
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ‘বিতর্কিত’ নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ২১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে এক সিনিয়র সচিবকে। গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি সরকারের বিরোধিতা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এক যুগ্ম সচিবকে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে এসব আমলার বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে তিন সচিবকে। তারা হলেন— শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এবং কিছুদিন আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক বার্তায় বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট বিল্পবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ও বর্তমান সরকারে বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করার অভিযোগে ধনঞ্জয় দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা। সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে যারা রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন (জেলা প্রশাসক), তারা নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের ৪৩ জনকে এরই মধ্যে ওএসডি করা হয়েছে। আজ কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই সচিব জানান, বিতর্কিত নির্বাচনগুলোতে যারা জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে চাকরির বয়স ২৫ বছরে কম তাদের ওএসডি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে যাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন— মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবীব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়লা ফারজানা, রাব্বী মিয়া, এস এম আলম ও তন্ময় দাস, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও কপিরাইট নিবন্ধনের মো. তোফায়েল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণকেন্দ্রের মহাপরিচালক মো. শওকত আলী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা, ইউএই আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (লেবার) মো. আবদুল আওয়াল, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. হামিদুল হক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া, পরিকল্পনা বিভাগের আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবির।
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার ৩৩ কর্মকর্তাকে বুধবার ওএসডি করে সরকার। একই কারণে এর আগে আরও ১২ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে।

২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ‘বিতর্কিত’ নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ২১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে এক সিনিয়র সচিবকে। গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি সরকারের বিরোধিতা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এক যুগ্ম সচিবকে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে এসব আমলার বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে তিন সচিবকে। তারা হলেন— শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এবং কিছুদিন আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক বার্তায় বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট বিল্পবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ও বর্তমান সরকারে বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করার অভিযোগে ধনঞ্জয় দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা। সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে যারা রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন (জেলা প্রশাসক), তারা নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের ৪৩ জনকে এরই মধ্যে ওএসডি করা হয়েছে। আজ কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই সচিব জানান, বিতর্কিত নির্বাচনগুলোতে যারা জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে চাকরির বয়স ২৫ বছরে কম তাদের ওএসডি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে যাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন— মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবীব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়লা ফারজানা, রাব্বী মিয়া, এস এম আলম ও তন্ময় দাস, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও কপিরাইট নিবন্ধনের মো. তোফায়েল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণকেন্দ্রের মহাপরিচালক মো. শওকত আলী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা, ইউএই আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (লেবার) মো. আবদুল আওয়াল, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. হামিদুল হক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া, পরিকল্পনা বিভাগের আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবির।
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার ৩৩ কর্মকর্তাকে বুধবার ওএসডি করে সরকার। একই কারণে এর আগে আরও ১২ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে।
৯ ঘণ্টা আগে
সোমবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, নির্বাসনে থাকা হাসিনার রায় ভারত ‘নজরে নিয়েছে’ এবং ‘বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করেছে তা প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ক্যাঙারু কোর্টের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন এই আদালত স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়
১০ ঘণ্টা আগে
এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুন
১০ ঘণ্টা আগে