোচনাও ওঠে। এর আগেই অবশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকার পতনে মার্কিন 'ডিপ স্টেটে'র কোনো ধরনের ভূমিকা অস্বীকার করেন ট্রাম্প।
ভারতে ইউএসএইডের সহায়তা নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসের মধ্যেও চলছে বাগযুদ্ধ। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলো মার্কিন সহায়তা পেয়েছে। এখন বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক অস্থিরতা, তার দ্বারা ভারতও প্রভাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতারা বলছেন, জনসকর্থন না থাকায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিদেশিদের সহায়তায় মোদি সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছিলেন।
শুধু বাংলাদেশ বা ভারত নয়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মলদোভাতেও রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করা ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সিইপিপিএসকে অর্থ সরবরাহ করা হয়। দেশটির জন্য বরাদ্দ হওয়া দুই কোটি ২০ লাখ ডলার তহবিলের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩২ লাখ ডলার সরবরাহ করা হয়েছে।

দেশের অর্থনীতি আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে উপস্থিত ধর্মভিত্তিক দল ইসলামী ঐক্যজোটের দুই অংশের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে মুফতি আবুল হাসানাত আমিনী নেতৃত্বাধীন অংশকে সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হতে হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনেকটাই আচরণবিধি মানার ওপর নির্ভর করে। প্রার্থীরা যদি এই আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করেন, তবে নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য থাকবে। তাই এই বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫ ঘণ্টা আগে
এই মামলার আসামি হলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
৫ ঘণ্টা আগে