ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
মানুষ যখন দম নেয়, তখন ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়। প্রতিদিন আমরা লক্ষ লক্ষ বার এই কাজটি করি—চলার গতি বাড়ে, জীবনীশক্তি টিকে থাকে এই শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপরই। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গেই জন্ম নেয় এক ভয়ঙ্কর অসুখ—ফুসফুসের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার শুধু একজন মানুষের শরীরেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তার পরিবার, সমাজ এবং এক অর্থে পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা "ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন" বলছে, পৃথিবীতে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ফুসফুসের ক্যান্সারে। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, বছরে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ মারা যায় এই একটাই ক্যান্সারে। কিন্তু কেন হয় এই রোগ?
ফুসফুসের ক্যান্সার সাধারণত শুরু হয় যখন ফুসফুসের কোষে জেনেটিক মিউটেশন বা বংশগত উপাদানের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের ফলে কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে, এবং একসময় তা টিউমারে পরিণত হয়। অনেক সময় এই কোষগুলো রক্ত বা লসিকানালী দিয়ে শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে—তখন এটিকে বলে “মেটাস্টেটিক ক্যান্সার”। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এমন বিপজ্জনক পরিবর্তন হয় কেন?
এই প্রশ্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর হলো—ধূমপান। যুক্তরাষ্ট্রের “ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট”-এর প্রধান গবেষক ড. নিলি শাহ বলছেন, “৯০ শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সারের পেছনে দায়ী হলো ধূমপান। তামাকের ধোঁয়ায় রয়েছে প্রায় ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক। এই পদার্থগুলো ফুসফুসের কোষে সরাসরি ক্ষতি করে এবং ক্যান্সার জন্ম দেয়।”
এই ক্যান্সার শুধু তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না যারা নিজেরা ধূমপান করে। যারা নিয়মিত ধূমপায়ীদের পাশে থাকে—যেমন পরিবারের সদস্য বা সহকর্মী—তাঁরাও ঝুঁকিতে পড়ে যান। এটিকে বলা হয় “প্যাসিভ স্মোকিং” বা “দ্বিতীয় হাতের ধোঁয়ার প্রভাব”।
তবে ধূমপানই একমাত্র কারণ নয়। ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে বাতাস দূষণের কারণে। শহরের রাস্তাঘাটে প্রতিদিন যে পরিমাণ ধুলা, ধোঁয়া, গ্যাস, এবং ক্ষতিকর কণা ঘুরে বেড়ায়, তা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে ঢুকে সেখানকার কোষে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার গবেষণা বিভাগ “আইএআরসি”-র বিজ্ঞানী ড. এলেনা ট্রেসি বলেন, “বায়ুদূষণ এখন সারা পৃথিবীতে ফুসফুসের ক্যান্সারের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশে শিল্পকারখানা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে, সেখানে সমস্যা আরও মারাত্মক।”
আরেকটি বড় কারণ হলো রাডন গ্যাস। এটি একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন গ্যাস, যা মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে এবং ঘরের ভিতরে জমা হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বাড়ি নিচতলায় বানানো, সেখানে রাডন গ্যাস জমে থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের “ইউনিভার্সিটি অফ সাসেক্স”-এর পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. থমাস ফিনলে বলেন, “রাডন গ্যাস চুপিসারে ফুসফুসে ঢুকে পড়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে তা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। সমস্যা হলো, এটি চোখে দেখা যায় না, গন্ধ নেই—তাই মানুষ টেরই পায় না।”
কেউ কেউ জেনেটিক বা পারিবারিক কারণেও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি কারও পরিবারে একাধিক সদস্য এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর মধ্যেও সেই ঝুঁকি থেকে যায়।
এছাড়া অ্যাসবেস্টস নামের একধরনের নির্মাণসামগ্রী থেকেও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। আগে যেসব পুরনো ভবনে অ্যাসবেস্টস ব্যবহৃত হতো, এখন সেগুলো ভেঙে পড়লে বা পুরনো বাড়িতে বাস করলে ক্ষুদ্র অ্যাসবেস্টস কণা ফুসফুসে গিয়ে জমতে পারে।
এই রোগ ধরা পড়ে সাধারণত দেরিতে। প্রথম দিকে ফুসফুসের ক্যান্সারের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। ধীরে ধীরে শুরু হয় শুকনো কাশি, বুকব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, রক্তমিশ্রিত কফ। অনেকেই তখন ভেবে বসেন এটা সাধারণ ঠান্ডা বা ব্রঙ্কাইটিস। ফলে রোগ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে, আর চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়।
চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধাপ বা “স্টেজ”-এর উপর। শুরুতে ধরা পড়লে সার্জারি বা অস্ত্রোপচারে পুরো টিউমার কেটে ফেলা যায়। মাঝারি স্তরে গেলে রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয়। আর যদি ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে, তখন চিকিৎসা হয়ে পড়ে অনেক বেশি জটিল।
তবে আশার কথা হলো, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখন নতুন নতুন পথ বের হচ্ছে। যেমন “ইমিউনোথেরাপি”—যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করা হয়। আবার “টার্গেটেড থেরাপি” নামের একধরনের চিকিৎসা আছে, যা ক্যান্সার কোষের নির্দিষ্ট জিনগত দুর্বলতাকে লক্ষ্য করে ওষুধ প্রয়োগ করে।
এমনকি এখন এমন কিছু স্ক্যান পদ্ধতি এসেছে, যেগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে ফুসফুসের ক্ষুদ্র পরিবর্তন ধরতে পারে। যেমন “লো-ডোজ সিটিস্ক্যান”। যুক্তরাষ্ট্রের “মায়ো ক্লিনিক”-এর ক্যান্সার চিকিৎসক ড. এলিজাবেথ স্টুয়ার্ট বলেন, “যেসব মানুষ দীর্ঘদিন ধূমপান করেছেন বা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের বছরে একবার লো-ডোজ সিটিস্ক্যান করানো উচিত। এতে ক্যান্সার দ্রুত ধরা পড়ে, আর বাঁচার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়।”
তবে চিকিৎসার চেয়েও বড় হলো প্রতিরোধ। ধূমপান ত্যাগ করলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি নাটকীয়ভাবে কমে যায়। এমনকি দীর্ঘদিন ধূমপায়ী ছিলেন এমন ব্যক্তিও যদি ধূমপান ছেড়ে দেন, তাহলে তাঁর ফুসফুস ধীরে ধীরে ঠিক হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য, পরিচ্ছন্নতা, এবং দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকার অভ্যাস গড়ে তুললে ফুসফুস সুস্থ থাকে অনেকদিন। এবং কোনো সমস্যা শুরু হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফুসফুস আমাদের শরীরের বাতাসের জানালা। এই জানালা যদি একবার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে জীবনটাই থেমে যায়। তাই সময় থাকতেই সাবধান হওয়া দরকার। ধোঁয়া নয়, চাই নির্মল বাতাস—এই চেতনা যদি সমাজজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে ফুসফুসের ক্যান্সার হবে না এমন এক প্রজন্মের জন্ম হতে পারে।
মানুষ যখন দম নেয়, তখন ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়। প্রতিদিন আমরা লক্ষ লক্ষ বার এই কাজটি করি—চলার গতি বাড়ে, জীবনীশক্তি টিকে থাকে এই শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপরই। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গেই জন্ম নেয় এক ভয়ঙ্কর অসুখ—ফুসফুসের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার শুধু একজন মানুষের শরীরেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তার পরিবার, সমাজ এবং এক অর্থে পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা "ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন" বলছে, পৃথিবীতে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ফুসফুসের ক্যান্সারে। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, বছরে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ মারা যায় এই একটাই ক্যান্সারে। কিন্তু কেন হয় এই রোগ?
ফুসফুসের ক্যান্সার সাধারণত শুরু হয় যখন ফুসফুসের কোষে জেনেটিক মিউটেশন বা বংশগত উপাদানের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের ফলে কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে, এবং একসময় তা টিউমারে পরিণত হয়। অনেক সময় এই কোষগুলো রক্ত বা লসিকানালী দিয়ে শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে—তখন এটিকে বলে “মেটাস্টেটিক ক্যান্সার”। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এমন বিপজ্জনক পরিবর্তন হয় কেন?
এই প্রশ্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর হলো—ধূমপান। যুক্তরাষ্ট্রের “ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট”-এর প্রধান গবেষক ড. নিলি শাহ বলছেন, “৯০ শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সারের পেছনে দায়ী হলো ধূমপান। তামাকের ধোঁয়ায় রয়েছে প্রায় ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক। এই পদার্থগুলো ফুসফুসের কোষে সরাসরি ক্ষতি করে এবং ক্যান্সার জন্ম দেয়।”
এই ক্যান্সার শুধু তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না যারা নিজেরা ধূমপান করে। যারা নিয়মিত ধূমপায়ীদের পাশে থাকে—যেমন পরিবারের সদস্য বা সহকর্মী—তাঁরাও ঝুঁকিতে পড়ে যান। এটিকে বলা হয় “প্যাসিভ স্মোকিং” বা “দ্বিতীয় হাতের ধোঁয়ার প্রভাব”।
তবে ধূমপানই একমাত্র কারণ নয়। ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে বাতাস দূষণের কারণে। শহরের রাস্তাঘাটে প্রতিদিন যে পরিমাণ ধুলা, ধোঁয়া, গ্যাস, এবং ক্ষতিকর কণা ঘুরে বেড়ায়, তা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে ঢুকে সেখানকার কোষে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার গবেষণা বিভাগ “আইএআরসি”-র বিজ্ঞানী ড. এলেনা ট্রেসি বলেন, “বায়ুদূষণ এখন সারা পৃথিবীতে ফুসফুসের ক্যান্সারের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশে শিল্পকারখানা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে, সেখানে সমস্যা আরও মারাত্মক।”
আরেকটি বড় কারণ হলো রাডন গ্যাস। এটি একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন গ্যাস, যা মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে এবং ঘরের ভিতরে জমা হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বাড়ি নিচতলায় বানানো, সেখানে রাডন গ্যাস জমে থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের “ইউনিভার্সিটি অফ সাসেক্স”-এর পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. থমাস ফিনলে বলেন, “রাডন গ্যাস চুপিসারে ফুসফুসে ঢুকে পড়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে তা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। সমস্যা হলো, এটি চোখে দেখা যায় না, গন্ধ নেই—তাই মানুষ টেরই পায় না।”
কেউ কেউ জেনেটিক বা পারিবারিক কারণেও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি কারও পরিবারে একাধিক সদস্য এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর মধ্যেও সেই ঝুঁকি থেকে যায়।
এছাড়া অ্যাসবেস্টস নামের একধরনের নির্মাণসামগ্রী থেকেও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। আগে যেসব পুরনো ভবনে অ্যাসবেস্টস ব্যবহৃত হতো, এখন সেগুলো ভেঙে পড়লে বা পুরনো বাড়িতে বাস করলে ক্ষুদ্র অ্যাসবেস্টস কণা ফুসফুসে গিয়ে জমতে পারে।
এই রোগ ধরা পড়ে সাধারণত দেরিতে। প্রথম দিকে ফুসফুসের ক্যান্সারের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। ধীরে ধীরে শুরু হয় শুকনো কাশি, বুকব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, রক্তমিশ্রিত কফ। অনেকেই তখন ভেবে বসেন এটা সাধারণ ঠান্ডা বা ব্রঙ্কাইটিস। ফলে রোগ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে, আর চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়।
চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধাপ বা “স্টেজ”-এর উপর। শুরুতে ধরা পড়লে সার্জারি বা অস্ত্রোপচারে পুরো টিউমার কেটে ফেলা যায়। মাঝারি স্তরে গেলে রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয়। আর যদি ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে, তখন চিকিৎসা হয়ে পড়ে অনেক বেশি জটিল।
তবে আশার কথা হলো, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখন নতুন নতুন পথ বের হচ্ছে। যেমন “ইমিউনোথেরাপি”—যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করা হয়। আবার “টার্গেটেড থেরাপি” নামের একধরনের চিকিৎসা আছে, যা ক্যান্সার কোষের নির্দিষ্ট জিনগত দুর্বলতাকে লক্ষ্য করে ওষুধ প্রয়োগ করে।
এমনকি এখন এমন কিছু স্ক্যান পদ্ধতি এসেছে, যেগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে ফুসফুসের ক্ষুদ্র পরিবর্তন ধরতে পারে। যেমন “লো-ডোজ সিটিস্ক্যান”। যুক্তরাষ্ট্রের “মায়ো ক্লিনিক”-এর ক্যান্সার চিকিৎসক ড. এলিজাবেথ স্টুয়ার্ট বলেন, “যেসব মানুষ দীর্ঘদিন ধূমপান করেছেন বা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের বছরে একবার লো-ডোজ সিটিস্ক্যান করানো উচিত। এতে ক্যান্সার দ্রুত ধরা পড়ে, আর বাঁচার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়।”
তবে চিকিৎসার চেয়েও বড় হলো প্রতিরোধ। ধূমপান ত্যাগ করলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি নাটকীয়ভাবে কমে যায়। এমনকি দীর্ঘদিন ধূমপায়ী ছিলেন এমন ব্যক্তিও যদি ধূমপান ছেড়ে দেন, তাহলে তাঁর ফুসফুস ধীরে ধীরে ঠিক হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য, পরিচ্ছন্নতা, এবং দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকার অভ্যাস গড়ে তুললে ফুসফুস সুস্থ থাকে অনেকদিন। এবং কোনো সমস্যা শুরু হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফুসফুস আমাদের শরীরের বাতাসের জানালা। এই জানালা যদি একবার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে জীবনটাই থেমে যায়। তাই সময় থাকতেই সাবধান হওয়া দরকার। ধোঁয়া নয়, চাই নির্মল বাতাস—এই চেতনা যদি সমাজজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে ফুসফুসের ক্যান্সার হবে না এমন এক প্রজন্মের জন্ম হতে পারে।
ওটস খেলে ওজন কমে—এই ধারণাটিও নিরর্থক নয়। কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিদ ড. ডেভিড জেনকিন্স জানান, “ওটস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে কম খাওয়া হয়, আর এই কারণে ধীরে ধীরে ওজন কমে আসে।” তাঁর মতে, যারা নিয়মিত সকালে ওটস খান, তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের বিজ্ঞানীরা চাইছেন বিলুপ্ত কিছু প্রাণীকে আবার ফিরিয়ে আনতে। এভাবে আগের মতো তাদের তৈরি করে তোলা যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে বলে “ডি-এক্সটিংশন”। মানে, যেসব প্রাণী অনেক বছর আগে হারিয়ে গেছে, তাদের আবার বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা। অনেকেই চায় ডায়ার উলফ বা ম্যামথ ফিরে আসুক। কেউ কেউ জায়ান
১ দিন আগেএই যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিলেন গাইয়াস অক্টাভিয়াস—পরবর্তীতে যিনি ‘অগাস্টাস’ নামে পরিচিত হন—তার বাহিনী এবং মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা ও রোমের অন্যতম শক্তিশালী সেনানায়ক মার্ক অ্যান্টনির যৌথ বাহিনী। যুদ্ধটি মূলত সামুদ্রিক যুদ্ধ হলেও এর প্রভাব রাজনীতি, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা ও সাম্রাজ্যের ক্ষমতার বণ্টন পর্যন্ত ব
১ দিন আগেতালমিছরি সাধারণত খাঁটি তাল বা খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়, যেটি পরিশোধন ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুকিয়ে ছোট দানার মতো স্ফটিক রূপে তৈরি হয়। এতে কোনো কৃত্রিম রং বা প্রিজারভেটিভ থাকে না, যা একে সাধারণ চিনি থেকে আলাদা করে দেয়।
১ দিন আগে